‘টেলিহোম’ নাট্যনির্মাতা প্রতিষ্ঠানের আড়ালে আলী বশিরের মানবপাচার, হুন্ডি ও মাদকের রমরমা ব্যবসা!

লেখক: সাব এডিটর
প্রকাশ: ৪ years ago

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বনানী এলাকায় ‘টেলিহোম’ নামে কথিত এক নাট্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের মালিক আলী বশিরের নাট্য নির্মাতা পরিচয়ের আড়ালে নারী পাচার, হুন্ডি ও মাদক ব্যবসা সহ সরকারের ঘোর বিরোধী বিপদজনক ব্যক্তিদের সাথে গোপন সখ্যতার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বনানীর ১৬ নম্বর রোডের ১২০ নাম্বার বাড়িতে অবস্থিত ‘টেলিহোম’ নামের নাট্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের মালিক আলী বশির নাট্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড এর আড়ালে রাষ্ট্রের জন্য বিপদজনক ও ঘোর বিরোধী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে গভীর সখ্যতা পুঁজি করে মডেলিংয়ের নামে সুন্দরী মডেল সাপ্লাই, মাদক ও হুন্ডি ব্যবসা সহ নারীদের বিদেশে পাচার সহ বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক ও অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে কয়েক বছর ধরে। এ বিষয়ে জনৈক এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে একটি অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, মডেল সাপ্লাই, হুন্ডি ও মাদকের রমরমা বাণিজ্য করে কোটি টাকা টাকা উপার্জন তার নেশা ও পেশা।
এছাড়াও নাটক নির্মাণে অংশীদারিত্বের নামে সমাজের ধন্যাঢ্য ব্যক্তিদের থেকে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে কথিত নাট্য নির্মাতা আলী বশিরের নামে। দেশের নামিদামি ধন্যাঢ্য শিল্পপতিদের ব্ল্যাকমেইল করার হাতিয়ার হিসেবে মডেল ও মাদক সাপ্লাই টোপ হিসেবে ব্যবহার করে আলী বশীর।

সরকারের জন্য হুমকি তথা বিতর্কিত সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার ঘনিষ্ঠ সহযোগী রঞ্জিত মল্লিক বর্তমান সিঙ্গাপুরে অবস্থান করেছেন। সে রঞ্জিত মল্লিকের মাধ্যমে অবৈধ পথে হুন্ডি ব্যবসার দেশের মূল এজেন্ট হিসেবে পরিচিত কথিত নাট্যনির্মাতা হিসাবে পরিচিত এই আলী বশির।

সম্প্রতি টেলিকম নাট্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের এই কথিত মালিকের অপকর্ম ও অনৈতিক কার্যকলাপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গুরুতর অভিযোগ জমা পড়েছে। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী অভিযোগটি করেছেন বলে অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে গুলসান সোসাইটি এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান ২ এর ৫৫ নাম্বার রোডের ১০ নাম্বার বাড়ি “প্রমথ বিলাস” ভবনে বসবাস করেন আলী বশীর। আলী বশির একজন প্রতারক টাইপের মানুষ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করেছে বলে গুলশান এলাকায় তার পরিচিতজনদের মধ্যে ব্যাপক সমালোচিত ও বাটপার প্রকৃতির হিসেবে পরিচিত।

অভিযোগের সূত্র জানা গেছে, অভিজাত এলাকায় বসবাস করার সুবাদে দেশের ধন্যাঢ্য ও নামিদামি ব্যক্তিবর্গের সাথে তার উঠা বসা। প্রথমে এসব ব্যক্তিদের টার্গেট করে নারীও মাদকে আকৃষ্ট করার পর আবার সেসব তথ্য নিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং করে হাতিয়ে নেন চাহিদামত অর্থ। নারী, মাদক ও হুন্ডি ব্যবসার পাশাপাশি ব্ল্যাকমেলিংয়ের মাধ্যমে শতকোটি উপার্জন করা অর্থ আলী বশির দেশের বাইরে হুন্ডির মাধ্যমে পাঠিয়ে দেন বলে অভিযোগ সূত্রে জানা যায়।

আলী বশীরের বিরুদ্ধে মডেল সাপ্লাই মাদক হুন্ডি ব্যবসা ও প্রতারণার অভিযোগ সম্পর্কে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন বিষয়টি এই প্রথম শুনলাম। যদি আমার বিরুদ্ধে এমন কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে অবশ্যই তদন্ত হবে। তিনি আরও বলেন, এমন অসাধু কাজ আমার কেন করতে হবে বরং আমার সাথে যারা কাজ করে তারা সবাই স্বীকার করে যে জীবনে এই প্রথম একটা অথেন্টিক জায়গায় কাজ করছি। আপনারা দেখেন তদন্ত করে।

তবে বনানীর ১৬ নম্বর রোডের ১২০ নাম্বার বাড়ির আশেপাশের লোকজন বলেছেন ভিন্ন কথা। তাঁরা বলেন, শেখ পরিবারের লোকজনের সাথে আলী বশিরের গভীর সম্পর্ক রয়েছে বলে নিজেকে জাহির করে মানুষের সাথে প্রতারনা করে যাচ্ছে। করোনা মহামারির শুরুতে মাক্স, পিপিই, হ্যান্ডসেনিটাইজার উচ্চ দামে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। সে সময়ে এসব কেলেংকারী নিয়ে বিভিন্ন লোক গ্রেফতার হলেও আলী বশির থেকেছেন ধরাছোঁয়ার বাহিরে। আরো বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন পত্রিকায়…..

সংবাদটি শেয়ার করুন...