TadantaChitra.Com | logo

২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

এমপি পোটনের শেল্টারে নরসিংদীর ভয়ঙ্কর দেলু বাহিনী

প্রকাশিত : জুন ২৪, ২০১৮, ১৫:৪৬

এমপি পোটনের শেল্টারে নরসিংদীর ভয়ঙ্কর দেলু বাহিনী

সুটার রিহন: ইউনিয়নের যুবলীগের বহিস্কৃত সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ওরফে দেলু। কিন্তু নিরাপত্তার বহর যেন বর্তমান মন্ত্রীর চেয়েও বেশি। ঘর থেকে বের হলেই সামনে-পেছনে অর্ধশত মটরসাইকেল নিয়ে তাকে নিরাপত্তা দিচ্ছে তার বাহিনী। তার ভয়ে এলাকা ছাড়া কমপক্ষে অর্ধশত পরিবারের শত শত মানুষ। ৩৯টি মামলা মাথায় নিয়েও দাপটের সাথে চলে এই আসামি। আবার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীরাই তার হাতে বেশি নির্যাতন ও মারধরের শিকার হয় বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। দেশের প্রায় সকল দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকায় যার ভয়ঙ্কর নৈরাজ্য, খুন, ও চাঁদাবাজীর খবর প্রকাশিত হওয়ার পরেও যার কিছুই হয়নি। উল্টো দম্ভ করে বলে বেড়ায় এমপি তার পকেটে কোন প্রশাসন তার কিছুই করতে পারবে না। ঘটনা আসলেই তাই কেউ তার কিছুই করতে পারে না। প্রশাসন এক প্রকার অসহায় কারন এলাকার এমপি তার পকেটে এমনটাই দেখা যায় ওই এলাকায়। গুঞ্জন রয়েছে পলাশের এমপি পোটনের আশ্রয় প্রশ্রয় এবং তার জামাতার সার্বিক সহায়তায় আজ ভয়ঙ্কর রূপে সন্ত্রাসের রাজা নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের বহিস্কারকৃত সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ওরফে দেলু। তার অত্যাচার, মারধর ও অস্রধারী ক্যাডার বাহিনীর ভয়ে এলাকায় কোন মানুষ এমনকি ইউপি চেয়ারম্যান পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায় না। ডাঙ্গা ইউনিয়নের অনেক আওয়ামীলীগ নেতা এমনকি সাবেক চেয়ারম্যানসহ শত শত মানুষ পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের ঘরবাড়ি জমি জায়গা সন্ত্রাসী দেলুর নিকট জিম্মি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বপ্নের বাংলাদেশে আওয়ামীলীগ নামধারী এক ভয়ঙ্কর খুনি এই দেলু। অনুসন্ধানে জানা গেছে, দেলুর সন্ত্রাসী বাহিনীর নির্যাতনে এখন পর্যন্ত ৩৫ জনের বেশি মানুষ পঙ্গু হয়েছে। সর্বশেষ ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য বাদল মিয়াসহ অর্ধশত পরিবারে হামলা এবং বাড়ি ঘরে ভাঙ্গচুর চালায় তার বাহিনী। সূত্রে আরো জানা গেছে, এই এলাকায় দেলুর মাসিক আয় ৩০ লক্ষ টাকার উপরে, আর এর ভাগ ১৫ লাখ টাকাই চলে যায় এমপির পকেটে। এরপর জেলা যুবলীগ দেলুকে বহিস্কার করে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খান পোটনের জামাতা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম তুষার এবং ভাগ্নে টিপুর প্রশ্রয়েই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে দেলু। সন্ত্রাসী বাহিনী ব্যবহারের জন্য তার নিজস্ব ৪০টি মটরসাইকেল রয়েছে। পলাশের এলাকাবাসীর মুখে শোনা যায়, বর্তমান সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খান (পোটন) সারা জীবন আওয়ামীলীগের প্রতি ঘৃন্য মনোভাব পোষনকারী। কারন তার পিতা ছিলেন একজন স্বাধীনতাবিরোধী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একটি দৈনিকের সাংবাদিক বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন এই এলাকার শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন এমপি পোটনের পিতা রাজাকার তারা মিয়া। সেই সময় তার খুন রাহাজানিসহ বিভিন্ন অপরাধের জন্য স্বাধীনতার পরে তার নামে মামলা ও সাজাও হয়েছিলো। এলাকাবাসী জানায়, আট বছর আগেও মাটি কাটার শ্রমিক ছিল দেলু। এখন সে মাটি কাটায়; তাও সরকারি জমি থেকে। দখল করেছে অন্যের জমিও। স্থানীয় কলকারখানা থেকে মাসোয়ারা তো আছেই। আট বছরের ব্যবধানে রূপ কথার গল্পের মতো বদলে যাওয়া দেলু এখন চড়ে বিলাস বহুল গাড়িতে। বর্তমানে রয়েছে তার চারটি ব্যক্তিগত গাড়ি। আর বাহিনীর সদস্যদের জন্য আছে অন্তত ৫০টি দামি মটর সাইকেল। অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজধানীর উত্তরায় দামি ফ্ল্যাটের মালিক দেলু। আর গ্রামের বাড়িতে চলছে আলিশান বাড়ি তৈরির কাজ। গড়েছে কারখানাও। দখলে নিয়েছে অন্তত ৫০ বিঘা জমি।
দেলুর নির্যাতনের শিকার যে সব মানুষঃ 
পলাশে একটি কারখানার কর্মকর্তা ছিলেন গাজীপুরের কালিগঞ্জ উপজেলার বাজারতী গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে রাশেদ মিয়া। গত বছর দেলুর লোকজন তাঁকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। হাসপাতালে চিকিৎসার পর এখন বাড়িতে পঙ্গু অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে রাশেদ। ওই দিনের নির্যাতন প্রসঙ্গে রাশেদ বলেন, আমি নিয়মানুযায়ী কারখানায় লোক নিতাম। কিন্তু দেলু মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে লোকজনকে চাকরিতে ঢোকাতে চায়। আমি নিয়ম অনুযায়ী চাকরি দেওয়ায় দেলু ও তার ক্যাডার বাহিনী আমাকে রড ও পাইপ দিয়ে পিটিয়ে এক পা ভেঙ্গে দেয়। এছাড়া তিন বছর আগে ডাঙ্গা বাজারে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের দাউদপুর ইউনিয়নের ওয়াজউদ্দিনের ছেলে রমিজউদ্দিনকে শত শত মানুষের সামনে পিটিয়ে মৃত ভেবে রাস্তার পাশে ফেলে দেয় দেলুর বাহিনী। এ ঘটনায় রমিজের স্ত্রী দিলারা বেগম মামলা করেন। সম্প্রতি রমিজউদিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তখন তার (দেলু) এত টাকা পয়সা হয়নি। আমার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ধার নিয়ে ছিল। সেই টাকা চাইতে গেলে আমাকে নির্যাতনের পর মৃত ভেবে রাস্তায় ফেলে দেয়। পরে স্থানীয়রা হাসপাতালে ভর্তি করায়। দেলু ও তার বাহিনীর নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে আরো রয়েছেন, হাসানহাটা গ্রামের শফি মিয়ার ছেলে জাহিদুল ইসলাম, তালতলা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আলী আকবরের ছেলে মো. হারুন মিয়া, জয়নগর গ্রামের মমতাজ উদ্দিনের ছেলে মো. ওহিদ মিয়া, কাজীরচর গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে আসাদুজ্জামান আসাদ, কাজৈর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে হাবিবুর রহমান, হাসানহাটার মুল্লুক চানের ছেলে রবিউল ইসলাম, জহির উদ্দিনের ছেলে বাবুল মিয়া, রহমান মিয়ার ছেলে মোঃ হারুন ও আকমল হোসেনের ছেলে রাসেল মিয়া। দেলুর হাতে মারধর ও লাঞ্ছিত হওয়া থেকে বাদ যায়নি ইউনিয়নের সাবেক আওয়ামীলীগ সভাপতি আজাহার খন্দকার।
