“নীগার সুলতানা ইয়াসমীন”
ইসলাম শান্তি, তাাগের ধর্ম। সেই ত্যাগ নিহিত আছে কুরবানীর মধ্যে। সেই ত্যাগের মধ্যে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভ করা যায় সাথে মনুষ্যত্ববোধের জাগরণ ঘটে।ধনী, গরিব, আত্নীয় স্বজন সকল ভেদাভেদ, বিভেদ ভুলে কাছাকাছি আসে, অথচ এখন আমরা দেখছি কুরবানের গোশত ফ্রিজে রাখা নিয়ে ভাই ভাইকে মারছে, স্বামী স্ত্রী গোশত খাওয়া নিয়ে ঝগড়া করে বিষ পান করছে, এটা কুরবানের শিক্ষা নয়, কুরবানী একান্তই কোনো উৎসব নয়; কোরবানি হতে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নিজের মধ্যে আল্লাহর ভয় জাগ্রত করার লক্ষ্যে। গোশত খাওয়ার নিয়তে হলে কিংবা মানুষ খারাপ বলবে এই কারণে কোরবানি দেওয়া হলে এই কোরবানি কবুল হবে না আল্লাহর দরবারে। কেননা আল্লাহর না গোশতের প্রয়োজন, না রক্তের প্রয়োজন। তিনি তো শুধু বিশুদ্ধ নিয়ত দেখবেন। অথচ আমরা কুরবানী দ্বারা আল্লাহ সন্তুষ্টি লাভের দিকে নজর না দিয়ে গোশত খাওয়ার দিকে বেশী মনোযোগ দিচ্ছি, ফ্রিজে রাখার জন্য ব্যস্ত হযে পরছি। কে কত বড় পশু কিনতে পারি তার প্রতিযোগিতা করছি, অসহায়দের দেই নিকৃষ্ট গোশত, আবার অসহায়রা যা গোশত সংগ্রহ করে বিভিন্ন বাড়ী থেকে তা বিক্রী করে অল্প টাকার বিনিমযে বিভিন্ন হোটেলে। তারপর হোটেলে তা বিক্রী হবে ৫০০ টাকায় যার মধ্যে প্রায় চামড়া, চর্বি থাকবে। কুরবানীতে এখন সহনশীলতার অভাব, বন্টনে ত্রুটি লোভ ও লোক দেখানো বেড়ে গেছে। তাই পশু কুরবানী করার সাথে সাথে হিংসা, বিদ্বেষ হারাম খাওয়া, অন্যের অধিকার কেড়ে নেওয়া, অন্যের সম্পদ অবৈধভাবে দখল করা তথা সকল প্রকার পশুত্বকে কুরবানী দিয়ে সুন্দর সমাজ আনন্দময়, সুখময় পরিবার গড়ে তুলি ও আমাদের সকলের কুরবানী মহান সৃষ্টিকর্তা কবুল করুক কেননা কুরবানী, জীবন , মৃত্যু সকল কিছু বিধাতার তরে।
‘পদ্মায় গোসলে নেমে ৩ কিশোরের মৃত্যু’
রাজশাহীর পবা উপজেলায় পদ্মা নদীতে ডুবে তিন কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।......বিস্তারিত