আলিফ হোসেন, তানোর ঃ
রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) ভিআইপি এই সংসদীয় আসন ধরে রাখতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বা নৌকার মাঝি পরিবর্তন এখন সময়ের দাবি এমন গুঞ্জন উঠেছে। আর সেই ক্ষেত্রে তরুণ, মেধাবী, তৃণমূলের আস্থা-ভরসার প্রতিক, জন ও কর্মীবান্ধব জননেতা গোলাম রাব্বানির কোনো বিকল্প নাই তিনিই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তৃণমূলের প্রাণ, কান্ডারি আস্থা ও ভরসার প্রতিক অভিমত আওয়ামী লীগের তৃণমূলের। সম্প্রতি ১৩ রমজান রাব্বানির পিতা প্রয়াত মোহাম্মদ আলী মাহাম স্বরণে স্বরণকালের সর্ববৃহত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে ঘিরে সাধারণ মানুষের জন¯্রােত আবারো রাব্বানিকে নিয়ে আলোচনার ঝড় তুলেছে, আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি কেড়েছে ও মন জয় করে প্রমাণ করেছে তৃণমূলের রাজনীতিতে গোলাম রাব্বানি বা প্রয়াত মাহাম পরিবারের কোনো বিকল্প নাই। রাজশাহী-১ আসনে কে মনোনয়ন পেলো সেটা বিবেচ্য নয় এখানে আওয়ামী লীগের কারিগর বা নির্বাচনে জয় পরাজয়ের নিয়ন্ত্রক গোলাম রাব্বানি পরিবার দাবি তৃণমূলের।
জানা গেছে, সংসদীয় আসনের নির্বাচনী এলাকার রাজনৈতিক অঙ্গন, ভোটার ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোচনায় রয়েছে গোলাম রাব্বানি ও মতিউর রহমান। তবে জনমত জরিপ ও পচ্ছন্দের শীর্সে রয়েছে গোলাম রাব্বানি ইতমধ্যে প্রায় শতাধিক ইসলামি জালসা-ওয়াজ মাহফিল ও অর্ধশতাধিক খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিপুল পরিমাণ অনুদান দিয়েছেন। ফলে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুন্ডুমালা পৌর মেয়র গোলাম রাব্বানীকে ঘিরে নয়া সমিকরণ ও নানা মেরুকরণ দেখা দিয়েছে। ইতমধ্যে রাব্বানী আওয়ামী লীগের (এমপি) পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করে তাফসির মাহফিল, ইসলামী জালসা ও বিভিন্ন খেলা-ধূলার মাধ্যমে নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বড় রকমের ঝড় তুলেছে, আবার সেই ঝড়ে অনেকের স্বপ্ন ভগ্নের উপক্রম হয়েছে। আবার আওয়ামী লীগ বিরোধীরাও রাব্বানীকে সাম্ভব্য প্রার্থী ধরে নিয়ে তাদের নির্বাচনী পরিকল্পনা-ছক তৈরী করছে। রাব্বানীকে ঘিরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রতিনিয়ত নানা গুঞ্জন ডাল-পালা মেলছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে আবারো আলোচনায় উঠে এসেছে জননন্দ্বিত ও তারকাখ্যাতি রাজনৈতিক নেতা গোলাম রাব্বানীর নাম। সম্প্রতি গোলাম রাব্বানীর ঢাকা ও ভারত সফর এবং মুন্ডুমালা স্কুল জাতীয়করণ ও প্রয়াত মাহাম স্বরণে ইফতার ঘিরে সাধারণ মানুষের জন¯্রােত ঘিরে এই আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে। আওয়ামী লীগের সেকেন্ড কমান্ড বলে পরিচিত নেতার আহবানে সাড়া দিয়ে গোলাম রাব্বানী ঢাকা ও ভারত সফরে যায়। রাজশাহী জেলা পরিষদ, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ ও তানোর-গোদাগাড়ি আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল অনেক নেতাদের সঙ্গে গোলাম রাব্বানীকে নিয়ে আওয়ামী লীগের সেকেন্ড ইন কমান্ড বলে পরিচিত ওই নেতার রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। এদিকে বৈঠকে আলোচনা হয় মূখ দেখে নয় মাঠ পর্যায়ে তৃলমূলের মতামত এবং এমপি ও নেতাদের আমলনামা পর্যালোচনা করে প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হবে বলে জানানো হয়। এছাড়াও বৈঠকে গোলাম রাব্বানী সবুজ সঙ্কেত দিয়ে মাঠে নামার পরামর্শ দেয়া হয় বলে রাব্বানীর ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। অপরদিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ৭ নেতার মধ্যে ৫ নেতা গোলাম রাব্বানীকে সমর্থন দিয়েছে। ফলে দলটির নীতিনির্ধারক পর্যায়েও গোলাম রাব্বানীকে নিয়ে নানা আলোচনা-পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে বলেও প্রচার রয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও তৃণমূলে গোলাম রাব্বানী বেশ বড় রকমের সাড়া জাগাতে সমর্থন হয়েছে।