TadantaChitra.Com | logo

১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভোলায় সেই চাচা-ভাতিজার দুর্বৃত্তায়ন চলছেই, তোফায়েলকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে পায়ের তলার মাটি সরানোর হুমকি নকীব’র দম্ভোক্তি! পর্ব-২

প্রকাশিত : আগস্ট ০৭, ২০২১, ০৭:২৫

ভোলায় সেই চাচা-ভাতিজার দুর্বৃত্তায়ন চলছেই, তোফায়েলকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে পায়ের তলার মাটি সরানোর হুমকি নকীব’র দম্ভোক্তি! পর্ব-২

স্টাফ রিপোর্টার: ভোলার আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এখন নেতৃত্ব আর কর্তৃত্বের ভাগাভাগি নিয়ে চলছে টালমাটাল কান্ড। যেসব লোকজনকে রাস্তা থেকে তুলে কোটিপতি আর নেতা বানিয়েছেন তোফায়েল আহমেদ, আজ সেই নেতারাই তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা শুরু করে দিয়ছেন। এদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন- জেলা আ’লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকীব। দল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নকীবের ধান্ধা-ই থাকে কিভাব টাকার পাহাড় বানানো যায়। সেই লক্ষে নকীব জেলা সদর ভোলার কাচিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদ বাগিয়ে নেন। এভাবে পরপর দু’বার চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত থাকাকালীন সে তার দুর্নীতি আর সন্ত্রাসের জাল ছড়িয়ে দেন ভোলার জল-স্থলসহ প্রতিটি এলাকায়। সন্ত্রাস, জলদস্যুপনা আর ভূমিদস্যুবৃত্তিসহ অপরাধের এমন কোন সেক্টর নেই যেখানে তার ও তার বাহিনীর বিচরণ না আছে। শুধু টাকার নেশায় মত্ত্ব নকীব কোটি কোটি টাকার পাহাড় বানানোর বিলাসিতার মাঝে আরো ক্ষমতাধর হওয়ার স্বপ্ন দেখেন।

সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানকালে ভোলার আ’লীগের কর্ণধার সাংসদ তোফায়েল আহমেদ সমর্থিত দলের বঞ্চিত ও নিবেদিত শতাধিক নেতাকর্মী এ প্রতিবেদকের কাছে জহুরুল ইসলাম নকীব সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ক্ষমতার দাপটে জেলার প্রতিটি সেক্টরে তার আধিপত্য আর সীমাহীন নৈরাজ্যে সাধারন মানুষতো দূরের কথা দলের দূর্দীনের কর্মীরা পর্যন্ত সাইড পাচ্ছেন না। এসব বঞ্চিতরা জানান, ভোলায় কোন প্রকার ব্যবসা-বানিজ্য করতে হলেও নকীব-শামীমের দয়া দাক্ষিণ্য ছাড়া তা সম্ভব নয়। সূত্রমতে, যে নেতার আশির্বাদে নকীব ভোলায় নেতা হয়েছেন, অবৈধভাবে মালিক হয়েছেন শত শত কোটি টাকার। সেই নকীব এখন তার শিখরকে অস্বিকার করতে শুরু করেছেন। ক্ষমতা আর টাকার আগুনে নিজের রাজনৈতিক গুরুকেও পোড়ানোর প্ল্যান ফাঁস হওয়ার সূ-নির্দিষ্ট প্রমান রয়েছে।

দলের নেতা-কর্মীরা জানান, নিজের অপরাধের নেটওয়ার্ক আরো সূ-বিশাল করতে ভাতিজা আনোয়ার হোসেন শামীম মোরাদার ও সোহেল মোরাদারকে অপরাধকর্মের কয়েকটি সেক্টরের দায়িত্ব দিয়েছেন চাচা জহুরুল ইসলাম নকীব। ফলে বিশ্বস্ত ভাতিজাগন যেমনি চাচার অপকর্মের শক্ত হাতিয়ার হয়েছেন তেমনি তারাও কামাচ্ছন শত শত কৌটি টাকা। যদিও সাংসদ তোফায়েলের ইচ্ছায় নকীবের আপন বড় ভাই মোশারেফ হোসেন ভোলা সদর উপজেলা পরিষদের দু’বারের চেয়ারম্যান পদে আসীন আছেন কিন্তু তিনি একেবারে ধোঁয়া তুলসী পাতা না হলেও ভাই-ভাতিজার অককর্মের দায়ভার নিতে নারাজ। তারা তার কন্ট্রোলে নেই বলে দায়িত্বশীল একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন।