নির্যাতনের পর এলাকা ছাড়া ঃ
২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারীতে দেলুর নেতৃত্বে ডাঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ গোলাম মোস্তফার ওপর হামলা এবং তাঁর ঘরবাড়ি ভাঙ্গচুর করা হয়। দেলুর ক্যাডারদের গুলিতে ১০ জন আহত হয়ে পরিবার নিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন মোস্তফা। এ ব্যাপারে গোলাম মোস্তফা বলেন, ভয়ে এলাকা ছেড়েছি। এখন মিডিয়ায় কথা বললেও আমাকে মেরে ফেলতে পারে। তবে মোস্তফার স্বজনরা জানান, দেলু ভয়ংকর সন্ত্রাসী। তার বাহিনীর আতঙ্কে অনেকেই এলাকা ছাড়া। এছাড়া গত ২৮ জুন জমি দখলের প্রতিবাদ করায় ডাঙ্গার ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাদল মিয়া ও তাঁর আত্মীয় স্বজনসহ ৪৩টি পরিবারের ওপর হামলা চালায় দেলু ও তার ক্যাডার বাহিনী। ওই ঘটনায় পলাশ থানায় মামলা হয়। পরে স্থানীয় এমপির জামাতা তুষার ও ভাগ্নে টিপু প্রভাব খাটিয়ে নাম মাত্র ক্ষতিপূরণ দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেন। কিন্তু বাদল মিয়া ও তাঁর পরিবার এখনো এলাকা ছাড়া। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাদল মিয়া বলেন, দেলুর রাজত্বে আমরা অসহায়। সারা জীবন দলের জন্য খেটে গেলাম আর আজ দেলু ও তার ক্যাডার বাহিনীর কারণে নিজের বসত ভিটা ছেড়ে থাকতে হয়। দেলু ও তার বাহিনীর নির্যাতনের কারণে আরো যারা এলাকা ছাড়া তাদের মধ্যে আছেন কাজীরচর গ্রামের জোবেদ আলীর ছেলে ব্যবসায়ী উসমান আলী, একই গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে ফিরোজ মিয়া, টুক্কা মিয়ার ছেলে কাদির মিয়া, ডা. ইদ্রিস আলীর ছেলে আমির উল্লাহ, নিজাম উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম, জয়নগর গ্রামের আরিফ এবং গালিমপুর গ্রামের মনির হোসেন।
রেহাই পাচ্ছে না আ. লীগের নেতা কর্মীরাওঃ 
গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় ডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আজাহার খন্দকারকে ডাঙ্গা বাজারে প্রকাশ্যে মারধর করে দেলু ও তার সন্ত্রাসীরা। পরে আজাহার ও তাঁর স্বজনদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙ্গচুরও করে। ওই ঘটনায় আজাহার সেই সময় থানায় মামলাও করেছিলেন। দেলুর নির্যাতন থেকে রক্ষা পায়নি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ অলি খন্দকার। দলবল নিয়ে অলির বাড়িতে গিয়ে দেলুর ক্যাডাররা পিটিয়ে গুরুতর আহত করে তাকে। ক্ষমতাসীন দলের নেতা হয়েও থানায় অভিযোগ করতে সাহস পাননি অলি। এছাড়া ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য মফিজ মিয়া ও তাঁর তিন ছেলেকে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করে