নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নরসিংদীর মাধবদীতে মাধবদী পৌর মেয়রের নেতৃত্বে দুইজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় মেয়র মানিকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হলেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে মেয়র মানিক ও তার বাহিনী। এদিকে মেয়রের বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মেয়রের করা মিথ্যা অভিযোগে কারাগারে।
মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর থেকে পুলিশ নাকি মেয়র মানিককে খুজে পায়না কিন্তু আজ (১ জুলাই) নরসিংদী সদর এসিল্যান্ডের সাথে প্রকাশ্যে লকডাউনের মাইকিং এ দেখা যায় আসামি মানিককে। উল্লেখ, মাধবদীতে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনায় মাধবদী পৌর মেয়র মোশারফ হোসেন মানিকসহ ১১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
(১৮ জুন) শুক্রবার ভোরে মাধবদী থানায় মামলা করেন গুলিবিদ্ধ নরসিংদী সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কমিশনার মো. জাকারিয়ার ভাই মো.আনোয়ার হোসেন। গত ২৩ জুন দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে বুধবার (১৬ জুন) বিকেলে মাধবদী থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। শহরের রমনী কমিউনিটি সেন্টারের ওই সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভা চলাকালে মাধবদী পৌর মেয়র মোশারফ হোসেন মানিক ও তার সহযোগীরা সেখানে গিয়ে মিটিং না করতে নিষেধ ও গালাগালি করে চলে যান। মিটিং শেষে রাত ৮টার দিকে মাধবদী পৌরসভার সাবেক কমিশনার জাকারিয়াসহ ১০-১৫ জন নেতাকর্মী পৌরসভার মোড় হয়ে ফিরছিলেন। এ সময় হঠাৎ তাদের ওপর মেয়রের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়।
এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন মাধবদী পৌরসভার সাবেক কমিশনার ও সদর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো.জাকারিয়া (৩৯) ও বালাপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব আবুল কালাম (৩০)।এছাড়াও আহতদের নরসিংদীর স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে গুরুতর দুজনকে ঢামেকে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় মেয়র মানিককে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নামে মাধবদী থানায় মামলা হয়।
‘পদ্মায় গোসলে নেমে ৩ কিশোরের মৃত্যু’
রাজশাহীর পবা উপজেলায় পদ্মা নদীতে ডুবে তিন কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।......বিস্তারিত