TadantaChitra.Com | logo

১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভোলার জেলা ও দায়রা জজের বেআইনী কাণ্ডঃ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই নিয়োগ ১৮ জন!

প্রকাশিত : আগস্ট ১৮, ২০২১, ১৬:৩২

ভোলার জেলা ও দায়রা জজের বেআইনী কাণ্ডঃ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই নিয়োগ ১৮ জন!

নিজস্ব প্রতিবেদক: মো. গোলাম কিবরিয়া, ভোলা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নিম্নমান সহকারী/কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে সদ্য নিয়োগপত্রে তার পিতার নাম আব্দুর রউফ, গ্রাম: বাদুরতলা, ডাকঘর : হাড়িটানা, থানা : পাথরঘাটা, জেলা বরগুনা। এ বছরের ৪ এপ্রিল আদালতের ৬৪ নম্বর অফিস আদেশে ভোলা জেলা ও দায়রা জজ এ বি এম মাহমুদুল হক স্বাক্ষরিত নিয়োগপত্র গোলাম কিবরিয়াকে বুঝিয়ে দেয়া হয়।

এক দিকে ভোলার বাইরের বাসিন্দা এবং অন্য দিকে কোনো প্রকার আবেদন ছাড়াই নিয়োগপ্রাপ্ত কিবরিয়াসহ বাকি নিয়োগ পাওয়াদের নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় গোটা ভোলার আদালতপাড়ায়।

নিয়োগপ্রাপ্ত গোলাম কিবরিয়া নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব ভোলা জেলা যুগ্ম জজ (১ম আদালত) মুহাম্মদ জাকারিয়ার আপন ছোট ভাই। নিজ ভাই এবং আবেদন ছাড়া নিয়োগ পাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার না করে জেলা যুগ্ম জজ মুহাম্মদ জাকারিয়া এই বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, নিয়োগের বিষয়টি সম্পূর্ণ জেলা ও দায়রা জজ সাহেবের। আমি ছিলাম শুধু নিয়োগ কমিটিতে। তিনিই এই বিষয়ে বক্তব্য দিবেন।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ বি এম মাহমুদুল হকের নিকট জনবল নিয়োগে বিভিন্ন অনিয়মের বিষয় উল্লেখ করে জানতে চাইলে তিনি সংবাদটি প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে তার দফতরে চা পানের আমন্ত্রণ জানান গণমাধ্যমকর্মীকে। এ সময় তিনি অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের পক্ষে জোড়ালো সাফাই জানিয়ে বলেন, যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তারা গরিব ঘরের সন্তান এবং তাদের চাকরির বয়সও শেষ পর্যায়ে। সংবাদ প্রকাশিত হলে তাদের চাকরি থাকবে না উল্লেখ করে জেলা ও দায়রা জজ বলেন, যারা নিয়োগ পেয়েছেন তারা দীর্ঘদিন যাবৎ আদালতে অস্থায়ীভাবে কাজ করায় তাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

এ সময় প্রতিবেদক তার (বিচারক) আগের কর্মস্থল চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ এলাকার প্রার্থীরা কোন প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পেয়েছেন জানতে চাইলে অবৈধ উপায়ে নিয়োগপ্রাপ্তদের রক্ষায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এই বিচারক বলেন, গোপালগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকার প্রার্থীরাও তো নিয়োগ পেয়েছেন। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, সম্প্রতি কোনো ধরনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ছাড়াই ভোলা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ১১ জনকে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেয়া হয়। অতি গোপনে নিয়োগ পাওয়ার বিষয়টি প্রকাশ পেলে আদালতপাড়ায় সৃষ্টি হয় তোলপাড়, চলে গুঞ্জন। নিয়মলঙ্ঘন করে কিভাবে ওই ১১ ব্যক্তি নিয়োগ পেয়েছেন ইতোমধ্যে তা জানতে চেয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। আদালতের প্রশাসনিক দফতর সূত্রে জানা গেছে,  ভোলা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অফিস সহায়ক ও অন্যান্য পদে ১৪ জনকে নিয়োগ দেয়ার জন্য ২০১৬ সালে একটি জাতীয় দৈনিকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ১৪ জনকে নিয়োগ দেয়ার জন্য লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হয়। কিন্তু চূড়ান্তভাবে নিয়োগ দেয়ার সময় ১৪ জনের স্থলে নিয়োগ দেয়া হয় ৩২ জনকে। এই ঘটনা প্রকাশ পেলে সংশ্লিষ্ট আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিয়োগ বঞ্চিতদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। তাদের অনেকেই প্রশ্ন তোলেন ১৪ জনকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কিভাবে ৩২ জনকে নিয়োগ দেয়া হলো? বিষয়টি যখন জানাজানি এবং তোলপাড় শুরু হয় তখন ধামাচাপা দিতে সংশ্লিষ্ট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ বি এম মাহমুদুল হক গত ৭ এপ্রিল একটি অফিস আদেশ জারি করে অতিরিক্ত ১৮ জনের নিয়োগকে মিথ্যা এবং ভুয়া বলে উল্লেখ করেন।

