মুন্নি আক্তারঃ মহামান্য আদালতের প্রতি অশ্রদ্ধা এবং বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজের মন মত রায় দিয়ে বাড়ির মালিকানা বুঝিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে রাজধানীর মুগদাপাড়া এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে। তিনি একটি বাড়ির মালিকানা নিয়ে আদালতে দায়ের করা মামলাকে তোয়াক্কা না করে নিজে সিটি কর্পোরেশনের প্যাডে মনগড়া রায় দিয়ে আরেফিন আবদুস সাত্তার নামের এক ব্যক্তিকে বাড়ির মালিকানা বুঝিয়ে দিয়েছেন। এ ঘটনা ঘটেছে ২৯/০২/২০১৬ ইং তারিখে। এ অবস্থায় তার প্রতি ক্ষুব্দ হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মাকসুদা, মাহমুদা এবং মাসুদ পারভেজ নামের তিন ব্যক্তি কমিশার সিরাজকে আইনজীবীর মাধ্যমে আইনী নোটিশ দিয়েছেন। কমিশনার সিরাজ তার দেওয়া রায়ে উল্লেখ করেছেন, আদালতে মালিকানার মামলার রায় না হওয়ায় ৭/২০ দক্ষিণ মুগদাপাড়ার বাড়ীর দক্ষিণ পাশের তিনটি ফ্ল্যাট আরেফিন আবদুস সাত্তার ভোগ দখল করিবে। এবং উত্তর পাশের ফ্ল্যাট মাসুদ পারভেজ সুমন গং ভোগ দখল করিবে। তাই মামলার মালিকানার রায় না হওয়া পর্যন্ত উল্লেখিত রায় বহাল থাকিবে। আদেশক্রমে মো. সিরাজুল ইসলাম কাউন্সিলর ওয়ার্ড নম্বর- ৬ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।
এর আগে ১১/০২/১৬ ইং তারিখে মো. আরেফিন সাত্তারের লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৫/০২/১৭ ইং তারিখে বাদ মাগরিব কাউন্সিলরের কার্যালয়ে উপস্থিত থাকতে সমন জারি করা হয় কমিশনারের পক্ষ থেকে।
এদিকে আদালতে বিচারাধীন মামলার ওপর কমিশনারের বিচারের রায় দেওয়ায় তাকে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী মো. নূরে আলম মোস্তফা এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। এতে কমিশনারের প্রতি বলা হয় ৭/২০ নম্বর দক্ষিণ মুগদা পাড়ার বাড়িটি বিভাগ বন্টন করিয় রায় প্রদান করেছেন। এটি একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসেবে এখতিয়ারভূক্ত নয়।
আইনজীবী তার নোটিশে উল্লেখ করেন, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন আইন কিংবা ম্যানুয়েল অনুযায়ী সরকার সিটি কর্পোরেশন কিংবা ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে স্থাবর সম্পত্তি যাহার মূল্য কোটি টাকার বেশি হবে অনুরূপ কোন বিরোধ দেওয়ানী আদালত ব্যাতীত নিস্পত্তির ক্ষমতা প্রদান করে নাই। এতে প্রচলিত আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শণ করার শামিল করে কমিশনারকে জানানো হয়। প্রসঙ্গত, যে মামলাটি সম্পর্কে কমিশনার সিরাজ রায় দিয়েছিলেন এবং সেই পরিপ্রেক্ষিতে আইনী নোটিশ প্রদান করা হয় তখন মামলাটি ৫ম যগ্ম জেলা জজ আদালতে বিচারাধীন ছিল। এতে বিবাদী আবদুস সাত্তার আরেফিনের বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা স্থিতাবস্থার আদেশ প্রচারিত হয়। নোটিশ প্রদানকারী উল্লেখ করেন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর এখতিয়ার বহির্ভূত কাজ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ভাবমূর্তি ভূলুন্ঠিত করেছে; যার দায় দায়িত্ব সিরাজ কমিশনারের ওপর বর্তায়। নোটিশের শেষ পর্যায়ে এখতিয়ার বহির্ভূত কাজের জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে তার নিজের প্রদত্ত রায়ের কার্যকারিতা বন্ধ করে দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শণের আহবান জানানো হয়। এদিকে কমিশনার সিরাজের এলাকায় প্রভাব বিস্তার, অনৈতিক কর্মকান্ড এবং ক্ষমতার জোরে এলাকায় অবৈধ কর্মকান্ডের সচিত্র প্রতিবেদন তদন্ত চিত্রের কাছে এসেছে। আগামি সংখ্যায় তা প্রকাশিত হবে। সুতরাং পাঠক আগামি সংখ্যায় চোখ রাখুন তদন্ত চিত্রে।
‘ভাঙ্গায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত’
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের......বিস্তারিত