TadantaChitra.Com | logo

১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জোবাইদার মামলা শুনে হাইকোর্ট ভুল করেছেন: আপিল বিভাগ

প্রকাশিত : জুন ০১, ২০২২, ০৫:১১

জোবাইদার মামলা শুনে হাইকোর্ট ভুল করেছেন: আপিল বিভাগ

অনলাইন ডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বলেছে, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান আইনের দৃষ্টিতে পলাতক। দুর্নীতির মামলা বাতিলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৬১ক ধারায় করা তার আবেদন শুনে ও আদেশ দিয়ে হাইকোর্ট আইনানুযায়ী ভুল করেছেন।

‘ডা. জোবাইদা রহমান বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য’ মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়ে এমন পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ। রায়টি লিখেছেন বিচারপতি বোরহানউদ্দিন। রায়ে একমত পোষণ করেছেন প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম।

রায়ে বলা হয়েছে, দুর্নীতির মামলায় জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয়নি বিচারিক আদালত। যেখানে অভিযোগ আমলে নেয়নি সেখানে কি করে উনি মামলা বাতিল চেয়ে ৫৬১ক ধারায় আবেদন করেছেন। আর যখন আবেদনটি করেছেন তখন উনি আইনের দৃষ্টিতে পলাতক। আইনের দৃষ্টিতে একজন পলাতক ব্যক্তির করা ওই আবেদন শুনে মামলার বিচার কাজ স্থগিতের পাশাপাশি রুল জারি করেছে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ। আমরা মনে করি হাইকোর্টের এ ধরনের আদেশ প্রদান আইনানুযায়ী সঠিক ছিলো না। কারণ আইনের দৃষ্টিতে পলাতক ব্যক্তির আইনি প্রতিকার চাওয়ার কোন সুযোগ নেই।

আপিল বিভাগ রায়ে বলেছে, সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারকরা ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে ও পক্ষপাতিত্বের আশ্রয় না নিয়ে বিচার কাজ পরিচালনার শপথ নিয়েছেন। যে কোন পরিস্থিতিতে বিচার বিভাগ এই নীতিতে অবশ্যই অটল থাকবে। বিচার বিভাগ এমন কোন নজির সৃষ্টি করবে না যা সকলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

রায়ে আপিল বিভাগ বলেছে, প্রত্যেক নাগরিকের আদালত থেকে সমান বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছেন। কারণ আইনের দৃষ্টিতে কেউ বড় বা ছোট নয়, সকলেই সমান।

ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, ডা. জোবায়দা রহমান ও তার মা ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। ওই বছরই জোবায়দার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করে হাইকোর্ট। ওই রুলের শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল রায় দেয় হাইকোর্ট। রায়ে মামলা বাতিলে জারি করা রুল খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট।একইসঙ্গে জোবায়দা রহমানকে আট সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন তিনি।ওই আবেদনের ওপর গত ১৩ এপ্রিল রায় দেয় আপিল বিভাগ। দুদকের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।