TadantaChitra.Com | logo

২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দৌলতখানে সেনাবাহিনীর চাকুরিচ্যুত কর্মকর্তার ছেলে কর্তৃক ধর্ষণের পর শিশু হত্যা!

প্রকাশিত : জুন ১৬, ২০১৮, ১৫:০৪

দৌলতখানে সেনাবাহিনীর চাকুরিচ্যুত কর্মকর্তার ছেলে কর্তৃক ধর্ষণের পর শিশু হত্যা!

মাত্র ৮ শতাংশ জায়গার বিরোধ নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের হিসেবে ধর্ষন শেষে খুনের স্বীকার হলো সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী জাফরিন (১২)। জাফরিনের পিতা মোঃ আলম হাজারী।

সূত্রে জানা গেছে,  নদীভাঙ্গা মানুষ ভিটেমাটি নদীগর্ভে বিলীন, পরিবার নিয়ে একটু মাথাগোজার ঠাই নিতে দৌলতখান থানাধীন ৭নং মধ্য জয়নগরের বাসিন্দা সাবেক সেনা সদস্য বাবুলের নিকট চড়া দামে ৮শতাংশ জায়গা ক্রয় করে তিন লাখ টাকায় জাফরিনের বাবা আলম হাজারী। জায়গার সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধের পরেও দলিল দিতে বাবুল গড়িমসি করে। এ নিয়ে বাবুলের সঙ্গে নিহতের বাবার কয়েকদফা বাকবিতণ্ডার পর গত ১লা মার্চ জায়গার দলিল দিয়ে অন্যায়ভাবে আরও অতিরিক্ত চল্লিশ হাজার টাকা দাবী করে বাবুল। নিহতের বাবা তা দিতে রাজি না হলে তাকে প্রান নাশের হুমকি ধামকি দিতে থাকে। অবশেষে গত ২রা মার্চ শুক্রবার বিকাল ২ ঘটিকায় নিহতের মাকে কৌশলে ঘর থেকে বের করে বাবুলের সহযোগীতায় নিহত জাফরিনকে ধর্ষণের পর হত্যা করে বারান্দায় আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে বাবুলের পুত্র রাব্বি।

ঘাতক রাব্বী কর্তৃক ধর্ষণ, খুনের স্বীকার জাফরিন।

হত্যার পর স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে চালিয়ে দেয়ার সবরকমের চেস্টা করে হত্যাকারীরা। অথচ দৌলতখান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান- মোশারেফ হোসেন কান্টু মাস্টার নিহতের জানাজায় এসে উচ্চস্বরে বলেছিলেন মেয়েটা কে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের বাবা আলম হাজারী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করতে গেলে প্রভাবশালীদের চাপে মামলা নিতে থানা কতৃপক্ষ গড়িমসি করে।

নিহত জাফরিনের বাবা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, উক্ত ঘটনার চারমাস পার হলেও আমি স্থানীয় প্রভাবশালীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও আমার শিশুকন্যা হত্যার বিচার পাইনি। বিভিন্নভাবে কালক্ষেপন করেছে তারা। অবশেষে কোন উপায় না পেয়ে আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উক্ত ওয়ার্ডের একজন বাসিন্দা জানান, বাবুল গংদের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। বাবুল গংদের সাথে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সখ্যতার কারণে এলাকার সাধারণ জনগণ প্রতিবাদ করার সাহসটুকুও পাচ্ছে না। এলাকায় খুন ধর্ষণ চুরি ডাকাতিসহ এহেন অপকর্ম নেই যা বাবুল গংদের দ্বারা সংগঠিত হয় না।
অভিযোগ রয়েছে অনিয়ম দুর্নীতি ও অপকর্মের জন্য সেনাবাহিনী থেকে বাবুলকে চাকুরিচ্যুত করা হয়। ধর্ষক ও খুনি বাবুল গংদের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। জাফরিনের বাবা আলম হাজারী গনমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ঘাতকদের ভয়ে বর্তমানে আমি ভিটেমাটি ছাড়া।পরিবার পরিজন নিয়ে বিভিন্নস্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।

তবে সাবেক সেনাবাহিনী থেকে  ‍বিভিন্ন অপকর্মে দ্বায়ে চাকুরীচ্যুত বাবুল বিভিন্ন গনমাধ্যমের সাংবাদিকদেরকে হুমকি দিয়ে সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে বলেন। যদি এই ঘটনার ব্যাপারে কোন ধরনের সংবাদ প্রকাশ করা হয় তাহলে যে সাংবাদিক সংবাদ প্রকাশ করবে তাকে খুন, গুমসহ নানা ধরনের হয়রানী করবেন। এমন একটি ঘটনা ঘটিয়েও বাবুল বা তার ছেলে কোন ধরনের আইনের মুখোমুখি হতে হয়নি। আরো বীরদর্পে এলাকা ও পুরো ভোলায় জেলায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। এছাড়াও এলাকায় বাবুল নিজেই বলে বেড়াচ্ছে তিনি নাকি এ হত্যাকান্ডকে অন্যখাতে প্রভাহিত করতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদেরকে ও থানা পুলিশকে টাকার বিনিময়ে ক্রয় করেছেন।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।