TadantaChitra.Com | logo

১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

লক্ষ্মীপুরের মেঘনা তলদেশের বালু লুটে নিচ্ছে ভোলার বহুল আলোচিত শামীম-নকীব বাহিনী!

প্রকাশিত : আগস্ট ১২, ২০২১, ০৮:০২

লক্ষ্মীপুরের মেঘনা তলদেশের বালু লুটে নিচ্ছে ভোলার বহুল আলোচিত শামীম-নকীব বাহিনী!

বালুদস্যুপনার ভাঙ্গনে ছোট হয়ে আসছে কমল নগর, বদলে যাচ্ছে দৃশ্যপট!

নিজস্ব প্রতিবদকঃ প্রমত্ত্বা মেঘনার অব্যহত ভাঙনে লক্ষ্মীপুর জেলার জনবহুল জনপদ কমলনগর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা বিলীন হয়ে যাচ্ছে। প্রতিবছর অতি জোয়ারের ফলে যেমনি মেঘনা তীরবর্তী বসতিগুলোর ব্যাপক ক্ষতি সাধন হচ্ছে, তেমনি ভাঙনের স্বীকার হচ্ছে হাজারো পরিবার। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কমল নগর উপজেলার সীমান্তবর্তী মেঘনা নদী হতে পার্শ্ববর্তী জেলা ভোলার একদল দুর্বৃত্ত গত কয়েক বছর যাবৎ রাত-দিন পালা করে বালু কেটে নিযে যাচ্ছে। অত্র এলাকার মেঘনা নদীর তলদেশ হতে অবৈধভাবে বালু কাটার ফলে কমল নগর উপজেলার আয়তন দিন দিন ছোট হচ্ছে। বদলে যাচ্ছে দৃশ্যপট, চলছে ভাঙা-গড়ার খেলা। সরেজমিন মেঘনা নদীর কমল নগর অংশে তথ্যানুসন্ধানকালে দেখা গেছে, প্রায় অর্ধশত ব্যক্তি তিনটি ড্রেজার মেশিন দ্বারা নদীর তলদেশ হতে বালু কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এসব ড্রেজারগুলো কাদের জিজ্ঞেস করলে তারা জানান, এগুলো ভোলা জেলা আ’লীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকীব ও তার আপন ভাতিজা আনোয়ার হোসেন শামীম মোরাদারের।

মেঘনায় মৎস্য শিকারী জেলেরা জানান, বালু লুটেরা এচক্রটি কমল নগর উপজেলার মেঘনা নদীর প্রায় দশ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নিজেদের দখলদারিত্ত্বে রেখে নদীর তলদেশ হতে বালু লুটের মহোৎসব চালাচ্ছে। এদের বাহিনীর লোকদের কেউ বাধা দিতে সাহস করছে না। জেলেরা আরো জানায়, ভোলা শহর ও সেখানকার জল-স্থলের দূই মূর্তিমান আতঙ্কের নাম জহুরুল ইসলাম নকীব ও তার ভাতিজা আনোয়ার হোসেন শামীম মোরাদার। তাদের দাপটে ভোলা ও লক্ষ্মীপুরের মেঘনার জেলেরা সর্বদাই আতঙ্কিত ও ভীত-সন্ত্রস্ত থাকতে হয়।

তথ্যমতে, চারটি ড্রেজার দ্বারা এচক্রটি প্রতিদিন কমল নগরের মেঘনা তলদেশ হতে প্রায় ১৪/১৫ লাখ টাকার বালু তুলে বিক্রি করছে। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে গত ১০ বছর ধরে ভোলার বালুদস্যুখ্যাত শামীম-নকীব বাহিনী মেঘনার বুকে জেগে উঠা নতুন নতুন চরাঞ্চল সমূহ কেটে বিরান করে ফেলেছেন বলেও বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, আ’লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে সেখানকার জেলা সদরের কাঁচিয়া ইউপি চেয়ারম্যান পদ বাগিয়ে নেন জহুরুল ইসলাম নকীব। মেঘনা তীরবর্তী ঠিক কমলনগর উপজেলার অপর প্রান্তে অবস্থিত ভোলার কাচিয়া ইউনিয়নটি। মূলতঃ সেইখানে বসেই কমল নগরের মেঘনা নদীর বালু লুটের নাটাই ঘুড়াচ্ছেন শামীম-নকীব বাহিনী।

