TadantaChitra.Com | logo

১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দারুসসালাম থানা আ’লীগের নেতা গিয়াসের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির সহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ!

প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২, ১০:২০

দারুসসালাম থানা আ’লীগের নেতা গিয়াসের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির সহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ!

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দারুসসালাম থানা আওয়ামীলীগের সাবেক স্ব-ঘোষিত সহ-সভাপতি ও দারুসসালাম প্রোপার্টিজ লিমিটেডের ব্যবস্হাপনা পরিচালক ভূমিদস্যু গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে দারুসসালাম থানার ৯নং ওয়ার্ডে প্লট, ফ্ল্যাট, বাডী দখল, চাঁদাবাজি এবং নারী কেলেঙ্কারী সহ ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে। তার অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ।

ভূক্তভোগী উম্মে সালামা চৌধুরী রানু এ প্রতিবেদক জানায়, গত ১৯ সেপ্টেম্বর‘ ২২ ইং তারিখে গিয়াস উদ্দিন ও তার প্রধান সহযোগি মাহমুদুর রহমান রাসেল এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনী ও কিশোর গ্যাংয়ের ৩০/৩৫ জন সদস্য নিয়ে হরিরামপুর ৭০/১ নং বাড়ীর মালিক উম্মে সালমা চৌধুরী রানু ও তার স্বামী সোহেল শেখকে মারপিট করেন এবং বাডী থেকে বের করে দিয়ে বাড়ীটি দখল করে গিয়াস উদ্দিনের নামে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে গিয়াসের উদ্দিনের সন্ত্রাসী বাহিনী ঘরের মধ্য ঢুকে আসবাবপত্র ভাংচুর করে নগদ টাকাপয়সা এ স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।

তিনি আরো জানান, গিয়াস উদ্দিন তাদেরকে শাষিয়ে বলে আমি ভবিষ্যত দারুসসালাম থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি তোমারা এই বাড়ীতে ঢোকার চেষ্টা করলে তোমাদের প্রানে মেরে ফেলবো। বর্তমানে আমি আমার স্বামী সন্তান নিয়ে প্রানভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। এ বিষয়ে ভূক্তভোগী দারুসসালাম থানায় একটা অভিযোগ দায়ের করে কোন সহযোগিতা না পেয়ে আদালতের শরনাপন্ন হয়েছে।

কে এই গিয়াস উদ্দিন? পিতার নাম সামসু ড্রাইভার করতেন গাবতলী টার্মিনালের ফুটপাতে বিরিয়ানীর ব্যবসা। ব্যক্তি জীবনে তিনি ছিলেন উর্দুভাষী। সেই সুবাদে তিনি পাকসেনাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে বাংলাদেশ স্বাধীনতা বিরোধিতা করেন।যারফলে তিনি আর এলাকায় আসতে না পেরে ঢাকার অদুরে সিংগাইরে বিয়ে করে বসবাস শুরু করেন এবং সেখানে তার বিভিন্ন অপকর্মের কারনে হত্যার শিকার হন।

গিয়াস উদ্দিনের ছিলো বাসের কলার বয় এবং বাবার সাথে ফুটপাতে দাডিয়ে বিরিয়ানী বিক্রি করতো। তার আগে তাকে গরু চোর গিয়াস বলে ডাকতো।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কতিপয় এলাকাবাসী এ প্রতিবেদককে জানান, হরিরামপুর এলাকার হক নামের এক লোকের গরু চুরি করে ধরা পডে এই গিয়াস উদ্দিন এবং তার বন্ধু ঠোঁটকাটা সেলিম সহ কয়েকজন। গরু চুরির দায়ে বিচারে তাদের লাঠিপেটা সহ জরিমানা করা হয়।

এরপর ভাগ্যক্রমে গিয়াস উদ্দিন টালি কোম্পানির কেয়ারটেকারের চাকুরী পায়। টালি কোম্পানীর মালিকের মৃত্যুর পর তার স্তীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বেশ কিছু জায়গা জমি জালজালিয়াতি করে রাতারাতি কোটিপতি বনে যান। শুরু করেন ক্ষমতার রাজনীতি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এলে কোন সম্মেলন ছাড়াই বাগিয়ে নেয় ৯ নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি পদ। শুরু হয় জমি দখল ও চাঁদাবাজি। দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের দায়ে যুবলীগ থেকে বহিস্কৃত হন তিনি। ২০০১ সালে বিএনপি – জামাত জোট ক্ষমতায় এলে স্হানীয় যুবদল নেতা শাহিন ওরফে বয়রা শাহিনের মাধ্যমে বিএনপি’র একজন ভালো ডোনার হিসেবে পরিচিতি পেলেও কোন পদ নিতে পারেনি।

