কুুমিল্লা প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের বাঘারপুস্করণী গ্রামের নিরীহ হাফেজ মিয়া মামলাবাজদের খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন। বিভিন্ন অভিযোগে এ পর্যন্ত ওই চক্রটি আদালত ও থানায় তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা দায়ের করেছে।
যুবক হাফেজ মিয়ার অভিযোগ, বাড়ির জায়গা নিয়ে বিরোধ থাকায় তার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে। হাফেজ মিয়া আরও জানান, ২০১৬ সালে হাফেজ মিয়ার নিকটাত্মীয় আবদুল বারিকের সাথে বাড়ির পৌনে তিন গন্ডা জায়গা নিয়ে বিরোধ শুরু হয়। শালিশ বৈঠকের মাধ্যমে উভয়পক্ষের সে সমস্যার সমাধান হয় এবং আবদুল বারিক নিজের জায়গা হাফেজ মিয়ার নিকট বিক্রি করে চলে যায়। নিজ ও ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে হাফেজ মিয়া ঘর নির্মাণ করলে পাশ^বর্তী লোকমান হোসেনের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ বিরোধের জের ধরে লোকমান হোসেনের নিকটাত্মীয় হাসিনা বেগমকে দিয়ে ওই বছরই কুমিল্লার বিজ্ঞ আদালতে হুমকি-ধমকির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে অপর আত্মীয় রুপিয়া বেগম নামে আরেক নারীকে দিয়ে কুমিল্লার বিজ্ঞ আদালতে দাঙ্গা-হাঙ্গামার অভিযোগে আরও একটি মামলা দায়ের করে। লোকমান হোসেনের পক্ষে ২০১৭ সালে দূর্গাপুর গ্রামের মৃত মুন্সি মিয়ার পুত্র আবদুল লতিফ তাঁর ছেলে মোঃ জামালকে বিদেশ নেয়ার কথা বলে ৪ লাখ টাকা গ্রহণ করার অভিযোগে হাফেজ মিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়।
লোকমান হোসেনের আরেক নিকটাত্মীয় আবুল হোসেন নামীয় এক ব্যক্তিকে দিয়ে হাফেজ মিয়ার বিরুদ্ধে কুমিল্লার বিজ্ঞ আদালতে বিদেশে নেয়ার কথা বলে ৮ লাখ টাকা গ্রহণ করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে চলতি বছরের ২১ সেপ্টেম্বর প্রতারণার অভিযোগে আরও একটি মামলা দায়ের করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাফেজ মিয়া ছোট বেলা থেকেই বেকারীতে চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করতো। এরই মধ্যে ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বাঘারপস্করণী গ্রামে একটি চক্র আদালত ও থানায় বিভিন্ন অভিযোগে মামলা ও অভিযোগ দায়ের করে আসছিল। মামলার গ্লানি টানতে টানতে নিরীহ হাফেজ মিয়া হয়েছে স্বর্বশান্ত। গত এক মাস আগে সে কুমিল্লা শহরের একটি কিন্ডার গার্টেনের পিয়ন হিসেবে চাকরি নেয়।
মামলাবাজ আবুল হোসেন চক্রের কবলে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন নিরীহ যুবক হাফেজ মিয়া। আবুল হোসেন চক্রে রয়েছে আবদুল লতিফ ও লোকমান হোসেনসহ কয়েকজন নারী। মামলাবাজদের কবল থেকে বাঁচতে সার্বক্ষণিক আতঙ্কে থাকেন বাঘারপুস্করণী গ্রামের সাধারণ মানুষ। মামলাবাজরা একজোট হয়ে নিরীহ ব্যক্তিদের নামে বিভিন্ন অভিযোগ দিয়ে থানা এবং আদালতে মামলা করেন। মামলায় একজন বাদি হলে একই গ্রুপের অন্যদের রাখা হয় স্বাক্ষী হিসেবে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বাঘারপুস্করণী গ্রামকে মামলাবাজ থেকে মুক্ত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ভুক্তভোগী হাফেজ মিয়াসহ সাধারণ মানুষ। দীর্ঘদিন অনুসন্ধানেও মামলায় উল্লেখ করা অভিযোগের কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে মামলার বাদি আবুল হোসেন বলেন, ‘টাকা নেয়ার বিষয়ে হাফেজ মিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছি’। ২০১৬ সালে আবদুল লতিফও তার ছেলেকে বিদেশ নেয়ার কথা বলে টাকা নেয়ার অভিযোগে মামলা করেছে-এটি জানার পরও কেন টাকা টাকা দিয়েছেন-এমন প্রশ্নের জবাব তিনি এড়িয়ে যান’। এছাড়া একটি সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে আপনার নেতৃত্বে একটি চক্র বারবার নিরীহ হাফেজ মিয়াকে কেন মামলা দিচ্ছেন?-এমন প্রশ্নের তিনি কোন জবাব দেননি।
‘কুষ্টিয়ায় চায়ের দোকানে দুজনকে গুলি, আওয়ামী লীগ নেতাসহ আটক ২’
কুষ্টিয়ার মিরপুরে আওয়ামী লীগ নেতার গুলিতে দুজন আহত হয়েছে বলে......বিস্তারিত