TadantaChitra.Com | logo

২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মকবুলের কাছে থেকে ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য’ পাওয়া গেছে

প্রকাশিত : এপ্রিল ২৪, ২০২২, ১২:০৭

মকবুলের কাছে থেকে ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য’ পাওয়া গেছে

অনলাইন ডেস্ক: রাজধানীর নিউমার্কেটে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীদের সংঘর্ষকালে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার মামলায় গ্রেফতার বিএনপি নেতা মকবুল হোসেন সরদারের কাছ থেকে ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য’ মিলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শনিবার থেকে রিমান্ডে রয়েছেন বিএনপির এ সাবেক নেতা।

রিমান্ডের প্রথম দিনেই জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্ব তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন নিউমার্কেট জোনের পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার শাহেনশাহ।

তিনি বলেন, ‘তার (মকবুল) কাছ থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। সেই তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করছি।’

‘বিএনপি করার কারণে’ পুলিশ তাকে এ মামলার আসামি বানিয়েছে বলে প্রথমে দাবি করেছিলেন মুকবুল।

তবে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৮ এপ্রিল মধ্যরাত ও পরদিন দিনভর সংঘর্ষের সময় মকবুলসহ বাকিরা ঘটনাস্থলে ছিলেন।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত কমিশনার শাহেনশাহ বলেন, ‘এখনও স্বীকার করেছেন না। তবে পুলিশের তথ্য রয়েছে তিনি উপস্থিত ছিলেন এবং উসকানি দাতা হিসেবে কাজ করেছেন।’

১৮ এপ্রিল দিন গত রাত ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সংঘর্ষ হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা সংঘর্ষ চলে। এরপর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও ১৯ এপ্রিল সকাল ১০টার পর থেকে ফের দফায় দফায় শুরু হয় সংঘর্ষ, যা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।

এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হন। সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত দুজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তাদের একজন ডেলিভারিম্যান, অন্যজন দোকান কর্মচারী। ডেলিভারিম্যান নাহিদের নিহতের ঘটনায় বাবা নাদিম হোসেন বাদী হয়ে নিউমার্কেট থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মুরসালিনের ভাই বাদী হয়ে আরও একটি হত্যা মামলা করেছেন।

এছাড়া দাঙ্গা-হাঙ্গামা, জ্বালাও-পোড়াও, পুলিশের কাজের বাধা দেওয়ার অভিযোগে নিউমার্কেট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়ামিন কবির ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে যে মামলা করেছেন, সেখানে মকবুলকেই প্রধান আসামি করা হয়েছে।

ওয়েলকাম ও ক্যাপিটাল ফাস্টফুড নামের যে দুই দোকানের কর্মচারীদের দ্বন্দ্ব থেকে গত ১৮ এপ্রিল মধ্যরাতে সংঘর্ষের সূত্রপাত, সেই দোকান দুইটি সিটি করপোরেশন থেকে মকবুলের নামে বরাদ্দ হওয়া। তবে কোনো দোকানই নিজে চালান না। রফিকুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম নামে দুজনকে ভাড়া দিয়ে রেখেছেন দোকান দুটি। রফিকুল ও শহিদুল আবার পরস্পর চাচাতো ভাই।

ওই মামলায় মকবুল ছাড়াও মামলায় যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তারা ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী।

মামলায় বলা হয়, অ্যাডভোকেট মকবুল, আমির হোসেন আলমগীর, মিজান, টিপু হাজী জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী, হাসান জাহাজীর মিঠু, হারুন হাওলাদার, শাহ আলম শত্রু হিদুল ইসলাম শহিদ, জাপানী ফারুক, মিজান বেপারী, আসিফের উস্কানিতে জসিম, বিল্লাল, হারুন, তোহা, মনির, বাচ্চু, জুলহাস, মিঠু, মিন্টু ও বাবুলসহ অজ্ঞাতনামা ২০০ থেকে ৩০০ ব্যবসায়ী ও কর্মচারী বেআইনিভাবে সমবেত হয়ে ঢাকা কলেজের দিকে দৌড়ে ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। লাঠি, রড, হকিস্টিক নিয়ে রাত ২টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে।

দুই পক্ষকে শান্ত করতে গিয়ে ১০ থেকে ১৫ জন পুলিশ শারীরিকভাবে আহত হন। ওই ঘটনায় মকবুলসহ ১২ জন ‘উসকানিদাতা’ হিসেবে কাজ করেছেন বলে অভিযোগ করা হয় এজাহারে।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।