নির্ভরযোগ্য তথ্যানুসন্ধানকালে ভোলার বিভিন্ন শ্রেনীপেশার লোকজনের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, জহুরুল ইসলাম নকীব সেখানকার সাংসদ তোফায়েল আহমেদের খুব আস্থাভাজন পরিচয়ে ভোলার বিভিন্ন দপ্তরের পাশাপাশি বিশাল মেঘনা নদীরও একক আধিপত্য লুটে নেন। তাছাড়া লক্ষ্মীপুর সদর আসনের সাংসদ তোফায়েল আহমেদের বেয়াই হওয়ার সুবাদে তার সাথেও নকীবের সখ্যতা রয়েছে। মেঘনার দূইপাড়ের দুই হেভীওয়েট সাংসদের সাথে সখ্যতাকে পুঁজি করে আ’লীগ নেতা নকীব ও তার ভাতিজা আনোয়ার হেসেন শামীম মোরাদার ভোলা এবং লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে বালু লুটের মহোৎসব চালাচ্ছে। বিরামহীন এমন বালুদস্যুনায় মেঘনার প্রবল ভাঙনে যেমনি ছোট হয়ে আসছে ভোলা তেমনি ভাঙনের শিকার হয়ে সর্বোশ্বান্ত হচ্ছে লক্ষ্মীপুর ও কমল নগরের শত শত পরিবার। কমলনগর এলাকার মেঘনা হতে এভাবে বছরের পর বছর বালু উত্তোলনের ফলে ঘনবসতিপূর্ণ এ জনপদটি দিনদিন দেশের মানচিত্র থেকে যে মূছে যাবে সেইদিন আর বেশী দূরে নয় বলে স্থানীয়রা মনে করেছেন।

তথ্যমতে, ভোলা ও লক্ষ্মীপুরের মধ্যবর্তী মেঘনা নদীর শাহবাজপুর চ্যানেল দিয়ে চট্রগ্রামে যাওয়ার পথে শামীম-নকীবের লেলিয়ে দেয়া নৌ-দস্যুরা সেগুলোর গতিরোধ করে তাতে ব্যাপকহারে চাঁদাবাজী ও লুন্ঠন চালানোর ঘটনা মেঘনা পাড়ের জনপদের সকলেরই জানা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শামীম মোরাদার ভোলার কাচিয়া ইউনিয়নের একটি প্রাইমারী স্কুলের সামান্য বেতনের শিক্ষক ছিলেন। মেঘনায় বালুদস্যুবৃত্তি আর নানা অপকর্মের কারনে চাকুরী ছেড়ে দেন তিনি। শিক্ষকতার চাকুরী ছেড়ে দেয়ার পর থেকেই যেন আলাদ্বীনের আশ্চর্য প্রদ্বীপ পেয়ে বসেন শামীম। দলের কোন পদ-পদবী না থাকলেও শামীম মোরাদার ভোলার আওয়ামী লীগের কাছে আবির্ভূত হয়ে উঠেন শক্তিধর মূকুহটহীন সম্রাট হিসেবে। জেলা শহর ভোলার গাজীপুর রোডের যেখানে সাংসদ তোফায়েল আহমেদের বাসভবন ঠিক তার পূর্বপার্শ্বেই নির্মিত প্রাসাদসম আলীশান পাঁচতলা বাড়ীতে বাস করেন আনোয়ার হেসেন শামীম মোরাদার। তিনি চলাচল করেন, কোটি টাকা মূল্যের লাক্সারিয়াস গাড়ীতে। রাজধানী ঢাকার অভিজাত কয়েকটি এলাকায় নকীব ও শামীমের বেশ কয়েকটি বিলাস বহুল বাড়ী ও ফ্ল্যাট রয়েছে বলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে তথ্য রয়েছে। সাংসদ তোফায়েল আহমেদের বাড়ীর পশ্চিম পার্শ্বে জহুরুল ইসলাম নকীবের বিলাসবহুল বাড়ী বিদ্যমান। তিনি ভোলায় চড়েন দামী পাজেরো গাড়ীতে। ফ্যামিলি থাকেন ঢাকার ধানমন্ডিতে। তাদের জন্যও সেখানে নানা ব্র্যান্ডের কোটি টাকা মূল্যের কয়েকটি গাড়ী রয়েছে।

