TadantaChitra.Com | logo

১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বরিশাল সওজের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর তুলকালাম কান্ড

প্রকাশিত : নভেম্বর ২৮, ২০২২, ০৫:৩০

বরিশাল সওজের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর তুলকালাম কান্ড

এম এইচ মুন্না : সীমাহীন অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে নিজের আখের গোছাতে বেপরোয়া মচ্ছবে মেঠে উঠেছেন, বরিশাল সওজের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এ এস এম শাহরিয়ার চৌধুরী। ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলির বাসিন্দা বর্তমানে বরিশাল সওজ সার্কেল অফিসের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) পদে কর্মরত তিনি। সড়ক ও জনপথ বিভাগে অবৈধ পন্থায় তিনি সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর আগে তিনি রাজশাহী খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন।

জানা যায়, তিনি ড. আব্দুস সালাম চৌধুরীর সন্তান। শহরের ‘ফুলসূট’ ভিলায় তাদের স্থায়ী বসবাস। নিজ দপ্তরে শাহরিয়ার আপদ মস্তক একজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা এবং মিস্টার ১৫% হিসেবে পরিচিত। তিনি প্রধানমন্ত্রীর ফরিদপুরের এক আত্মীয়ের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন এবং তার নাম ভাঙিয়ে অগাধ সম্পদের মালিক হয়েছেন।

এ কর্মকর্তার খুলনা শহরে ১৪ টি,ফরিদপুর শহরে ৫ টি ফ্লাট ঢাকার মোহাম্মদপুর বেড়িবাদের পূর্ব পাশে ৬ নম্বর রোডের ৫ নম্বর হাউজ( ১টি ছয় তলা সুরমা বাড়ি) বরিশাল টিয়াখালীতে ২২ একর জায়গার ওপর চৌধুরী ফিশারী নামে একটি বিশাল মৎস্য খামার খুলনা সাতক্ষীরা মূল সড়কের পাশে ঝিলের ডাঙ্গায় ৯৪ একর জায়গায় দুইটি চৌধুরী চিংড়ি মাছের ঘের রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, বর্তমান বাজার মূল্যে বিবেচনায় তার সম্পদের পরিমাণ প্রায় শত কোটি টাকা। অথচ চতুর্থ গ্রেডে তার বেসিক বেতনকাঠামো ৯৮ হাজার ৪শত ২০ টাকা। তবে তিনি প্রতি মাসে বেতন পান এক লক্ষ টাকার কাছাকাছি। এ বিবেচনায় তার আয়ের থেকে সম্পদের পরিমাণ বেশি। তাছাড়া প্রতি মাসে এক লক্ষ টাকা বেতন হিসাবে বোনাসসহ বছরে আয় প্রায় ১০ লাখ টাকা। এ হিসাবে সপদে থেকে ৩০ বছরে অবসরে যাওয়া পর্যন্ত তার মোট আয় দাঁড়াবে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা। অথচ চাকরির অর্ধেক মেয়াদেই সড়ক ও জনপদ বিভাগের এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রায় শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক বনে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে তার অর্জিত সম্পদের সবকিছুই নিজ নামে নয়। নামে বেনামে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। নিজ পরিবার ও আত্মীয়- সজনের নামে সম্পদ রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও আত্মীয়-স্বজনের নামে ঠিকাদারী লাইসেন্স রয়েছে। নির্দিষ্ট ওই ঠিকাদারি লাইসেন্স দিয়ে তার আত্মীয়-স্বজন কাজ করে থাকে ফলে তার ওই প্রতিষ্ঠানই কাজ পেয়ে থাকে।

এছাড়া বরিশাল পটুয়াখালী জেলার ফেরিগুলো তার দায়িত্বে থাকায় ফেরিগুলোর ইঞ্জিল অচল দেখিয়ে তার নিজস্ব ঠিকাদার দিয়ে ইস্টিমেট দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয় সে সরকারি গাড়িতে খুলনা ও সাতক্ষীরাসহ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পরিদর্শন করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিষ্ঠানটির একাধিক কর্মকর্তা চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য খতিয়ে দেখতে দুর্নীতি দমন কমিশ- দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ ব্যাপারে বরিশাল সওজের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এ এস এম শাহরিয়ার চৌধুরীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন ধরেননি।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।