নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মামলায় নাজুক পরিবার জেলে থাকা প্রিয়জনকে দেখতে আদালতে পাড়ায় এসে নানামুখী হয়রানির শিকার হন। এসব হয়রানির পাশাপাশি বন্দী প্রিয়জনকে দুপুরের খাবার দিতে খাবার হোটেলে গুনতে হয় স্বাভাবিক বাজার মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত টাকা। ভাত থেকে শুরু করে মাংসের দাম উচ্চ। ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে অবস্থিত “কোর্ট ক্যান্টিনের” চিত্র এমনটা-ই। হোটেল নয়’ এ যেনো সাধারণ মানুষের গলাকাটা ফাঁদ।
জমি সংক্রান্ত মামলায় জেলে থাকা রুবেলকে খাবার কিনে দিতে গিয়ে মাত্রাতিরিক্ত দাম নেওয়া প্রতিবাদ করেন তাঁর বৃদ্ধ বাবা মোয়াজ্জেম আলী। তাঁর দাবী, আদালতের বাহিরের হোটেলগুলো থেকেও মাত্রাতিরিক্ত দাম নিচ্ছে “কোর্ট ক্যান্টিন” মালিক।
তিনি জানান, ছোট এক পিস ইলিশ মাছের দাম ২০০ শত টাকা। মাছের ছোট একটা ডিমের দাম নেওয়া হচ্ছে ১৫০ টাকা। বাহিরে যে পরিমান ভাত ১০ টাকায় বিক্রি হয়, সেই ভাতের অর্ধেক এখানে নেওয়া হয় ১৫ টাকা। মুরগীর মাংসের দাম ১২০ টাকা ও গরুর মাংসের দাম নেওয়া হচ্ছে ১৫০ টাকা। সবচেয়ে বড় কথা হল, হাজতি আসামীর জন্য খাবারের অর্ডার করলে ( ভাত, মাছ বা গরু মাংস, অথবা মুরগী মাংস) যেটাই হোক তাঁরা খাবার দিয়েই ৫০০-৬০০ টাকা বিল নিয়ে নেন। সন্তানের জন্য খাবার নিতে এসে তর্কবিতর্ক না করে খাাবর নিতে হয়। আবার তাঁদের সাথে তর্কে গেলে গায়ে হাত দিতে আসে।
তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ক্যান্টিন মালিক ইব্রাহিমকে জানালে সে উল্টো প্রশ্ন করেন ঢাকায় কি নতুন নাকি। কখনো ঢাকার কোন হোটেলে খাওয়া দাওয়া করছি কি না.? ইব্রাহীমের কথাবার্তা চরম খারাপ বলে জানান মোয়াজ্জেম আলী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোর্ট ক্যান্টিনের রান্নাঘরটি ময়লা আবর্জনায় স্তব্ধ। অপরিষ্কার, তেলাপোকা ও মশা-মাছির বাসস্থান। রান্না করা ভাত-তরকারিতে মাছি ঘেনঘেন করছে। এসব বিষয়ে কোর্ট ক্যান্টিনের ম্যানেজারের সাথে কথা বলতে চাইলেও তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
‘রাজশাহীতে আবাসন ব্যবসায়ী”র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ব্যবসায়ীক ও যুবলীগ নেতা’
নিজস্ব প্রতিনিধি: আদালতে নির্দেশনা অমান্য করে জালিয়াতি মাধ্যমে জমি হাতিয়ে......বিস্তারিত