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, পাকিস্থান শাসন আমল থেকেই তারা বংশপরম্পরায় জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়ে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছে। তার দাদা মরহুম হাজী কবির উদ্দীন ১৯২৭ সাল থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত একটানা প্রায় ৩৩ বছর ‘পঞ্চায়েত প্রধান’ জনপ্রতিনিধি ছিলেন, তার বাবা মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাব আলী তিন বারের নির্বচিত পাচন্দর ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে গেছেন এবং গোলাম রাব্বানী দু’বার পাচন্দর ইউপির চেয়ারম্যান ও ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। এখানো (দু’বার) মুন্ডুমালা পৌর মেয়র নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। এসব বিবেচনায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোলাম রাব্বানীকে নিয়ে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক পর্যায়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এমপি নির্বাচনের সকল যোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা থাকার পরেও মনোনয়ন প্রাপ্তির অশুভ প্রতিযোগীতায় তাকে বার বার ছিটকে পড়তে হয়েছে। এছাড়াও একবার এমপি মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেও বিপুল জনসমর্থন ও বিজয়ী হবার উজ্জ্বল সম্ভবনা থাকার পরেও দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি পরম আনুগত্য শিকার করে তৃণমূলের বাধা-আপত্তি উপেক্ষা করেই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে রাব্বানি রাজনীতিতে দলীয় আনুগত্যর প্রতি বিরল ও উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবার মনোনয়ন বাণিজ্য ঠেকাতে কেবলমাত্র তৃণমূলে জনমত জরিপে কর্মী ও জনবান্ধব নেতাকেই দলীয় মনোনয়নপত্র দেয়া হবে এর বাইরে মনোনয়নপত্র উত্তোলনের কারো কোনো সুযোগ নাই। আর এসব বিবেচনায় গোলাম রাব্বানীর অবস্থান তাঁর নেতাকর্মী ও অনুগতরা তার মনোনয়নের বিষয়ে অনেকটা আশাবাদি হয়ে উঠেছে।
গোলাম রাব্বানীর ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে ১৮০টি আসনে নিশ্চিত ভাবে বিজয়ী হবে এমন নেতাদের মনোনয়ন নিশ্চিত করে, বাঁকি আসনে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টির জন্য নতুন মূখের প্রার্থী দিতে পারে। আর এই ১৮০টি আসনের তালিকায় রাজশাহীর অধিকাংশ আসনের নাম নাই। যে কারণে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হয়ে নতুন মূখের আগমণ ঘটতে পারে বলে সাধারণের মধ্যে ব্যাপক গুঞ্জন বইছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূল এবার মৃদু ও মিষ্টভাষি এবং জন ও কর্মীবান্ধব নেতাকে মাঠে দেখতে চাই যার কাছে সাধারণ নেতাকর্মীরা আপদে-বিপদে কোনো দ্বিধা সংশয় ছাড়া সহজেই সাক্ষাত করতে পারবে। আবার নেতাও স্বজনপ্রীতি ও আতœীয়করণের উর্ধ্বে থেকে সুখে-দুঃখে কর্মীদের পাশে থাকবেন এমন নেতাকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হবে বলে এলাকায় ব্যাপক প্রচার রয়েছে। আর এই প্রচারের পর পরই আওয়ামী লীগে রাব্বানীকে ঘিরে নয়া মেরুকরণ ও হিসাব-নিকাশ শুরু হয়েছে। জন ও কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে সাধারণের মধ্যে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুন্ডুমালা পৌর মেয়র গোলাম