TadantaChitra.Com | logo

২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভগ্নিপতি’র শেল্টারে বেপরোয়া কেয়ার প্রতারণা 

প্রকাশিত : জুলাই ০৯, ২০১৮, ১৯:১৭

ভগ্নিপতি’র শেল্টারে বেপরোয়া কেয়ার প্রতারণা 

মুন্নি আক্তারঃ প্রতারণা করাই যার প্রধান পেশা। এই প্রতারণার কৌশল হিসাবে নিজের আসল নামের পাশাপাশিও ব্যবহার করেন আরো কয়েকটি নাম। তার প্রকৃত নাম কেয়া হলেও এখন রোকেয়া ইয়াসমিন, তৃপ্তি এলাহ, বৃষ্টি ইয়াসমিন ছাড়াও আরো অনেক নাম রয়েছে তার। বাবা মৃত আবুল হাসনাত গত ২০০৪ সালে মারা যান। এরপরই পরিবারের হাল ধরেন তার বড় ভাই। সূত্রে জানা গেছে, পরিবারের সকল দ্বায়-দায়িত্ব সবই দেখা শুনা করতেন তার বড় ভাই। তবে কেয়ার বেপরোয়া চলাফেরা কারনে ভাই বিবাহ করে আলাদা সংসার গড়ে তুলেছেন। এরপরই কেয়া আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেন। তবে কেয়া একাই এ পথের পথিক তা-ই নয়। তার বড় বোন সাবিনা ইয়াসমিনও একই পথের পথিক। টাকা, অর্থ, সম্পদের লোভের বর্ষপতি হয়ে প্রতারণায় নেমেছে। সূত্রে জানা গেছে, তাদের এ ধরনের অপকর্মে শেল্টার দিচ্ছে তারাই ভগ্নিপতি হাবিবুল হাসান চৌধুরী নোবেল। কেয়ার ভাষ্যমতে, আমার দুলাভাই ডেসকো কোম্পানীর ইঞ্জিনিয়ার। তার রয়েছে কয়েকশ ক্যাডার বাহিনী। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। যে কোন মুহুর্তে চাইলে যে কেউকে খুন, গুম, মারধর করে হাত পা ভেঙ্গে রাস্তায় বসিয়ে দিতে পারে। তার সাথে পুলিশের বেশ কিছু উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে পরিচয় রয়েছে। এছাড়াও আরো অনেক কথাই বলেন রোকেয়া ইয়াসমিন ওরফে বৃষ্টি ইয়াসমিন ওরফে কেয়া। তিনি এ কথাগুলো হুমকি সরূপ এ প্রতিনিধিকে বলেন। এছাড়াও কেয়া বলেন, আমার দুলাভাইর সাথেও আমার অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে তাতে তোর সমস্যা কি? আমি কার সাথে কি করবো তা তো তোকে বলবো না। অনুসন্ধানে জানা গেছে, হাবিবুল হাসান চৌধুরী নোবেল নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারী বিদ্যুৎ বিলও দিচ্ছে না। একটি সূত্রে জানা গেছে, বড় বোন সাবিনা ইয়াসমিন ও তারই মা ফাহাত ইয়াসমিন বুটিক্স ফ্যাশনের অন্তরালে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। তারা মোহাম্মাদপুর শিয়াহ মসজিদ এলাকায় থেকে এই অপকর্মগুলো পরিচালনা করলেও প্রশাসন কিছু জানে না। তবে এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগিদের দাবী এদেরকে আইনের আওতায় এনে যুব সমাজকে ধ্বংশের হাত থেকে রক্ষার করার দাবী জানিয়েছেন।

