চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি: ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি শাজাহান মিয়ার বিরুদ্ধে পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ড পানি উন্নয়ন বোর্ডের দক্ষিণ পাশে মেইন রোড সংলগ্ন ১০ শতাংশ জমিসহ দোকান ভিটা জোরপূর্বক দখল করার অভিযোগ উঠেছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তার ভাড়াটিয়া বাহিনী নিয়ে সোমবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১০ টার এই দোকান ভিটা দখল করেন।
উক্ত দোকান ভিটা জয়গুন খানমের ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হয়ে হুমায়ুন কবির ও রিয়াজ খান দীর্ঘ ১২ বছর যাবত গোডাউন ও ভাঙ্গাচুড়ার দোকান ভাড়া দিয়ে আসছে। অভিযোগ উঠেছে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সেই ভাড়াটিয়াদের উৎখাত করে দোকান ভিটা দখল করে নিয়েছে উপজেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি শাজাহান মিয়া। তবে শাজাহান মিয়া এই অভিযোগ মিথ্যা বলে জানান, এই সম্পত্তি তার ক্রয়কৃত সম্পত্তি। নিজের সম্পত্তির উপর টিন দিয়ে বাউন্ডারি দিয়েছেন তিনি।
জানা যায়, ১৯৬৬-৬৭ সনের পূর্বে দীর্ঘ অনেক বছর মুকবুল খান এবং আবুল হাসেম মাস্টার জমির খাজনা, দাখিলাসহ ততকালীন সরকারের নিয়মকানুন না মানার করনে সরকার ১২ একর ৭ শতাংশ জমি নিলামে তুলে৷ যাহার নিলাম কেইস নং ৩৪৬-L/৬৬-৬৭৷ উক্ত সরকারের নিলামে তোলা জমি জয়গুন খানম ক্রয় করেন যার বিএস খতিয়ান নং ৬৮০, নামজারি কেইস নং ২৭৭/F৭৭/৭৮ এর সাথে বায়না নামা, দখল নামা খাজনা রশিদ সকল কিছু সংগ্রহীত আছে৷ জয়গুন খানমের ২০১২ সনে মৃত্যু হলে বিক্রি শেষে অবশিষ্ট ২ একর ৯ শতাংশ জমি তার ছেলে, মেয়ে ও নাতি-নাতনিরা ওয়ারিশ সুত্রে মালিক হন। উক্ত ২ একর ৯ শতাংশ জমি থেকে জয়গুন খানমের নাতি হুমায়ুন কবির ও রিয়াজ খান ৪০ শতাংশ জমির মালিক হন। সে ৪০ শতাংশ জমির মধ্যে বিএস ৯৫৭ দাগে ১০ শতাংশ জমি হলো শাজাহান মিয়া কর্তৃক দখল হয়ে যাওয়া মেইন রোড সংলগ্ন দোকান ভিটা ও জমি।
ভুক্তভোগী হুমায়ুন কবির অভিযোগ করে বলেন, আমার দাদি জয়গুন খানমের মৃত্যুর পূর্বে বাবা মারা যান। ওয়ারিশ সূত্রে আমি এবং আমার ভাই রিয়াজ খান এই দোকান ভিটার মালিক। দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা এই দোকান ভিটা ভাড়া দিয়ে আসছি। শাজাহান মিয়া জয়গুন খানমের পূর্বের মালিকের ওয়ারিশদের থেকে অবৈধ ভাবে দলিল সংগ্রহ করে এই দোকান ভিটা দাবি করে আসছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েকবার বসা বসি হলে সবখানেই আমাদের পক্ষে রায় আসে। কিন্তু শাজাহান মিয়া বিচারের রায় নামেনে ইতিপূর্বেও দোকান ভিটা দখল করতে এসেছিল। পরে আমরা আদালতে মামলা দায়ের করি। যার মামলা নং ১৮৭/২২। বিজ্ঞ আদালত যাচাই-বাছাই করে ২৮ মার্চ ২০২২ ইং তারিখে উক্ত দোকান ভিটার উপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। আজ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শাজাহান মিয়া আমাদের রেকর্ডীয় সম্পত্তি দখল করেন। আমরা স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের নিকট সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
‘পদ্মায় গোসলে নেমে ৩ কিশোরের মৃত্যু’
রাজশাহীর পবা উপজেলায় পদ্মা নদীতে ডুবে তিন কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।......বিস্তারিত