তিনি ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গত ২ ও ৩ এপ্রিল ২০২১ তারিখে কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষায় কমিটির সুপারিশে ১৪ জনকে আমার (জেলা ও দায়রা জজ) স্বাক্ষরিত নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়। ওই তালিকার বাইরে কোনো প্রার্থীকে নিয়োগ প্রদান করা হয়নি। ফলে ৩২ জনের মধ্যে ১৮ জনের চাকরি অনিশ্চয়তায় পড়ে যায়। বড় ধরনের নিয়োগ বাণিজ্যের কারণে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অস্বীকার করা ১৮ জনের মধ্যে ১১ জনকে চার মাস পর গত ১৯ জুলাই কোনো ধরনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই সবার অগোচরে নিয়োগপত্র দেয়া হয়। যার স্মারক নম্বর ৯৫। তাদের মধ্যে পাঁচজন ইতোমধ্যে বেতনও উত্তোলন করেছেন। বাকি ছয়জনের বেতনও প্রক্রিয়াধীন। এ দিকে গোপনীয়ভাবে পাঁচজনের বেতন উত্তোলন এবং ছয়জনের বেতন উত্তোলন চেষ্টা করতে গিয়ে অবৈধ নিয়োগের বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। আর এই নিয়োগ চূড়ান্তকরণে বাধা হয়ে দাঁড়ান স্বয়ং আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।

সম্প্রতি আইন সচিব ওই পাঁচজনকে কোন প্রক্রিয়ায় বেতন প্রদান করা হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন ভোলা জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা প্রশন কান্তি পাল এবং জেলা হিসাবরক্ষণ সুপার বজলুর রহমানের কাছে। বাকি ছয়জনকে বেতন প্রদান থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন আইন সচিব। ওই দুই কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন। জেলা হিসাবরক্ষণ সুপার বজলুর রহমান জানান, আইন সচিব বিষয়টি আমাদের কাছে জানতে চাওয়ার খবর পেয়ে জেলা ও দায়রা জজ বেতনপ্রত্যাশী ছয়জনের কাগজপত্র জেলা হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে প্রত্যাহার করে নিয়ে গেছেন।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ১৪ জনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে অনেক নাটকীয় ঘটনার মধ্য দিয়ে আরও ১১ জনকে নিয়োগপত্র প্রদানের বিষয়টি গোপন রাখার জন্য সাত দফতর ও ব্যক্তির কাছে অনুলিপি প্রদানের উল্লেখ থাকলেও বাস্তবে শুধু নিয়োগপ্রার্থী এবং জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার দফতরে অনুলিপির কপি সরবরাহ করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, ভোলা জেলা পুলিশ সুপার এবং জেলা সিভিল সার্জন বরাবরে নিয়োগের এই অনুলিপি পাঠানো হয়েছে। বাস্তবে এসব দফতরে অনুলিপি পাঠানো হয় অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রথম মাসের বেতন উত্তোলনের পর।

ভোলা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক দফতর সূত্রে জানা গেছে, ভোলার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত গত ১৪ জুলাই ২০১৬ তারিখে (৩৫৯ নং স্মারক) একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। ওই বিজ্ঞপ্তিতে জেলা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার একজন, জারিকারক চারজন, নিম্নমান সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর সাতজন ও অফিস সহায়ক দুইজন, সর্বমোট ১৪ জনকে নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পাঁচ বছর পর ওই পদগুলোতে চলতি বছরের গত ২ এপ্রিল প্রায় ৩০০০ (তিন হাজার) পরীক্ষার্থীর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরের দিন (অর্থাৎ ৩ এপ্রিল) লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ফলাফল দেয়া হয়। উত্তীর্ণ প্রার্থীদের কম্পিউটার টাইপ ও মৌখিক পরীক্ষা ওই দিনই (৩ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় শুরু হয় এবং শেষ হয় রাত ১০টায়। পরদিন (৪ এপ্রিল) চূড়ান্ত উত্তীর্ণদের তালিকা নোটিশ না টানিয়ে জেলা ও দায়রা জজ বোর্ডে কার্যালয়ের অফিস আদেশ ৬০, ৬১, ৬২ ও ৬৩ নং স্মারকে ১৪ জনকে নিয়োগ দেয়া হয় এবং ওই দিন রাতেই সিভিল সার্জন কর্তৃক মেডিক্যাল বোর্ডের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ছাড়পত্র ছাড়াই তাদের যোগদান নেয়া হয়।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের বিভাগ, ঢাকার সার্কুলার নং-০৮/২০১৫ তারিখ-০৭/০৬/২০১৫ তে বলা আছে, জেলা পর্যায়ে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলায় স্থায়ীভাবে বসবাসকারী প্রার্থীদের নিয়োগ প্রদানে বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু ভোলা জেলা ও দায়রা জজ স্বাক্ষরিত ১৪ নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে সাতজনই ভোলার বাইরের বাসিন্দা।

