
মোঃ এমিলীঃ কেরানীগঞ্জে ৯ মাসের শিশু আবরার ছাদ থেকে ফেলে হত্যার ঘটনায় মামলা হলেও আসামীরা দিবালোকে ঘুরে বেড়াচ্ছ। মোটা অংকের টাকা খেয়ে আাসামীদের গ্রেপ্তার করছে পুলিশ-এমন অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী (আবরারের দাদী) আয়শা আক্তার। তিনি বলেন, আসামী ধরার কথা বললে পুলিশ বলে, মামলা করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় দরখাস্ত করছো, মামলা হইছে। যাাও এখন মামলার কাগজ ধুইয়া পানি খাও।
বৃহস্পতিবার এ প্রতিবেদকের কাছে এমন অভিযোগ করেন আয়শা আক্তার। গত মাসের ২১ তারিখে দক্ষিন কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর কলাকান্দি নানার বাড়ির ছাদের নিরাপত্তা প্রাচীর ভেঙ্গে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হয় শিশু আবরার। পরদিন রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়। এঘটনায় শিশুটির দাদী বাদী হয়ে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানায় শিশুটির মা সুপ্তি আক্তার ও খালা যুথি আক্তারকে আসামী করে মামলা করেন।
আবরারের বাবার নাম পারভেজ আহমেদ। তিনি ৮ মাস ধরে কাতার প্রবাসী। পারভেজের পরিবারের অভিযোগ, স্বামীর সঙ্গে সুপ্তির বনাবনি হচ্ছিল না। পারভেজ বিদেশ চলে যাওয়ায় সুপ্তি আবরারকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যান। সেখান থেকে সুপ্তি আক্তার তাদের জানান, পারভেজের সঙ্গে সে আর সংসার করবে না।
আয়শা আক্তার অভিযোগ করেন, নিজের শিশু সন্তানকে পথের কাটা ভেবে বড় বোন যুথির সহযোগিতায় ছাদ থেকে ফেলে আবরারকে হত্যা করা হয়েছে। এঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে প্রথমে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে আইজিপি মহোদয়ের কাছে দরখাস্ত করার পর পুলিশ মামলা নেয়। তবে হত্যা মামলা না নিয়ে ‘অবহেলার ফলে মৃত্যু ঘটানোর অপরাধ’ এ মামলা রুজু করা হয়। কিন্তু মামলা হওয়ার পরও পুলিশ নানা টালবাহানা করতে থাকে। আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরলেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না। এমনকি এ বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা রয়েছে, সেটাও মানছে না পুলিশ।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার এসআই সজিব চন্দ্র জানান, বাদীর অভিযোগ সঠিক না। আসামীরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছে না।