দেলুর ক্যাডার বাহিনী। মফিজ মিয়ার ছেলে মোঃ সোহেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বিয়ের দিনই আমার বাবা এবং ভাইদের নির্মমভাবে কুপিয়ে আহত করে। ওই ঘটনায় মামলা করতে চাইলেও পারিনি। এ বিষয়ে সোহেলের একজন স্বজন বলেন, এমপি পোটনের পরিবারের লোকদের চাপে থানায় মামলাও করা যায়নি। মামলা করলে নাকি পৃথিবী থেকেই সরিয়ে দিবে দেলুর লোকজন। ডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি মোঃ জামাল মিয়ার বাড়িতেও হামলা চালিয়ে ১১টি ঘর ভাঙ্গচুর করে দেলুর বাহিনীর লোকজন। দেলুর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ইসলাম পাড়া গ্রামের চান মিয়া মেম্বারের ছেলে যুবলীগ নেতার তন মিয়া, হাসানহাটা গ্রামের মোঃ জামাল উদ্দিন মেম্বারের ছেলে যুবলীগ নেতা মোঃ জসিম উদ্দিন, ভোলাব ইউনিয়নের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে যুবলীগ নেতা রিপন মিয়াসহ আরো অনেকে।
দেলুর ভয়ংকর ক্যাডার বাহিনীর পরিচিতিঃ
দেলুর বাহিনীতে ৪০ থেকে ৪৫ জনের মতো দুর্ধর্ষ ক্যাডার বাহিনী রয়েছে। তাদের সঙ্গে থাকে অত্যাধুনিক অস্ত্র। দেলুর নির্দেশ পেলেই যে কারো ওপর নেমে আসে তাদের নির্যাতন। ২০০৮ সালের পর দেলু ও তার ক্যাডারদের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা হয়েছে। এর মধ্যে কেবল দেলুর বিরুদ্ধেই পলাশ, কালিগঞ্জ, রূপগঞ্জ ও নরসিংদীর থানা ও আদালতে ৩৯ টি মামলা আছে। দেলুর ক্যাডারদের মধ্যে অন্যতম মোঃ লিটন ওরফে শ্যুটার লিটন, দুলাল হোসেন দুলু, আল আমিন, নাঈম, আলী আকবর, আকতার, সবুজ, হাবিবুর রহমান, আরিফ, বাবুল, সিরাজ, সোহেল ও নাজমুল। এই বাহিনী শীতলক্ষ্যা নদীতে দিন রাত চাঁদাবাজি করে। কোন মালামালের নৌকা, ট্রলার, জাহাজ এই নদী দিয়ে গেলেই দিতে হয় চাঁদা দেলু বাহিনীকে। মাঝে মাঝে বালু বোঝাই জাহাজ আটকে বালু বিক্রি করে দেয় বিভিন্ন কোম্পানির নিকট গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন দেলু। কয়েক বছর আগেও শীতলক্ষ্যা নদীতে মাছ ধরেই সংসার চালাতেন সুরুজ আলী। বাবার উপার্জনের টাকায় সংসার চলত না বলে নিজেই মাটিকাটা শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করে দেলু। সেই দেলু এখন শতকোটি টাকার মালিক। শীত লক্ষ্যা নদীর খাস জমির মাটি বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অন্যের জমি জালিয়াতি করে বিক্রি করেছে। গ্রামের বাড়িতে ভাঙ্গা ঘরের পরিবর্তে এখন বিলাস বহুল তিন তলা বাড়ি তৈরি করছে দেলু। উত্তরায় দামি ফ্ল্যাটের পাশা পাশি পলাশের বিভিন্ন স্থানে ৫০ বিঘার বেশি জমি কিনেছে। কাজীরচর গ্রামের পেতা বাজারের পাশে রয়েছে বিশাল টেক্সটাইল কারখানা। প্রায় ১২ কোটি টাকার সরকারি জমির মাটি কেটে বিক্রি করার অভিযোগে দেলুর বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেন স্থানীয় ভ‚মি কর্মকর্তা। পলাশ থানার এসআই আব্দুর রহিমও বাদী হয়ে দেলুর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। অভিযোগের ব্যাপারে জানতে দেলোয়ার হোসেন ওরফে দেলুর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।