বহুগামী ও পরপুরুষ লোভী কেয়ার বড় বোনের জামাই।

উক্ত প্রতারক মেয়ের বিরুদ্ধে নিরীহ মানুষের যত অভিযোগঃ
বিয়ে করেছেন ৮ বছর আগে ফরমান উল্ল্যাহ রাজন নামের সিটি ব্যাংকের কর্মকর্তাকে। ওই ঘরে তাদের রয়েছে একটি কন্যা সন্তান। এর মধ্যে প্রতিনিয়ত ঝগড়া লেগে থাকতো স্বামী ফরমান উল্ল্যাহ রাজনের সাথে স্ত্রী রোকেয়া ইয়াসমিন ওরফে বৃষ্টি ইয়াসমিনের। গত বছর স্বামীকে ডির্ভোস না দিলেও নিজেকে ডির্ভোসী দাবী করে বরবধু.কম ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আইডি খুলে প্রতারণায় জড়িয়ে পড়েন রোকেয়া ইয়াসমিন ওরফে বৃষ্টি ইয়াসমিন। সূত্র জানায়, ফ্ল্যাট, গাড়ীর লোভে পড়ে সাধারন মানুষকে ব্ল্যাকমেইলিং করে আসছে। আর এ গাড়ী ফ্ল্যাট এর চাপও ছিল তার স্বামী রাজনের উপর। তার দাবীকৃত ফ্ল্যাট দিতে রাজিও ছিলেন স্বামী ফরমান উল্ল্যাহ রাজন। কিন্তু এতে রাজি না লোভী স্ত্রী রোকেয়া। মূলত ফ্ল্যাট নয় এক ডজনেরও উপরে ছেলেদের সাথে রয়েছে পরকিয়া সম্পর্ক। তাদের অনেকের সাথে বৃষ্টি ইয়াসমিন ওরফে রোকেয়া ইয়াসমিন শাররিক সম্পর্কও স্থাপন করেছেন। তার রয়েছে বিভিন্ন নামে বেনামে একাধিক সামাজিক যোগাযোগের সাইট। কখনো বৃষ্টি ইয়াসমিন, কখনো রোকেয়া ইয়াসমিন আবার কখনো তৃপ্তি ইয়াসমিন আবার কখনো কেয়া নামে পরিচিত হন বিভিন্ন যুবকের সঙ্গে। জানা গেছে, তার সকল অপকর্মে শেল্টার দিচ্ছে তার-ই গর্ভধারনী মা। তবে তার অপকর্ম নিয়ে প্রথমে স্বামী ফরমান উল্ল্যাহ রাজন মান সম্মানের কথা চিন্তা করে মুখ খুলতে রাজি হন নি। এই বহুগামী মেয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসার পরই অনুসন্ধানে নামে তদন্ত চিত্রের অনুসন্ধানী টিম। গত কয়েক দিনের অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাদক আসক্ত, পরপুরুষ লোভী রোকেয়া ইয়াসমিন তার মা ও বড় বোনের জামাই হাবিবুল হাসানের শেল্টারে বিভিন্ন পুরুষের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন। বিবাহিত স্বামী রাজনকে ডিভোর্স না দিয়ে বরবধু.কমে আইডি খুলে বিভিন্ন মানুষের সাথে পরিচয় হন রোকেয়া। এরপরই করেন দেখা সাক্ষাৎ। দুই চারদিন মোবাইল ফোনে কথা বলে দেহ দিয়ে টাকা লেনদেন শুরু করেন এ পুরুষ লোভী নারী। অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, গত ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে খালেদ রুবেন নামে উত্তরার এক যুবকের সাথে পরিচয় হয় রোকেয়া ইয়াসমিনের। তবে এ নামে নয় তার সাথে পরিচয় হয় বৃষ্টি ইয়াসমিন এবং তৃপ্তি এলাহ নামে। এছাড়াও রয়েছে এ রমনীর আরো কয়েকটি নাম। এগুলো প্রতারণার কৌশল হিসাবে সুযোগ বুঝে যাকে যে নাম বলে রোকেয়া ইয়াসমিন ওই লোক তাকে সে নামেই চিনেন। নাম নয় মূলত প্রতারণা করাই তার প্রধান পেশা। গাড়ি বাড়ি আর অর্থ সম্পদের লোভে অর্থ সম্পদশীল ব্যক্তিদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেন রোকেয়া ইয়াসমিন ওরফে বৃষ্টি ইয়াসমিন। আদাবর এলাকায় বসবাসকারী এ প্রতারক মেয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ছাড়াও সম্পর্ক গড়ে তুলেন সৌদি, দুবাই, আমেরিকা, কানাডা, ইংল্যান্ড সহ প্রবাসীদের সাথে। তার টার্গেট ধর্নট্য ব্যক্তিবর্গ। হোক সে বিবাহিত কিংবা বয়স্ক। প্রতারক এ নারীর বাবা মারা যাবার পর থেকে তারাই মা দেখাশুনা করেন। কিন্তু মায়ের শেল্টারের মেয়ে এত অশ্লীল জীবন যাপন করে আসছে বলে জানান তার এলাকার অনেকেই। তার প্রেমের ফাঁদে পড়ে অনেকেই হয়েছে নিঃশ্ব হাড়িয়েছে অর্থ সম্পদ এমনকি মান সম্মান। আবার অনেকেই চেষ্টা করেছে তাকে এ পথ থেকে সরিয়ে আনতে অবশেষে ব্যর্থ হয়েছে নিরীহ তার প্রেমিক যুগল। সূত্র জানায়, অর্ধশত ছেলেদের সাথে রয়েছে তার অনৈতিক সম্পর্ক আর এ সম্পর্কও