লালমোহন প্রতিনিধি, ভোলাঃ ভোলা জেলার লালমোহন থানাধীন কালমা ইউনিয়নের ডাওরী বাজার। সেখানকার চরলক্ষী গ্রামে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের আবাসন প্রকল্প। সেই আবাসন প্রকল্পের ঘর পান না গরীব মানুষেরা। পেলেও টাকা গুণতে হয় এ গরীব মানুষদের। ঘরপ্রতি ৫/১০ হাজার করে টাকা নেন সেখানকার আশু সর্দার ও সেলিম সর্দার নামের ক্যাডার ভ্রাতৃদ্বয়। টাকা দিতে না পারলে যুবতী ও গৃহবধূদের অনৈতিক কুপ্রস্তাব দেন সেলিম সর্দার।
সেলিম সর্দারের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করেছেন স্থানীয় মুক্তা নামের এক যুবতী। মুক্তা জানায়, ঘর দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রায়ই সেলিম সর্দার তাকে রাতের বেলায় একান্তে কথা বলার জন্য ডাকে। এসব কুপ্রস্তাবের কথা বলতে গিয়ে একপর্যায়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মুক্তা।
এছাড়া আবাসন প্রকল্পের পুকুরের মাছ সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার কথা থাকলেও পুকুরগুলো জবরদখল করে রেখেছেন সেলিম সর্দার। এসব অনাচারের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলেই আবাসনের ভুক্তভোগী মানুষদের ওপর নেমে আসে নির্যাতন। এজন্য ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলারও সাহস পাচ্ছেন না। এখন অত্যাচার এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে কেউ কেউ জীবনের মায়া ত্যাগ করে ন্যায়বিচারের আশায় কথা বলতে শুরু করেছেন।
এই আবাসন প্রকল্পকে সেলিম সর্দার ইয়াবা ও মাদক ব্যবসার আখড়া হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন বলেও স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। এর ফলে শিক্ষার্থী ও যুবকরা মাদকাসক্ত হয়ে বিপথে যাচ্ছে বলেও তারা জানিয়েছেন।
সেলিম সর্দার এসব অভিযোগের বিষয়ে বলেন, কেউ যদি আবাসন প্রকল্পে ঘর দেওয়ার বিনিময়ে টাকা নিয়ে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে যুবতীকে একান্ত সময় কাটানোর কুপ্রস্তাব দেওয়া ও ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসার বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।
লম্পট সেলিম সর্দারের এসব অত্যাচার ও কুপ্রস্তাবের বিচার না পেয়ে তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী যুবতী মুক্তার বাবা নুরুল ইসলাম।
এ বিষয়ে লালমোহন থানার ওসি মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্ত সেলিম সর্দারসহ সংশ্লিষ্ট সব অপরাধীকে শীগ্রই গ্রেপ্তার করা হবে।
‘পদ্মায় গোসলে নেমে ৩ কিশোরের মৃত্যু’
রাজশাহীর পবা উপজেলায় পদ্মা নদীতে ডুবে তিন কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।......বিস্তারিত