TadantaChitra.Com | logo

৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন ছিল না হাসেম ফুড কারখানার

প্রকাশিত : জুলাই ১০, ২০২১, ১৬:৩৯

ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন ছিল না হাসেম ফুড কারখানার

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানার ভবনটিতে ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন ছিল না বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) দেবাশীষ বর্ধন।

শনিবার (১০ জুলাই) প্রায় ৪৫ ঘণ্টা পর বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার পর তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

দেবাশীষ বর্ধন বলেন, ফায়ার সার্ভিস থেকে প্রতিটি কারখানার ভবনের জন্য ফায়ার সেফটি প্ল্যানের একটি অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু ভবনটির নকশা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের অনুমোদন ছিল না। রাজউকের ছাড়পত্র, কারখানা অনুমোদনের ছাড়পত্র, পরিবেশের ছাড়পত্র নিয়েছিল কি-না, তা আমাদের জানা নেই।

ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা বলেন, প্রতিটি শিফটে ৩০০-৪০০ ফায়ার ফাইটার কাজ করেছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত তাপ সহ্য করেও ফায়ার ফাইটাররা প্রথম রাত থেকেই ভেতরে ঢুকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করে। কারখানায় অনেক দাহ্য বস্তু ছিল। কিছুক্ষণ আগেও এক টন কাগজের রোল থেকে মাঝে মাঝে ধোঁয়া দেখা যাচ্ছিল। আমাদের টিম কাজ করে ধোঁয়া বন্ধ করে দেয়।

তিনি আরও বলেন, গতকাল চারতলা থেকে ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আর হাসপাতালে তিনজনের মরদেহ পাওয়া গিয়েছিল। মোট ৫২ জনের মরদেহ ছাড়া আর কোনো মরদেহ আমরা পায়নি। ভেতরেও আর কোনো মরদেহ নেই। এছাড়াও ঘটনার দিন ৫২ জনকে টিটিএল দিয়ে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ৪৫ ঘণ্টা সময় লাগার কারণ কী -এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কারখানার আগুনটি ছিল হার্ড ফায়ার। এ ভবনে একাধিক সমস্যা রয়েছে। ভবনের প্রত্যেক ফ্লোরে নেট দিয়ে ব্যারিকেড ছিল। আবার কিছু কিছু জায়গায় তালাবদ্ধ ছিল। এরমধ্যেও আমরা কাজ করেছি।’

‘কারখানাটিতে একাধিক খাদ্য তৈরি হত। এগুলো প্যাকিং করার জন্য ফয়েল পেপার, প্লাস্টিকের বোতল, নিচতলায় ছিল টন টন প্যাকিং কাগজের রোল। এসব দাহ্য বস্তু থেকে আগুন ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। আমরা একদিকে পানি দিলে অন্যদিকে আগুন ছড়িয়ে যায়। বিভিন্ন দাহ্য বস্তু ও ক্যামিকেল থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশি সময় লাগে’ যোগ করেন তিনি।

অগুনের সূত্রপাতের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের এ উপ-পরিচালক বলেন, একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিসও তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আগুনের সূত্রপাত, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ, ভবনের দুর্বলতা ও কারখানায় আগুন নির্বাপণের যথেষ্ট সরঞ্জাম ছিল কি-না, সবকিছু তদন্তের পর বলা যাবে।

তিনি বলেন, ‘পাঁচতলার ফ্লোর ধ্বসে পড়েছে। ভবনটি অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ। বুয়েট থেকে বিশেষজ্ঞ এসে তারা পরীক্ষা-নিরিক্ষা করার পর পরিত্যক্ত ঘোষণা করবে।’


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।