মুন্নি আক্তারঃ রাকিনস ইন্টারন্যাশনালের প্রেপাইটর ও পদ্মা সেতু মাল্টিপারপাস প্রকল্পের উপ সহকারী ইঞ্জিনিয়ার (আরটিউব্লি) মাসুদ পারভেজ। সরকারের সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং কাজ পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতুর কাজ করতে গিয়ে সরকার দেশ ও বিদেশের মানুষের কাছে ঝামেলায় পড়তে হয়েছে। এমনকি ঋণদাতা কোম্পানীও সরে গেছেন দুর্নীতির অজুহাত দিয়ে। সব কিছু অতিক্রম করেই সরকার নিজ খরচে পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করেন। অবশেষে সেই পদ্মা সেতু আজ অনেকটা স্বপ্ন নয় বাস্তবে রূপ নিয়েছে। যার অনেক কাজ প্রায়ই শেষ হয়েছে। বাকী কাজও চলছে। নির্ধারিত সময়ের আগে সম্পূর্ণ কাজ শেষ না হলেও পদ্মা সেতু দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ এক সময়ে যাতায়েত এটাই বাস্তব ও সত্য। কিন্তু সরকারের সেই স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ধীরগতির পিছনেও রয়েছে কিছু দুর্নীতিবাজ লোক। যারা এই পদ্মা সেতুর প্রথম থেকেই বিরোধীতা করে আসছে। দূর্ভাগ্য যে তারাই আজ সেই পদ্মা সেতুর বিভিন্ন কাজ নিয়ন্ত্রণ করেন এককভাবে। তেমনি একজন লোক রাকিনস ইন্টারন্যাশনালের প্রেপাইটর মাসুদ পারভেজ। পদ্মা সেতু প্রকল্পে বালু সাপ্লাই দেন মাসুদ পারভেজ।
অভিযোগ রয়েছে, পদ্মা সেতু প্রকল্পে যে বালু দেয়ার কথা তা দিচ্ছেন না তিনি। চায়না কোম্পানীর লোক জনের সাথে সু-সম্পর্ক গড়ে তুলে যত দুই নাম্বার বালু আছে তা সাপ্লাই দিয়ে থাকেন তিনি। এমনকি একটি জাহাজে যে পরিমান বালু থাকার কথা তাও ঠিক মত দিচ্ছেন না। এগুলো করেও তিনি এক ছাটিয়া ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেছেন বলে অভিযোগ অন্য ব্যবসায়ীদের।
জানা গেছে, এই কোম্পানীটি নদী শাষন প্রকল্পে সবচেয়ে বড় কোম্পানী এবং নাম্বার ১ এ রয়েছেন। যত অপকর্ম আছে সবই এ কোম্পানী করেন পদ্মা সেতু প্রকল্পে। এই প্রকল্পে বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত সব কোম্পানী মিলে যদি ২০০ শত জাহাজ থেকে থাকে তার মধ্যে রাকিনস ইন্টারন্যাশনালের রয়েছে ১৫০ জাহাজ। মোট কথা প্রদ্মা সেতু প্রকল্পে একক নিয়ন্ত্রণ করছেন রাকিনস ইন্টারন্যাশনালের এমডি মাসুদ পারভেজ।
অভিযোগ রয়েছে, মাসুদ পারভেজকে ভাই পরিচয়দানকারী, বিজে টেক্সটাইল এর স্টোর ইনচার্জ এবং পদ্মা সেতুর জিও ব্যাগ সাপ্লাইয়ার শাহিন ও সাবেক বিজে কোম্পানীর কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার মিলে পদ্মা সেতু প্রকল্পে বালু সরবরাহ সহ বিভিন্ন জিনিস সাপ্লাই দিয়ে আসছেন একক ভাবে। অন্য কোন কোম্পানীর খাওয়া নাই তাদের কাছে, একাই সব নিয়ন্ত্রণ করবেন এমন মনভাব নিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠান চায়না কোম্পানীর কর্মকর্তা সাথে বিভিন্ন সময় রফাদফা করেছেন মাসুদ পারভেজ এমন অভিযোগ উঠেছে। অন্য কোম্পানীর কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে, পদ্মা সেতু নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশ ব্রীজ অথোরিউটি যেমন মাসুদ পারভেজ এর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। তারা মাসুদ পারভেজকে যে পরিমান কাজ দেয় তার ১০% অন্য কোম্পানীকে দেয় না। রাকিনস কোম্পানী অর্থাৎ মাসুদ পারভেজের জাহাজ লঙ্গর করার সাথে সাথেই মাল আনলোড করা হয় কিন্তু আমাদের জাহাজ দিনের পর দিন পরে থাকলেও আনলোড করার খবর থাকে না। আবার বিভিন্ন সময়ে মাপে কম আছে দেখিয়ে জাহাজ আনলোড না করেই রেখে দেওয়া হয়। (চলবে)
‘অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি’
অবশেষে ঢাকায় হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত স্বস্তির বৃষ্টি। টানা একমাস দাবদাহের......বিস্তারিত