আমার অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল বঙ্গমাতাকে
নিয়ে কিছু লিখার, আজ উনার জন্মদিনে
সাহস করলাম, মনের ভালবাসা দিয়ে লিখলাম
ভুল হলে ক্ষমা চায়, মহীয়সী নারী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ফুলের মতো গায়ের রং ছিল বলে, মা রেনু ডাকতেন।
বঙ্গবন্ধুও রেনু ডাকতেন। সেই ছোট্ট রেনু নিজের প্রতিভা, বিচক্ষন ও অদম্য সাহসে জাতির পিতার কেবল জীবনসঙ্গিনী নয় রাজনৈতিক সহযোদ্ধাও হয়ে উঠেন। প্রখর স্মৃতি শক্তির অধিকারী রেনুকে বঙ্গবন্ধু জীবন্ত ডায়েরী ডাকতেন।
দেশ স্বাধীনের স্বপ্ন তিনিও বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখতেন। তিনি স্বামী সংসার সন্তানদের লালনপালন, পড়ালেখার ক্ষেত্রে যেমন ভূমিকা রেখেছেন তেমনি মুক্তির সংগ্রামকে সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছাতে বঙ্গবন্ধুকে প্রেরণা ও শক্তি যুগিয়েছেন।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানে কারাবন্দী বঙ্গবন্ধুর জীবন মৃত্যুর সন্নিকটেও তিনি বিচলিত না হয়ে সীমাহীন ধৈর্য্য নিয়ে হিমালয়ের মতো অবিচল থেকে পরিস্হিতি মোকাবেলা করেন ও বাঙ্গালীর অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সহযোগিতা করেন। স্বাধীনতার পর দেশ গঠন ও দেশের মানুষ যাতে ভাল ভাবে বাঁচতে পারে, সেই প্রত্যাশায় তিনি সদা বঙ্গবন্ধুর পাশে ছিলেন।
উনার কাছ থেকে কেউ রিক্ত হয়ে ফেরেনি।
মমতা, আপ্যায়নে অতুলনীয় ছিলেন ।
উনার ত্যাগ, সহযোগিতা ও বিচক্ষনের জন্য
জাতি উনাকে বঙ্গমাতা উপাধিতে ভূষিত করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
রাজনৈতিক সাফল্যের পেছনেও উনার অবদান আছে।
উনাকে দেখার সৌভাগ্য আমাদের প্রজন্মের হয়নি।
তিনি সহধর্মী, মা, রাজনৈতিক সহচর, সকল
ক্ষেত্রে অসাধারণ পারদর্শী নারী। উনি মায়া
ভরা মা শুধু আপন সন্তানদের জন্য গোটা বাঙ্গালী জাতি এমনকি মুক্তিযোদ্ধা বীরাঙ্গনাও বাদ যায়নি।
আর সেই মাকে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর সাথে মেরে
ইতিহাসের কলংকময় অধ্যায়ের সূচনা করল।
আমি লজ্জিত, ক্ষমা করো মোদের হে বঙ্গমাতা।
তোমার আদর্শ ও ত্যাগ বাঙ্গালী নারীদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে যুগে যুগে এই দেশ যতদিন রবে।
তোমার ৯০ তম জন্মদিনে জাগো বিবেক জাগো
পেইজ থেকে অনেক অনেক ভালবাসা সম্মান ও শ্রদ্ধা জানাই ও ওপারে শান্তির ছায়ায় থাক সেই দোয়া করি।
‘কুষ্টিয়ায় চায়ের দোকানে দুজনকে গুলি, আওয়ামী লীগ নেতাসহ আটক ২’
কুষ্টিয়ার মিরপুরে আওয়ামী লীগ নেতার গুলিতে দুজন আহত হয়েছে বলে......বিস্তারিত