আলিফ হোসেন, তানোর : আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) সংসদীয় আসনে কর্মী-জনবান্ধব নেতা গোলাম রাব্বানি ও অপ্রতিদ্ব›দ্বী সাবেক ডাকমন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের মধ্যে জম্পেশ লড়াইয়ের সম্ভবনা রয়েছে রাজনীতির মাঠে এমন চিত্র ফুটে উঠেছে। জানা গেছে, বিএনপিতে ব্যারিস্টার আমিনুল হকের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নাই তিনি বিএনপির প্রার্থী এটা নিশ্চিত। অন্যদিকে আওয়ামী লীগে তিন জন মনোনয়ন দৌড়ে রয়েছেন এরা হলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাংসদ ওমর ফারুক চৌধূরী, তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, মুন্ডুমালা পৌর মেয়র ও তিনপ্রজন্মের জনপ্রতিনিধি গোলাম রাব্বানি এবং (সাবেক) পুলিশ কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান। তবে জনমত জরিপ ও তৃণমূলে পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছে গোলাম রাব্বানি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল এসব বিবেচনায় আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোলাম রাব্বানি ও ব্যারিস্টার আমিনুলের মধ্যে তীব্র লড়াই হবার সম্ভবনা দেখছে তবে, শেষ পর্যন্ত রাব্বানির বিজয়ী হবার উজ্জল সম্ভবনা রয়েছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত, সাবেক ডাকমন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুলের বড় পরিচয় তার সময়ে নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা, বিদ্যুৎ লাইন সম্প্রসারণ, সেতু-কালভ্রাট ও রাস্তা পাকারণের ম্যাধ্যমে শিক্ষা ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এলাকাকে শিক্ষা এবং যোগাযোগ বান্ধব হিসেবে গড়ে তোলা যা এখানো এই অঞ্চলের মানুষের মনে বিশাল স্থান করে নিয়েছে। অন্যদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়র প্রবীণ ও বর্ষিয়ান রাজনৈতিক নেতা গোলাম রাব্বানি গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি থেকেছেন সামনের সারিতে দিয়েছেন সফল নেতৃত্ব, দল ও জনগণের অধিকার রায় তিনি একজন নিবেদিতপ্রাণ, কর্মী ও জনবান্ধব, পরীতি ও লড়াকু সৈনিক হিসেবে গণমানুষের নেতায় পরিণত হয়েছেন। তার বাবা প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী মাহাম ছিলেন এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষের কাছে সমান জনপ্রিয়। সাধারণ মানুষ এখানো মাহামের কথা মনে করে মনের অজান্তেই কেঁদে উঠে। প্রয়াত মাহাম পরিবারের প্রায় শত বছরের রাজনৈতিক ঐতিহ্য, সামাজিক পরিচিতি ও বিশাল জনসমর্থন রয়েছে। তার পুত্র গোলাম রাব্বানিও নেতৃত্বের গুনে সাধারণ মানুষের কাছে সমান জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। দেশের প্রচলিত রাজনৈতিক ধারায় থাকলেও লোভ লালসার স্রোতে তিনি গা ভাসিয়ে দেননি। তিনি তৃণমুল নেতা ও কমী-সমথর্কদের সঙ্গে থেকে এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন সংগ্রাম। এই সংগ্রাম রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন সূচনার সংগ্রাম। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগকে অর্থ নয় মেধার কাছে জিম্মি রাখতে চান। রাব্বানি বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের উন্নয়ন ধারাকে এগিয়ে নিতে আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করে নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছেন। ফলে আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক ও মাহাম পরিবারের বিপুল জনসমর্থন কাজে লাগাতে পারলে রাব্বারি বিজয়ী হওয়া সময়ের বিষয় মাত্র। এসব বিবেচনায় রাব্বানি নৌকা প্রতিক পেলেই এমপি এটা প্রায় নিশ্চিত বলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও শিকার করছে।
গোলাম রাব্বানি বলেন, রাজশাহীর প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনসহ দলের প্রতিটি রাজনৈতিক অবস্থানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছি এখানো রয়েছি, ছাত্রলীগ, যুবলীগ হয়ে আজ আওয়ামী লীগে পৌচ্ছে দেখতে পাচ্ছি এখনও তৃণমুল নেতাকর্মীদের কথা বলার জায়গা নেই। সাধারণ নেতাকর্মীরা বড় নেতাদের (এমপি) কাছে পৌচ্ছাতে পারেন না। সুবিধাভোগীদের ভিড়ে তাদের দাবির কথা, সুখ-দুঃখের কথা বলার সুযোগ পান না। আমি এসব অবহেলিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে থেকেছি এখনও আছি। রাব্বানী দলের একজন পরীতি নেতা। উপজেলা বা জেলা যেখানেই তিনি যান সেখানেই সাধারণ নেতাকর্মীদের মাঝে মিশে যান। তিনি তাদেরই প্রতিনিধি হিসাবে শোনেন সুখ-দুঃখ ও বঞ্চনার কথা। তার মতে তৃণমুল নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ। তারা সুবিধা পেতে দৌড়ে যান না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভরসাও তারাই। কিšতু তাদের সংগঠিত করার মত নেতৃত্বের এতোদিন যে অভাব ছিল এখন তিনি সেটা দুর করতে চান এসব নেতাকর্মীদের অনুরোধে ও তাদের স্বপ্ন পুরণের জন্য তাদেরই অনুরোধে এবার এমপি নির্বাচনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছি।
জানা যায়, মুক্তিযদ্ধের চেতনাপুষ্ট পারিবারিক আবহে বেড়ে উঠেছেন গোলাম রাব্বানী। স্কুল জীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সšতান হিসেবে রাব্বানী রাজনীতিতে সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার একটি নাম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সব সময় সক্রিয় থেকেছেন। তিনি দু’বার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, দু’বার পাঁচন্দর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান ও দু’বার মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। রাব্বানী এখনও তার নেতৃত্বের গুণে গণমানুষের নেতা হিসাবে তানোরসহ রাজশাহীর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী সকল সংগঠনের নেতাকর্মীদের কাছে সমানভাবে জনপ্রিয়। এসব সংগঠনের নেতাকর্মীরা এখনো তকেই তাদের প্রতিনিধি মণে করেণ ও যে কোন সমস্যায় ছুটে আসেন তাঁর কাছেই। সমস্যার সমাধান পাওয়া না পাওয়া বড় কথা নয়, কিšতু রাব্বানী তাদের কথা শুনেন। রাব্বানী বলেন, তিনি সব সময় নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন এখনও আছেন। তিনি বলেন, আমি ব্যক্তি স্বার্থের উর্দ্ধে থেকে দীর্ঘসময় রাজনীতিতে দলীয় স্বার্থকেই প্রাধান্য দিয়েছি এখনো দিয়ে যাচ্ছি । তিনি বলেন, তৃণমূল নেতাকর্মীরাই দলের প্রাণ। এ প্রসঙ্গে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, গোলাম রাব্বানী সব সময় দলের নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন এখনো আছেন। তিনি বলেন, রাব্বানী একজন পরীতি নেতা। দলের যে কোন প্রয়োজনে তিনি সব সময় নেতাকর্মীদের পাশে থাকেন। তিনি বলেন, এমন নেতাকেই আগামি দিনে মহান সংসদে দেখতে চাই যারা পরিবার ও স্বজনপ্রীতির পরিবর্তে সাধারণ মানুষের কথা বলবে।
‘অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি’
অবশেষে ঢাকায় হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত স্বস্তির বৃষ্টি। টানা একমাস দাবদাহের......বিস্তারিত