তোফায়েল পরিবারের বিরুদ্ধে অবস্থানঃ সূত্রমতে, ক্ষমতাধর জহুরুল ইসলাম নকীব তার একক আধিপত্য বিস্তারের জানান দেন ২০১৭ সালের ২৬ মে জেলা খাদ্য অধিদপ্তরের একটি টেন্ডার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। ওই টেন্ডারটিতে অংশ নিয়েছিলেন সাংসদ তোফায়েল আহমেদ’র ভাগ্নে ও পৌর মেয়র মনিরুজ্জামান’লোকেরা। কিন্তু তাতে বাদ সাদেন জহুরুল ইসলাম নকীব। ওই সময় ভোলায় খাদ্য অধিদপ্তরের গুদামের জন্য শ্রম ও চালান ঠিকাদার নিয়োগের দরপত্র কেনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মনির-নকীব দুই গ্রুপের মধ্যে হট্টগোল ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দু’পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। লাঞ্ছিত করা হয় খাদ্য অধিদপ্তরের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. ইউসুফকে। তখন সেই সময়কার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর খায়রুল কবিরের নেতৃত্বে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সেইদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলা স্কুল মোড়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

ভোলা সদর, দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, তজুমদ্দিন, লালমোহন, চরফ্যাশন, চর শশীভূষণ ও মনপুরা খাদ্যগুদামের সামনের দুই বছরের জন্য শ্রম ও চালান ঠিকাদার (মালপত্র প্রেরণ ও গ্রহণ ঠিকাদার) নিয়োগের জন্য ২০১৭ সালের ৩ মে দরপত্র আহ্বান করেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক। ২৮ মে পর্যন্ত দরপত্র বিক্রি ও ২৯ মে দরপত্র গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সেইদিন দুপর ২টায় দরপত্র কেনা নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকীব এবং পৌর মেয়র ও জেলা যুবলীগ সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান সমর্থিত দুই গ্রুপের মধ্যে হট্টগোলের এক পর্যায়ে মারধরের ঘটনা ঘটে। জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকীব তখন অভিযোগ করেছিলেন, আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের কয়েকজন নেতাকর্মী দরপত্র কিনতে এলে মনিরুজ্জামান সমর্থিত কয়েকজন তাদের প্রথমে বাধা দেয় এবং এক পর্যায়ের দলবল নিয়ে হামলা চালায়। তবে এসব অভিযোগ মিথ্যা উল্লেখ করে মেয়র মনিরুজ্জামান মনির বলেছিলেন, এসব ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কিন্তু তখনকার সেই ঘটনাটি ছিল প্রকাশ্যদিবালোকে সাংসদ তোফায়েল পরিবারের উপর নকীব গ্রুপের আনুষ্ঠানিক প্রতিরোধ ও প্রত্যক্ষ বিরোধিতা। সেদিনের ওই ঘটনায় উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ২০ জন আহত হন।

ঘটনার পর খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিসের সবগুলো কক্ষ বন্ধ করে দেয়া হয়। হট্টগোল সৃষ্টি হলে কক্ষগুলোতে তালা মেরে অফিসের সবাই আতঙ্কে অন্যত্র চলে যায়। সেই সময়কার দপ্তর প্রধান জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অনন্ত কুমার বিশ্বাস ওই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গণমাধ্যমকে জানান, তিনি তখন ঢাকা প্রধান কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন। সেদিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ভোলা সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর খায়রুল কবির জানান, টেন্ডার নিয়ে মারামারির খবর পেয়ে তিনি ফোর্স নিয়ে এসেছেন। এসে কয়েকজনকে আহত অবস্থায় দেখেছেন। ওই ঘটনার পরদিন তোফায়েল আহমেদের ভাগ্নে ও মেয়র মনিরুজ্জামান জেলা আ’লীগ কার্যালয়ে নকীবের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদসভা শেষে শহরে বিক্ষোভ করেছিলেন। এর একদিন পরই নকীবের নেতৃত্ত্বে জেলা শহরের রাজপথে মনির বিরোধী পাল্টা বিক্ষোভ ও শো-ডাউন করে তোফায়েল পরিবারের প্রতিপক্ষ শক্তির জানান দেয়া হয়। আর সেই থেকেই জহুরুল ইসলাম নকীব তোফায়েল আহমেদের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধের স্তম্ব তৈরী করতে থাকেন। যা কালক্রমে ‘সুই হয়ে ঢুকে ফাল’ হয়ে বেরুনোর মতো অবস্থা হয়েছে।

সুত্রমতে, সাংসদ তোফায়েল পরিবারের মধ্যে ফাটল ধরিয়ে নিজের অবস্থানকে আরো পাকাপোক্ত করতে নকীব টার্গেট করেন সাংসদ পুত্র মঈনুল হোসেন বিপ্লব’কে। তিনি বর্তমানে ভোলা জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। দলের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানান, বিপ্লব’কে পূজি করে নকীব তোফায়েল পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সম্পর্কের ফাটল ধরাতে চাইলেও সাংগঠনিক দক্ষতায় সূ-চতুর বিপ্লব সব বুঝতে পেরে সতর্কতার সাথেই চালাচ্ছেন ভোলার আ’লীগের রাজনীতি। আর সাথে সাথে নিজ পরিজনকেও তিনি আগলে রেখেছেন।