২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনি রাজনীতিতে নিষ্কিয় ছিলেন। পরবর্তিতে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় দীর্ঘস্হায়ী হলে দারুসসালাম থানা কমিটি গঠনে দ্বায়িত্বে থাকা মহানগর উত্তর আওয়ামীলীগের কতিপয় নেতাকে অবৈধ অর্থের বিনিময় হাত করে সভাপতি পদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। গিয়াস উদ্দিন থানা বা ওয়ার্ড কমিটির কোন সদস্য পদ না থাকা সত্বেও দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত উক্ত নেতারা বিভিন্ন সভা সমাবেশে গিয়াস উদ্দিনকে থানা কমিটির সহ সভাপতি হিসেবে ঘোষনা দিয়ে আসছেন এমনকি বর্তমানে কমিটি গঠনে যে কয়জন সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন তার মধ্য গিয়াস উদ্দিনের নাম ১নং সিরিয়ালে রেখে সুপারিশ করেছেন। এ সকল বিষয়ে উল্ল্যেখ করে থানা ও ওয়ার্ডের কয়েকজন নেতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট আবেদন করেছেন।

গিয়াস উদ্দিন দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত ঐ তিন নেতার শ্লেটারে মহানগর আওয়ামী লীগ এর সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও সাধারন সম্পাদক এস এ মান্নান কচি সহ অনেক কেন্দ্রীয় নেতাদের নাম ভাংগিয়ে থানা পুলিশ কে নানা ধরনের উপহার দিয়া দুইদিন পর পর জন্মদিন অনুস্ঠান এর নাম করে নামিদামি লোক দিয়ে এনে দাওয়াত খাওয়াইয়ে নাম ভাংগিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ায়।

সম্প্রতি এক নগর নেতার জন্মদিন পালন করেছেন খুব ঘটা করে। কেক কাটা শেষে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে নাচ-গান এবং মদোৎসব অবশেষে সিনিয়র জুনিয়র হাতাহাতি। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে এলাকায়। সকালে আওয়ামীলীগ রাতে জমি দখল, বিকেলে নামাজ সন্ধ্যায় মদ এই হইল গিয়াসের মুলনীতি।

আওয়ামীলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে সমানতালে করে চলছে দখল বানিজ্য ও চাদারাজি। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে একের পর এক দখল করতে থাকে বিভিন্ন লোকের জমি সহ বসতবাড়ি। এই পর্যন্ত দারুসসালাম থানা এলাকায় ৬/৭টি বাড়ি এবং ১০/১২ টি প্লট আছে তার দখলে। প্রকৃত মালিকেরা ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় মানুষের দ্বারেদ্বারে ঘুরছেন।তার অত্যাচারে ভুক্তভোগী সহ সাধারণ মানুষের ভিতর এই নিয়ে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। শুধু তাই নয় গিয়াস উদ্দিনের বিনোদনের জন্য রয়েছে ৪/৫ জন বিধবা ও বিবাহিত রক্ষিতা। তিনি তাদেরকে এলাকার বিভিন্ন ফ্লাটে ভাড়া রেখেছেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। এ ছাড়াও দারুসসালাম প্রোপার্টিজ লিমিটেডের যে সকল বিল্ডিং রয়েছে তার মধ্যে প্রায় বিল্ডিংয়ে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করছেন যার ফলে তিতাস গ্যাস লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। বিল্ডিং ও তৈরী হয়েছে রাজউকের নকশা বহির্ভূত। ফ্ল্যাট গ্রহিতাদের সময়মত ফ্ল্যাট বুঝিয়ে না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

এসব বিষয়ে গিয়াস উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি গ্রুপ তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করতে এসব বানোয়াট তথ্য সরবরাহ করে বলে জানান।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।