TadantaChitra.Com | logo

১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

এমপি’র ভাতিজা আলিফের অর্থায়নেই কাউন্সিলর বাপ্পীকে হেয় করার ষড়যন্ত্রের জাল

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২, ১৩:০৪

এমপি’র ভাতিজা আলিফের অর্থায়নেই কাউন্সিলর বাপ্পীকে হেয় করার ষড়যন্ত্রের জাল

নিজস্ব প্রতিনিধি : যত টাকা লাগে চেক নিয়ে যান, যেখানে যা লাগে আমি সব দিবো, বারবার টাকা কামানোর সুযোগ পাবেন না এভাবেই এমপি ভাতিজা আলিফ মোল্লা কাউন্সিলর বাপ্পীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করেন রুপনগরের জুলিয়া আক্তার জুলিকে দিয়ে। গত কয়েক মাস যাবৎ তুচ্ছ ঘটনার রেশ ধরে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উত্তরের ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাইজুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পীর বিরুদ্ধে কখনো থানায় জিডি আবার কখনো সংবাদ সম্মেলন করছে জুলি নামের একটি মেয়ে। তবে এতো সব নীল নকশার কারণ কি বা তার মুল হোতাদের ইতিহাসের নেপথ্যে কি রয়েছে তা পাওয়া যায় গোপন একটা ভয়েজ রেকর্ড থেকে।

জানা যায়, গত ডিসেম্বরে তাইজুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পীর বোনের সাথে সামান্য কথা কাটাকাটি হয় জুলির। এরপর সেই ঘটনায় থানায় জিডি হলে দুই পক্ষ আপোষ করে নেয়। এরপর গত ১৭ ফেব্রুয়ারী জুলি আবার বাপ্পীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে জানায় বাপ্পী তাকে বেতন দেবার জন্য ডেকে গুলি করে মেরে ফেলতে চেয়েছে।

গোপন সুত্রে, প্রাপ্ত্য ভয়েজ রেকর্ডের মাধ্যমে জানা যায় জুলির স্বামী নয়ন নিজেই জানাচ্ছেন, প্রথম ঘটনার পরপরই জুলির ফোন নাম্বার যোগার করে জুলিকে ফোন দেয় এমপি ভাতিজা আলিফ মোল্লা, ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক ও ভিপি রবিন। ঘটনা ঘটার কিছু সময়ের মধ্যেই পল্লবী থেকে রুপনগর ছুটে যান কাউন্সিলর মানিক এবং আলিফ মোল্লা। তারা জুলিকে বাপ্পীর বিরুদ্ধে মামলা করতে বলে এবং এজন্য যত টাকা লাগবে যা চাইবে জুলিরা তাই দিবে বলে অগ্রিম চেকও প্রদান করতে চায় তারা। আলিফ, মানিক, রবিনের সাথে যুক্ত হয় রুপনগর সাবেক ছাত্রলীগের নেতা অপু। তারা জুলিকে সাথে নিয়ে থানায় যান মামলা করতে। সেখানে জুলির স্বামী নয়ন বারবার জুলিকে থানায় যেতে নিষেধ করলেও আলিফ, মানিক, অপুর কারণে জুলি যেতে বাধ্য হয়। ওই ভয়েস রেকর্ডের মাধ্যমে জানা যায় নয়ন বলে আমি আলিফ মোল্লাকে চিনিও না সেই আমাকে ফোন দিয়ে বাপ্পীর বিপক্ষে যেতে বললে আমি রাজী না হওয়ায় সে বলে নয়ন তুমি এটা কি কও আমি এটা মানতে পারছি না, তুমি আমার আত্মীয়, তুমি কোন ভাবেই পিছপা হবে না যা করা লাগে আমি আছি।

সে ঘটনায় কিছু না করতে পেরে গত ১৭ ফেব্রুয়ারী জুলি ডিআরইউতে সংবাদ সম্মেলন করে সেখানে জুলি বলেছে কাউন্সিলর বাপ্পী তাকে বেতন দেবার জন্য ডেকে নিয়ে গুলি করে মারার হুমকি প্রদান করে। অথচ জানা যায় জুলি বা তার পরিবারের কেউই বাপ্পীর কোন গামের্ন্টসে কাজ করে না।

এ বিষয়ে কাউন্সিলর বাপ্পী জানান, আমার কাছে জুলি এসে জানায় যে তার পরিচিত ৪ জন আমার বোন জামাইয়ের গামের্ন্টসে কাজ করে। ওই ৪ জনের বেতন জুলিকে দিচ্ছেনা আমার ছোট বোন জামাই। বাপ্পী বলেন, আমি আমার ছোট বোন জামাইকে রনিকে ফোন দেই এবং তার কাছে জানতে চাই কেন ৪ জন গামের্ন্টস কর্মীকে বেতন দেওয়া হচ্ছে না। আমার বোন জামাই মুঠো ফোনেই আমাকে জানান, যারা বেতন পান তারা কেউই টাকা নিতে আসে নাই জুলি এসে টাকা চায়। জুলি তো আমার গামের্ন্টসে চাকরি করে না তাকে কেন অন্যদের বেতনের টাকা দিবো। যারা টাকা পায় তারা আসলেই তো গামেন্টর্স থেকেই বেতন নিয়ে যেতে পারে। বাপ্পী জুলিকে বলেন যেহেতু তুমি ওই গামের্ন্টেসে কাজ করো না তাই হয়তো তোমাকে দেয়নি যারা পাবে তাদের পাঠিয়ে দাও দিয়ে দিবে। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে জুলি কাউন্সিলর বাপ্পীকে অকথ্য ভাষায় বকাবকি ও হুমকি দিয়ে চলে যায় যা ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারী অন্য একটি ভয়েজ কলের মাধ্যমে জানা যায় জুলির বাবা গামের্ন্টসের একজনকে ফোন করে বলছেন ওই ৪ জনের টাকা ক্উাকে দেবার দরকার নাই আমি নিজে এসে নিবো। তাইজুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পী জানান জুলি আমাকে হুমকি দিয়ে গেছে যে আমার কাউন্সিলরই খেয়ে ফেলবে আমার দলীয় পদও খেয়ে ফেলবে। কথাটিকে আমি নিছক কথার কথা কথা ভেবে উড়িয়ে দিলেও পরে জানলাম একটি চক্রের সাথে যুক্ত হয়ে তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। যেখানে আমাকে যে কোন ইস্যুতেই তারা জড়াতে চাই অথচ আমার কোন অপরাধের বিষয়ই নাই। ও যে বেতনের কথা বলছে তা তো আমার কাছে পায় না বা আমি তাদের আমার অফিসে ডাকিও নাই।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।