রাব্বানীর ব্যাপক জনসর্মথন রয়েছে। এদিকে রাব্বানী এমপি প্রার্থীর মনোনয়ন বিষয়ে এখানো প্রকাশ্যে মুখে কোনো কিছু প্রকাশ না করলেও তার অনুসারী ও কর্মীরা কোমর ঁেবধে মাঠে নেমেছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৯ হবে ধরে নিয়ে গ্রাউন্ড ওয়ার্ক শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। শুরু হয়েছে প্রতিটি সংসদীয় আসনের মাঠ জরিপ, নেয়া হচ্ছে তৃণমূলের মতামত ও সেই সঙ্গে তৈরী হচ্ছে মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতা ও সংসদ সদস্য এমপিদের আমলনামা। খোজ খবর নেয়া হচ্ছে বর্তমান সংসদ সদস্য এমপিদের বিষয়ে। পাশাপাশি অবার সাম্ভব্য প্রার্থীদের নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশেÍষণ। আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানিয়েছে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি নিয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা করেছেন। এছাড়াও তিনি তার প্রকাশ্যে বক্তব্যে এমপিদের এলাকামূখী হয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এরই মধ্যে সরকারি-বেসরকারিভাবে নির্বাচনী এলাকা ভিত্তিক সংসদ সদস্য ও সাম্ভব্য প্রার্থীদের কর্মকান্ডের ওপর জরিপের কাজ শুরু হয়েছে যাচাই করা হচ্ছে জনপ্রিয়তা। প্রতিটি আসনের সাংসদ ও সাম্ভব্য প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা যাচাই করে একাধিক প্রার্থীর নাম সংগ্রহ করা হচ্ছে। বর্তমান সাংসদ এমপিদের কারা এলাকামূখী, কারা জনবিচ্ছিন্ন, কারা কর্কশভাষি, কারা জন ও কর্মীবান্ধব এই বিষয়গুলো জরিপে উঠে আসছে। আবার এমপিদের বিএনপি-জামায়াতপ্রীতি, মাদক কানেকশান, আতœীয়করণ, স্বজনপ্রীতি, দূর্নীতির অভিযোগসহ স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি অবমূল্যায়ণের বিষয়টিও গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে এখন থেকেই খোজ খবর নেয়া হচ্ছে কোন কোন আসনে পরবর্তী নির্বাচনে দলের জয় নিশ্চিত, আর কোন কোন আসনে হারের শঙ্কা রয়েছে। যেসব আসনে হারের শংকা রয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করে সেখানে অন্য যারা প্রার্থী হতে ইচ্ছুক তাদের সম্পর্কে খোজ খবর নেয়া হচ্ছে। আর এসব প্রতিবেদন মূল্যায়ন করেই আগামী নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলে একাধিক সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, প্রতিটি নির্বাচনের আগে নিজস্ব দলীয় টিম দিয়ে নির্বাচনী এলাকাগুলোয় যে জরিপ পরিচালনা করা হয় তা এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি এ নিয়ে কাজ শুরু করেছে। নির্বাচনী এলাকা ভিত্তিক ভোটারদের অবস্থান, মানসিকতা, দলের প্রতি সমর্থনের হার ও প্রার্থীদের জনপ্রিয়তার তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য সংগ্রহ শেষে সেগুলো বিশেষণ করে দলের হাইকমান্ডের কাছে তুলে ধরা হবে। শুধু নিজ দলের প্রার্থী নয় প্রতিপক্ষ প্রার্থীদের খোজখবর নেয়া হচ্ছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এব্যাপারে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুন্ডুমালা পৌর মেয়র গোলাম রাব্বানী বলেন, আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাশা করে মাঠে কাজ করছেন। তিনি বলেন, তাকে মনোনয়ন দেয়া না হলে যিনি মনোনয়ন (নৌকা প্রতীক) পাবেন তিনি সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে তার জন্য কাজ করবেন। তিনি বলেন, তারা নৌকার লোক নৌকার বাইরে অন্যকিছু ভাববার কোনো অবকাশ নাই।
‘রাজশাহীতে আবাসন ব্যবসায়ী”র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ব্যবসায়ীক ও যুবলীগ নেতা’
নিজস্ব প্রতিনিধি: আদালতে নির্দেশনা অমান্য করে জালিয়াতি মাধ্যমে জমি হাতিয়ে......বিস্তারিত