বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলে শিক্ষার্থী নির্যাতনের প্রতিবাদে ও সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্যাতন বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।
শুক্রবার (২০ মে) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে শিক্ষার্থীদের গেস্টরুমে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে। কেন করা হচ্ছে? কারণ তারা সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনের কথা শোনেন না। ক্ষমতার শেষদিকে এসে আপনারা (ছাত্রলীগ) হতাশ হয়ে বড় বড় মিছিল করতে চাচ্ছেন। একবারও কি ভেবে দেখেছেন যারা মিছিলটা লম্বা করছে তারা কতজন মন থেকে আপনাদের নেতা হিসেবে মানে? এ মিছিল উল্টে যেতে সময় লাগবে না।
তিনি বলেন, যারা দেশের স্বাধীনতার ছিনিয়ে আনলো, সেই ছাত্রদের গোলাম বানিয়ে রেখেছে ছাত্রলীগ। তাদের গেস্টরুমে নির্যাতন করা হচ্ছে, টর্চার সেলে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে। এখন সময় এসেছে এসব কিছু রুখে দেওয়ার। এসময় সব নির্যাতন রুখে দিতে সারাদেশের ছাত্রদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সংগঠনের ঢাবির সভাপতি আখতার হোসেন বলেন, দিনে প্রোগ্রাম, রাতে গেস্টরুম, দিনে প্রোটোকল রাতে গণরুম। এভাবেই চলছে শিক্ষার্থীদের জীবন। যখন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জীবন-মানের চিত্র এই, তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করেই যাচ্ছে। কারণ তারা হল ছাত্রলীগের প্রথম সারির ভৃত্য।
তিনি আরও বলেন, গত কয়েকদিন আগে বিজয় একাত্তর হলের ঘটনায় দিনেরবেলা নেতা মধুর ক্যান্টিনে গিয়েছেন, তাকে প্রোটোকল দিতে পরীক্ষার কারণে যেতে পারেনি এক শিক্ষার্থী। তার জন্য তাকে মুরগি সাজিয়ে রাখা হলো। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর জন্য এটা সর্বোচ্চ অপমানের বিষয়।
ছাত্রলীগের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এখন হয়তো আপনারা এসব করে পার পেয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু সময় সবসময় এরকম থাকে না, সব কিছু স্মরণে রাখা হচ্ছে। আজ হোক কাল হোক সব ফিরিয়ে দেওয়া হবে। আজ না হোক, একশো বছর পরে হলেও আপনাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে।
ঢাবি শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি আসিফ মাহমুদ বলেন, এমন কোনো মাস যায়নি হলগুলোতে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি। এগুলো ছাড়া আরও অনেক ঘটনা ঘটে যা আমাদের কানে আসে না। যাদের থাকার জায়গা নেই তাদের সঙ্গে যা হয় তারা ভয়ে কাউকে বলে না। অতএব সবাইকে আহ্বান জানাবো যাতে তারা প্রতিবাদ করে। আমরা অ্যান্টি র্যাগিং বা গেস্টরুম নির্যাতনবিরোধী আইন চাই।
সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা একটি মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্য থেকে ভিসি চত্বর, মল চত্বর, শ্যাডো ও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে আবার রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ করেন।
‘নেত্রকোনায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বসুন্ধরা শুভ সংঘের সবজির বীজ প্রদান’
এ বছর এক একর জমিতে ব্যাংক লোন করে সবজি চাষ......বিস্তারিত