ইন্ডিয়ান হারবাল ডাক্তার থেকে মহা জ্যোতিষী হাওলাদার ভাই!

লেখক: সাব এডিটর
প্রকাশ: ৭ years ago

জাহিদ হাসান খান রনি: পুরো নাম তার গোলাম ফারুক হাওরাদার। বর্তমানে শর্টকার্টে ব্যবহার করেন জিএফ হাওলাদার ভাই। রাজধানীতে পা রেখেই মগবাজার চৌরাস্তা প্রথমেই শুরু করেন ইন্ডিয়ান হারবালের ব্যবসা। এই ব্যবসা করে তেমন সফলও হতে পারেন নি তিনি। তবুও চালিয়ে গেছেন হারবালের ব্যবসা। মাঝে মধ্যে ইন্ডিয়া গিয়ে প্রশিক্ষণ নিতে মানুষের গলা কাটা ব্যবসা জ্যোতিষী ও পাথর ব্যবসার। গুরু ছাড়া শিষ্য তিনি। বর্তমানে সাধারণ মানুষের সরলতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বোকা বানিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। বলা চলে বর্তমানে তিনি দ্বিতীয় লিটন দেওয়ান হিসেবে অবস্থান করছেন যমুনা ফিউচার পার্কে। মগবাজার এলাকায় যখন তিনি হারবাল ব্যবসা করতেন তখন তাকে ভ্রাম্যমান আদালত জেল জরিমানা করেন বলে জানা গেছে। এরপরও থেমে ছিল না তার সেই হারবালের কার্যক্রম। একপর্যায়ে হয়ে উঠেন মহা জ্যোতিষী হিসেবে। সেই মগবাজার চৌরাস্তার হারবাল প্রতিষ্ঠানেই চাইনবোর্ড পরিবর্তন করে শুরু করেন পাথর ব্যবসা। নামও দেন ভুয়া জ্যোতিষী লিটন দেওয়ানের নামে নাম। কয়েক মাস এখানে ব্যবসা করে পরবর্তীতে যমুনা পিউচার পার্কে বিশাল চেম্বার নিয়ে বর্তমানে সেখানে জমজমাট ব্যবসা করে যাচ্ছেন। সূত্র জানায়, গোলাম ফারুক হাওলাদার ইন্ডিয়ান হারবাল ডাক্তার থাকাকালে ওই সময়ে সেক্সুয়াল ঔষধ বিক্রির দায়ে জেল জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত। যার ফলে তিনি ব্যবসার ধরণ পাল্টিয়ে জ্যোতিষী বনে যান। ভারত থেকে পাথর এনে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করেন। যদিও তার এই ব্যবসার কোন বৈধ লাইন্সে নাই। নামের পরে একাধিক স্বর্ণপদক প্রাপ্তও দেখা যায় তাকে। আসলে কোন ভাল কাজে তিনি এই স্বর্ণপদক লাভ করেন নাই। টাকার বিনিময়ে কিনে নিয়ে পরশমনি জেমস হাউজে সাজিয়ে রেখে সাধারণ মানুষকে বোকা বানানোর ফন্দি হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। তার আরো অজানা কাহিনী নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। অনুসন্ধান চলছে আরো বিস্তারিত পরবর্তীতে।

সংবাদটি শেয়ার করুন...