সূত্র আরও জানায়, গত ৫ এপ্রিল ২০২১ লকডাউনে অফিস বন্ধের আগের দিন (৪ এপ্রিল) উল্লেখ করে অফিস আদেশ নম্বর-৬৪, ৬৫ ও ৬৬ মাধ্যমে নিয়োগ সংক্রান্ত বাছাই কমিটির সুপারিশকৃত প্যানেল থেকে শূন্য পদের বিপরীতে অতিরিক্ত বিভিন্ন পদে আরো ১৮ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়। এদের মধ্যে নিম্নমান সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে মো. ওয়াহিদুর রহমান (রোল নং-৩১৫), মো. মাহফুজুর রহমান (রোল নং-৩৬৪), মো. গোলাম কিবরিয়া (রোল নং-৬৩৪) রয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের তালিকায় এদের নাম নেই। ওই গোলাম কিবরিয়াকে যেই পদে (নিম্নমান সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক) নিয়োগ দেয়া হয়েছে; সেই সাত শূন্যপদের বিপরীতে প্রায় ১৪ শ’ জন প্রার্থী নিয়োগের জন্য আবেদন করেন। ওই ১৪ শ’ আবেদনকারীর মধ্যে নিয়োগ ও বাছাই কমিটির সদস্যসচিব মুহাম্মদ জাকারিয়ার আপন ছোট ভাই মো. গোলাম কিবরিয়া আবেদনই করেননি। নিয়োগ কমিটি কর্তৃক আবেদনকারীদের নামের তালিকাভুক্ত নথি (রেজিস্ট্রার) সূত্রে এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ একাধিক প্রার্থীর অভিযোগ ৬০, ৬১, ৬২ ও ৬৩ নম্বর অফিস আদেশে ভোলার বাসিন্দাদের নিয়োগ আদালতের নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে জানানোর মাধ্যমে প্রকাশ করে এবং ৬৪, ৬৫ ও ৬৬ নম্বর অফিস আদেশে জেলার বাইরের প্রার্থী, বিশেষ করে নিয়োগ কমিটি সদস্যদের আত্মীয়স্বজন এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অর্থ বাণিজ্যের প্রার্থীদের অতি গোপনে নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়।

গত ১৯ জুলাই জেলা জজ আদালতের ৯৫ নম্বর স্মারকে নিয়োগপ্রাপ্ত ১১ জনের মধ্যে মরহুম আ: কাদেরের ছেলে মো: আল আমিন, আবদুল বারীর ছেলে আবদুল হাই, লিটনের ছেলে মো. জাকির হোসেন, মো. আবদুস সাত্তারের ছেলে মো. হাবিবুর রহমান এবং নুর মোহাম্মদ হাওলাদারের ছেলে সাইফুল ইতোমধ্যে জুলাই মাসের বেতন উত্তোলন করেছেন।
হিসাবরক্ষণ অফিসে বেতন আটকে পড়া নিয়োগপ্রাপ্ত ছয়জন হলেন: ভোলার মরহুম আব্দুল হক মিজির ছেলে মো. ফয়েজ, ভোলার মো. জসিম উদ্দিনের ছেলে মুছা কালিমুল্লাহ, বরিশাল মহানগরীর সেলিম মৃধার ছেলে মো. ফখরুল ইসলাম মৃধা, বরিশাল মহানগরীর মো. সাইফুল ইসলামের স্ত্রী লুৎফুন নেছা, চুয়াডাঙ্গার মো. আবদুল ওয়াহেদ আলীর ছেলে আতিকুল ইসলাম ও কুষ্টিয়ার মো. লুৎফর রহমানের ছেলে মো. জুয়েল রানার বেতনও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

নিয়োগে অনিয়মের বিষয়ে ভোলা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মঞ্জুর মোর্শেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি এই বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। কিন্তু একই দফতরের হিসাব সহকারী মিজানুর রহমান ১৪ জনের নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে অন্য কোনো নিয়োগের বিষয় তার নলেজে নেই বলে তিনি জানান। অবশ্য সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ১১ জনের মধ্যে বেতন প্রাপ্ত পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে তারা অফিসের স্টাফ কি না জানতে চাইলে তিনি তাদের চিনেন বলে জানান।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।