ভোলায় ব্ল্যাকমেইলিং চাঁদাবাজী নইলে মামলা মোশারেফের এক মরনফাঁদে এলাকাবাসী

লেখক: সাব এডিটর
প্রকাশ: ৭ years ago

দ্বীপ অঞ্চল ভোলা জেলায় প্রতিনিয়ত ঘটে চলছে নানা রকম কাহিনী। কেউ নেশার পাগল কেউ আবার বিভিন্ন ফন্দি ফিগিরে ব্যাস্ত। এখানকার বসবাস কারীগন সম্পূর্ন মৌলিক অধিকার জন্য বিভিন্ন হারভাঙ্গা পরিশ্রম করিয়া থাকেন। এই অঞ্চলের একটি বিরাট অংশ বেকারত্ব থাকার কারনে অভাবের তারনায় অনেকেই বিভিন্ন রকম কাজে লিপ্ত হয়ে পড়েছেন কেউ করছেন চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, লুঠ ভূমিদূস্য, জলদূস্য, অন্যর জমি জবর দখল এখানকার প্রতিদিনের ঘটনা। এ অঞ্চলের বেশির ভাগ মানুষ নদীতে মাছ ধরেন আর তা বাজারে বিক্রি করে সংসার চালান। মামলা আর হামলা এ অঞ্চলের বিরাট একটি সমস্য এখানকার মানুষ সকল প্রতি কুলতার সাথে কাজ করে ও রেই পাচ্ছেন না মামলার কাছ থেকে। কিছু লোক এ মামলাকে পুজি করে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা আদায়ের লড়াইয়ে ব্যাস্ত থাকেন সার্বক্ষনিক। তেমনি আমাদের অনুসন্ধানে এমন একজন মামলাবাজ ব্যক্তি পাওয়া গেছে ভোলা জেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নে। থানা ও কোর্ট কাচারী যেন তার হাতের মুঠোয়। তাই তাকে নিয়ে আমাদের এ প্রতিবেদন।
কথায় আছে “জোর যার মুল্লুক তার”“আছো যারা সাধারন মানুষ এলাকা ছাড় এলাকা ছাড়”তেমনি মামলা করতে করতে মোশারেফ এখন মামলাবাজে পরিণত হয়ে গেছেন। তবে প্রশ্ন থাকে যে, থানায় একজন লোক বাদী হয়ে কতটা এজাহার করতে পারে? ভোলা সদর মডেল থানার পুলিশ প্রশাসনের ভ‚মিকা প্রশ্নবিদ্ধ। এমন প্রশ্ন কোন পুলিশকে করা হলে নিশ্চত সে বলবে যার যতটা প্রয়োজন ততটাই করা যাবে। তদরূপ মামলাবাজ মোশারেফের যতটা প্রয়োজন ততটাই মামলা করেছেন এলাকাবাসী ও তার ভাই ভাতিজার নামে। কাজকর্ম কিছুই করেন না তবে মামলা করার এত টাকার উৎস কোথায় মোশারেফের। মামলাবাজ মোশারেফের যন্ত্রনায় এলাকাবাসী অতিষ্ট। ভোলা থানাধীন ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের বসবাসকারী মোশারেফ হোসেন ছোট থেকেই একটু বিচক্ষন চতুর ছিলেন। কখনো আওয়ামী লীগ কখনো বিএনপি, আবার কখনো জামায়েত পরিচয় দানকারী মোশারেফ হোসেন এলাকার এক আতঙ্কের নাম। টাকার জন্য নিজকে হত্যা করতে ও তার কাছে কোন দ্বিধা নেই। তার বাবা মৃত্যু আঃ রব ছিলেন একজন সৎ আর্দশবান লোক। তার বাবা মারা যান ১৯৯৭ সালে কিন্তু তিনি মারা যাওয়ার পর তার স্ত্রী সহ ৫ ছেলে ও ৩ কন্যা সন্তান রেখে গেছেন। ৮ ভাই বোনের মধ্য মোশারেফ ৭ নম্বার। যেমনি মোশারেফ সবার মধ্যে ৭ নম্বার, তেমন কাজে ও মোশারেফ ৭ নম্বার। কোন কাজ কর্ম না করলেও মোশারেফ ভন্ডমী আর দালালী মুলত করে থাকেন এলাকায়। একজনের সাথে আরেক জনের দ্বন্ধে লাগিয়ে দেওয়া আর পরে তা বিচার সালিশ করার নামে গীরিঙ্গীবাজী করা মোশারেফ কাজ। পাশাপাশি অন্যর জমি দখলসহ অহেতুক মিথ্যা মামলা হামলা করে মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন হাজার টাকা। পুলিশ প্রশাসনকে বোকা বানিয়ে এলাকার সাধারন মানুষসহ তার আপন ভাই ভাতিজার নামে ৫০-৬০ টা মামলা করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিছু মামলার নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত ২০০৯ সালে ২ মাসে ভিতরে ৪ টি মামলা করেন তার আপন ভাই ও ভাতিজাসহ এলাকার আরো কিছু লোকদের নামে। আরো দেখা যায়, প্রতিটি মামলার সব ধারাগুলো হুবাহুব মিল আছে তবে ঘটনার দিন ভিন্ন ঐ মামলা বার বার যে ধারাগুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলো বেশির ভাগ চুরির অভিযোগ তবে এক বাড়িতে বার বার চুরি হওয়ার কি আছে? এমন প্রশ্ন মানুষের মধ্যে। বর্তমানে মামলা গুলো থেকে খালাস পাইছেন আসামীরা। ঐ মামলা গুলো ২৪৭ ধারায় খারিচ হওয়ার পর মোশারেফ পুনরায় কোর্টে ধান কাটার মামলা করেন ঐ আসামীদের নামে। এমনকি নিজের ঘরে তার স্ত্রীকে দিয়ে আগুনে জ্বালাইয়া অন্যদের নামে মামলা করতে দ্বিধা করেন নাই। সূত্রে জানা যায়, মোশারেফ হোসেন এখন মামলাবাজ নামে এলাকায় পরিচিত লাভ করে আসছেন। মোশারেফ তার ভাই ভাতিজা ও এলাকার লোকদের নামে যে মামলাগুলো করছেন তার কিছু মামলা নং তুলে ধরা হলঃ সি আর ৪১/১০ (ভোলা), সি আর ২৪৮/০৭ (ভোলা), সি আর ০৭/১২ (ভোলা), সি আর ১০৫৫/১২ (ভোলা), সি আর ১০৬৯/১৩ (ভোলা), সি আর ২৬৫/১২ (ভোলা), জি আর ৮০/০৯ (ভোলা), জি আর ২৪৭/০৯ (ভোলা), জি আর ১৫৩/০৯ (ভোলা), জি আর ১৮০/১৩ (ভোলা), এম আর ৪৭/১১ (ভোলা), এম পি ২১৫/১০ (ভোলা), এম পি ১৪৩/১২ (ভোলা), আরো কিছু মামলা কোর্টে চলমান এবং ভোলা থানায় অসংখ্য অভিযোগ ও জিডি করেন মোশারেফ তবে তার সকল ঘটনা কাল্পনিক ও বানোয়াট ভাবে ভাই ভাতিজাদেরসহ এলাকার লোকদের কাছ থেকে তার হীনস্বার্থসিদ্ধ করা জন্য এ মামলা গুলো দায়ের করেন বলে জানা যায়। এলাকার মানুষের একটাই দাবী এ মামলাবাজ মোশারেফকে আইনের আওতায় এনে বিচার করলে আরো তার মতো যারা আছে তারা অনেকটা সচেতন হয়ে যাবে এমনটাই প্রত্যাশা করছেন এলাকাবাসী। (অনুসন্ধান চলবে)

সংবাদটি শেয়ার করুন...