জানা গেছে, ভোলার যে পরিবারটি’র একসময় নূন আনতে পান্থা ফুড়াতো সেই পরিবারের সদস্যরা এখন শত শত কোটি টাকার মালিক হওয়ার উৎস্য কি তা ভোলাবাসীর অজানা নয়। সূত্রমতে, দুর্নীতি, অন্যায়-অত্যাচার ও সীমাহীন জুলুমবাজী করে অস্বাভাবিক সম্পদের মালিক বনে যাওয়ায় বছরখানেক আগে নকীব-শামীমের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ হলেও সেই ফাইলটি আদৌ আলোর মূখ দেখবে কি-না এমন প্রশ্নও রয়েছে ভোলার সূ-শীল ব্যক্তিদের মাঝে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুদকে দায়েরকৃত এ দুই চাচা-ভাতিজার আমলনামার ফাইলটি বহু আগেই তারা মাটি চাঁপা দিয়েছেন। বলে বেড়াচ্ছেন, দুদক তাদেরকে নির্দোষ আর নিষ্পাপের সার্টিফিকেট দিয়েছেন। ফলে তাদের বিরুদ্ধে আর কেউ কোন প্রকার অভিযোগ দিলেও তাদের কিছুই হবে না।

নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে, ভোলার মেঘনা-তেতুলিয়া ও তৎসংলগ্ন সকল নদী হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১ লা ডিসেম্বর জনৈক শেখ ফরিদ নামের এক ব্যাক্তি জনস্বার্থে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। (যার নাম্বার-১১১২৪)। ওই রিটে ভোলার তৎকালীন জেলা প্রশাসক সেলিম রেজা, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাকসুদুর রহমান, ম্যাজিষ্ট্রেট আশিকুর রহমান ও ভোলা সদর মডেল থানার তৎকালীন ওসি মোবাশ্বির আলীকে বিবাদী করা হয়। রিট পিটিশনের বিষয়বস্তু নিয়ে বিচারপতি ফরিদ উদ্দিন ও বিচারপতি এমডি রেজাউল হাসানের দ্বৈত বেঞ্চ দীর্ঘ শুনানী শেষে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আদেশ প্রদান করেন। ২০১৫ সালের ২৮ আগষ্ট মাসে ওই আদেশটি ভোলা-লক্ষ্মীপুর ও বরিশাল এলাকার নদ-নদীগুলোর জন্য বলবৎ থাকবে বলেও হাইকোর্ট নির্দেশনা জারি করেন। তখন ভোলার জেলা প্রশাসকসহ বিবাদীগন উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞামতে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলেও হাইকোর্টকে অবহিত করেন। ভোলার জেলা প্রশাসক উচ্চ আদালতের সেই আদেশের কপি লক্ষ্মীরের ডিসিকেও অবহিত করেছিলেন। কিন্তু সেই সময়কার দুই জেলার প্রশাসকদ্বয় বদলির পর পরই শামীম-নকীব বাহিনী ফের কমল নগর ও ভোলা এলাকার মেঘনার বুক চিড়ে বালু কাটার কার্যক্রম শুরু করেন। যা এখনো অব্যহত আছে।

স্থানীয়দের মতে, ভোলার এসমস্ত বালুদস্যুদের কাছে হাইকোর্ট-সুপ্রীমকোর্ট ডেমকেয়ার। এদিকে শামীম-নকীব বাহিনীর লোকেরা ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় সাংসদের আশির্বাদপুষ্ট হওয়ায় সেখানকার প্রশাসন দলীয় এসকল অসৎ ব্যক্তিদের দূর্বৃত্তায়নে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে। অবশেষে সাবেক মন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদ তোফায়েল আহমেদ ঘটনার আদ্যোপান্ত জানতে পারেন। তিনি এসমস্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক ও এসপিকে নির্দেশ দেন। সম্প্রতি মেঘনায় দস্যুতা নিধনে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের যৌথ উদ্যোগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট (ভোলার সাবেক এ্যাসিল্যান্ড) আবি আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে ভোলার মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করে ১৯ জন বালুদস্যুকে ড্রেজার এবং ভলগেটসহ আটক করা হয়। যদিও বালুদস্যুদের সেই গডফাদার বিশেষ কায়দায় ম্যানেজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তার বাহিনীর দূর্বৃত্তদের ছাড়িয়ে আনেন। তখন ম্যাজিষ্ট্রেট আবি- আব্দুল্লাহ গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে দাবী করেন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন এলাকাটি লক্ষ্মীপুরের কমল নগর উপজেলার অংশ হওয়ায় ড্রেজার, ভলগেট এবং বালুদস্যুদের তিনি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। ওইদিনের নাটকীয় সেই ঘটনাটি তখন ভোলার টক অব দ্যা টাউনে রুপ নেয়।