বেশি দিন গড়ায় না। অল্প সময়ের সম্পর্কে তিনি তাদেরকে দিয়ে দেন মন, প্রান, ভালবাসা, অবশেষে বিচানায় পর্যন্ত যান এ প্রতারক মেয়ে রোকেয়া। এরপর শুরু হয় রোকেয়া ইয়াসমিনের প্রতারণার কৌশল। তেমনি মাত্র চার মাস আগে সম্পর্ক গড়ে তুলেন উত্তরার জনৈক খালেদ রুবেন এর সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে পঞ্চাশ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে জানান রুবেন। এরপর হয় তাদের দেখা সাক্ষাৎ আবার হানিমুনও। মাত্র চার মাসের পরিচয়ে শারীরিক সম্পর্কও হয়েছে অনেকবার জানান তিনি। তবে ফেসবুকে তাদের দুজনের ছবি ও স্ট্যাটাস দিয়ে রোকেয়া ইয়াসমিন ওরফে বৃষ্টি ইয়াসমিন জানান, তার স্বামী খালেদ রুবেন। তবে খালেদ রুবেন তা অস্বীকার করে বলেন, তার আগে একটা বিয়ে হয়েছে। ওই স্বামীকে এখনো তালাক দেন নাই। ওই ঘরে একটা মেয়ে আছে। একটি সূত্র জানায়, আসলে আপনারা ও জানেন মেয়েরা আজ কাল মেয়েরা ছেলেদেরকে তালাক দিতে চায় না। কারন যদি মেয়েটা তালাক দেয় তাহলে তার কাবিনের দেনমোহরের টাকা পাবে না। তাই এরা চায় ছেলে তালাক দিলে ওই টাকা গুলো পাবে। মুলত টাকা পাওয়ার জন্য প্রথম স্বামীকে ঝুলিয়ে রাখছেন রোকেয়া ইয়াসমিন ওরফে বৃষ্টি ইয়াসমিন। সূত্রে আরো জানা গেছে, প্রথম স্বামীর সাথে বিগত আট বছর আগে বিয়ে হয় এ প্রতারক মেয়ে রোকেয়ার। আরেকটি সূত্র জানায়, তবে তাদের সংসার জীবনের বড় বাধা হয়ে দাড়িয়েছে মাদক আসক্ত রোকেয়া ইয়াসমিনকে সাথে নিয়ে তার স্বামী মাদক সেবন না করা এবং বাড়ী গাড়ী ও তার চাহিদা মত টাকা না দেওয়া। রোকেয়ার মাসে হাত খরচ দিতে হয় ত্রিশ হাজার টাকা। এত টাকা কি করে রোকেয়া প্রশ্ন সাধারন মানুষের? বিভিন্ন পার্টিতে মা, বড় বোন, বোনের জামাইসহ পরিবারের সবাই একসাথে মদ পান করা অব্যশ রয়েছে রোকেয়ার। এছাড়াও প্রতিদিনই পার্টি দিতে হবে এমন দাবীও করেন স্বামীর কাছে রোকেয়া। বড় বোনের জামাইকে রেখেছেন ঘর জামাই হিসাবে তার মা। কিছুর থেকে কিছু হলেই জামাইর উপর নেমে আসে অত্যাচার। তাই তিনি তেমন কিছু বলেন না তাদেরকে। মুখ বুঝে সব সহ্য করলেও ভিতরে রয়েছে যন্ত্রনার আগুন। স্বামীকে ছেড়ে মেয়ে নিয়ে মায়ের কাছে থেকে মাদক সেবন ও পরপুরুষের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে অর্থ আত্মসাৎ করেই চলছে রোকেয়া ইয়াসমিন। যাদেরকে বিয়ে করবে বলে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম. ইংল্যান্ডের মোরশেদ, সৌদি আরবের মক্কায় আব্দুল কুদ্দুস, মোহাম্মদপুরের টিটু মিজান, উত্তরার খালেদ রুবেনসহ আরো অনেক। আমরা ধারাবাহিকভাবে তার সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িতের নাম প্রকাশ করবো। তার বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম এর এক নাম একে রকম। ইমুতে তার নাম রোজ রোজ, ভাইবারে রোজ, ফেসবুকে বৃষ্টি ইয়াসমিন ও তৃপ্তিসহ আরো অনেক অজানা নামে। তবে এ বিষয়গুলো নিয়ে রোকেয়া ইয়াসমিনের কাছে জানতে চাইলে পরে ফোন করার কথা বলেও ফোন না করে প্রতিবেদকের ফেসবুক আইডিতে ফ্রেন্ড রিকোয়েষ্ট পাঠিয়ে বিভিন্ন অপার ও অশ্লীল কথা বার্তা বলেন। এক পর্যায়ে উক্ত প্রতিবেদকে এক সপ্তাহের মধ্যে হত্যা করবে বলে হুমকি দেন। তবে ওই প্রতিবেদকের সাধারন ডায়েরীর ব্যাপারে মতিঝিল থানার ওসি ওমর ফারুকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করতে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বলে দিয়েছি। তিনি বলেন, অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। আমাদের ব্যাপক অনুসন্ধান চলছে, পরবর্তীতে আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য আসছে (চলবে)


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।