মেয়র হওয়ার খায়েশঃ চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত ভোলা পৌরসভা নির্বাচনে জহুরুল ইসলাম নকীব মেয়র পদে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনী মনোনয়ন চেয়েছিলেন। অনেক চেষ্টা তদ্বীর করে তার নেতা সাংসদ তোফায়েল’র নেক নজরও অর্জন করেছিলেন তিনি। তখন পৌরসভার মেয়র ভাগ্নে মনিরের উপর নানা কারনে রাগ ছিলেন তোফায়েল। সেকারনে ২০১৯ সালের ২০ এপ্রিল জেলা শহর ভোলার বাংলা স্কুল মাঠে আকস্মিক এক জনসভায় তোফায়েল আহমেদ নকীবকে পৌর মেয়র পদে মনোনয়ন দেয়ার ইঙ্গিত দেন। সে লক্ষে পৌর এলাকার মানুষের সাথে কাজ করার নির্দেশও দেন তোফায়েল। কিন্তু মেয়র মনিরের রাজনৈতিক বিচক্ষনতার যাতাকলে পিষ্ট হয়ে দুমড়েমুচড়ে যায় নকীবের মেয়র হওয়ার স্বপ্ন। নেতার আশ্বাস পেয়ে নকীব তার দীর্ঘদিনের কাচিয়া ইউপি চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে পৌরসভায় এসে ভোটার হন। কিন্তু নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছিল নকীবের মনোনয়ন পাওয়ার আশা ততোই ক্ষীণ হতে লাগলো। এক পর্যায়ে রাজণীতির ফাইনাল ম্যাচে মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে হেরে যান জহুরুল ইসলাম নকীব।

তথ্যমতে, নকীবের অন্ধকার জগতের নেতা বিরোধী কর্মকান্ড সম্পর্কে সব খবরই যখন তোফায়েল জানতে পারেন, তখনই পৌর মেয়র পদে আপন ভাগ্নে মনিরকেই পূনরায় মনোনয়ন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ফলে আশাবাদী নকীব সব হারিয়ে নিরাস হয়ে তার নেতা তোফায়েলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে শক্রুতায় নেমে পড়েন। প্রতিশোধ নিতে বিক্ষুদ্ধ নকীব তোফায়েল বিরোধী শিবিরে যে হাত মিলিয়েছেন তার সূ-নির্দিষ্ট তথ্য-প্রমান সাংসদ তোফায়েল আহমেদ ইতিমধ্যেই হাতে পেয়েছন বলে তার ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন।

তোফায়েলের পায়েরতলার মাটি সরাবেনঃ এদিকে নিজ নেতার উপর বিরাগভাজন নকীব এখন রাজনীতির নতুন বলয় পেয়েছেন বলে তোফায়েল সমর্থরা ধারনা করেছেন। আর তাদের সেই ধারনাই অবশেষে সত্যি হলো। সম্প্রতি নকীবের সন্ত্রাসী কর্মের পশ্চিম ভোলার আঞ্চলিক কমান্ডার বলে পরিচিত মোঃ আলাউদ্দিনের সাথে মোবাইল ফোনে বিশেষ আলাপচারিতায় নকীব খুব শীঘ্রই তার নেতার (তোফায়েল আহমেদের) পায়ের তলার মাটি সরিয়ে ফেলা হচ্ছে বলে নিজের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটান। এক সময়কার বিএনপি কট্টোর রাজনীতির একনিষ্ঠ কর্মী আলাউদ্দিন নকীবের সেই কথোপকথনের অডিও রেকর্ড সামাজিক গণমাধ্যমে ছেড়ে দিলে সে-টি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়। যদিও এ বিষয়টিকে জহুরুল ইসলাম নকীব সুপার এডিটিং করে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে দাবি করছেন। তবে অবাধ তথ্য প্রবাহের এমন ডিজিটাল জমানায় তার দাবীকে নিছক হাস্যস্কর বলে অভিহিত করেছেন সাংসদ তোফায়েল সমর্থকরা।

সূত্রমতে, নকীব-আলাউদ্দিনের সেই সময়কার ওই কল রেকর্ডের অনুসন্ধানী বিটিআরসি কর্তৃক সংগ্রহীত সিডি কপি সাংসদ তোফায়েল আহমেদের হাতে রয়েছ। সুতরাং পায়ের তলার মাটির হিসেব-নিকেশ কতদূর এগুবে তার ফাইনাল সিদ্ধান্ত তোফায়েলকেই নিতে হবে। তবে দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা সংসার বিনশকারী এ নেতাকে মীর জাফর আলীখানের সাথে তুলনা করে তার বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নিতে তোফায়েল সমর্থকরা দাবী তুলেছেন।

# সূ-প্রিয় পাঠক,
ভোলার স্ব-ঘোষিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীখ্যাত জহুরুল ইসলাম নকীব ও তার ভাতিজা আনেয়ার হেসেন শামীম মোরাদারসহ তাদের অপরাধকর্মের দায়িত্বপ্রাপ্ত বাহিনীর সেক্টর কমান্ডারদের নাম এবং শোষন-নির্যাতনের ধারাবাহিক কাহিনী আসছে আগামী পর্বে। চোখ রাখুন…………….

আলাউদ্দীনের সাথে সে কথোপকথন….


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।