এদিকে একাধিক তথ্যসূত্র মতে, কমল নগরের একটি দূর্বৃত্তচক্র ভোলার বালুদস্যুদের সাথে যোগসাজশে মেঘনার তলদেশ হতে বালু লুটে নিচ্ছে। আর কমল নগরের এ চক্রের নেতৃত্ত্ব দিচ্ছেন সেখানকার যুবলীগের কথিত নেতা জিহাদ। অবৈধভাবে বালু উত্তোনকর্মের কমল নগর ও লক্ষ্মীপুর জেলার প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ম্যানেজের দায়িত্ত্ব জিহাদ-ই পালন করছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শামীম-নকীবের কয়েক কর্মচারী গণমাধ্যমের স্বীকার করেছেন।

তথ্যানযায়ী, লক্ষ্মীপুর ও ভোলার মেঘনা নদীর বিশাল মৎস্য অভয়ারণ্যে জিহাদ ও শামীমের নেতৃত্ত্বে একটি শক্তিশালী জলদস্যু বাহিনী গড়ে উঠেছে। এরা প্রতিনিয়ত জেলে নৌকা, মাছ ধরা ট্রলার এবং পণ্যবাহী জাহাজে ডাকাতির ঘটনা ঘটায়। বর্তমানে কমল নগরের মেঘনায় অবৈধভাবে বালু লুটতরাজ আর নৌযানে দস্যুবৃত্তির ফলে যেমনি নদী ভাঙনে নিঃস্ব হচ্ছে হাজারো মানুষ, তেমনি নদীপথের নৌযানে কর্মরত মানুষগুলো চরম আতঙ্ক, উদ্বগ আর উৎকন্ঠার মধ্যে দিন-রাত কাটাচ্ছেন। মেঘনায় ড্রেজার দ্বারা অবৈধ বালু উত্তোলন এবং নানা অপকর্মের সাথে জড়িতের অভিযোগ সম্পর্কে জহুরুল ইসলাম নকীবের সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, আমি এধরনের কোন প্রকার অপকর্মের সাথে জড়িত নই। রাজনৈতিকভাবে আমাকে হেনস্তা করতেই তার প্রতিপক্ষ একটি গ্রুপ পরিকল্পিতভাবে তার বিরুদ্ধে ষড়যেন্ত্র লিপ্ত বলেও তিনি দাবী করেছেন। অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন শামীম মোরাদারের সাথে কথা হলে তিনি দাবী করেন, আমি একজন ব্যবসায়ী। সরকারের নিয়ন-নীতির মধ্যে থেকেই আমি ঠিকাদারি ব্যবসা করছি। মেঘনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সাথে তার কোনরকম সম্পৃক্ততা নেই বলেও দাবী করেন তিনি। শামীম-নকীব বাহিনীর সাথে জোগসাজসে অবৈধ বালু ব্যবসা ও অন্যায় কর্মের সম্পৃক্ততায় কমল নগরের প্রশাসন ম্যানেজ সম্পর্কে কথা হয়, অভিযুক্ত জিহাদের সাথে। তিনিও দাবী করেন, এসব কাজে তার কোন ধরনের সম্পৃক্ততা নেই।

এসব বিষয়ে কলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন। কোষ্ট গার্ড সহ নদী সংশ্লিষ্টদের তিনি এবিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়ার নির্দেশ দিবেন। মেঘনা নদীর কমলনগর এরিয়া থেকে বালু উত্তোলন করা হলে যতবড় শক্তিশালী হউক না কেন, কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।

কমলনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি )
মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দীন বলেন, বালু উত্তোলনের বিষয়ে সরকারের একটা আইন আছে। আইন লঙ্ঘন করে যে বা যাহারা এই ধরনের অন্যায় কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তবে বিষয়টি সম্পর্কে তিনি মোটেও অবগত নয় বলে দাবী করেন। ভোলার জেলা প্রশাসক তৌফিক-ই এলাহী বলেন, সেখানকার মেঘনায় অবৈধভাবে বালু কাটার কোন সুযোগ নেই। এধরণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসলেই তিনি ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি ) আনোয়ার হোসেন আকন্দের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।