TadantaChitra.Com | logo

৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৫০ কোটি টাকায় গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী পদে আশরাফুলের তদ্বির!

প্রকাশিত : নভেম্বর ২৮, ২০২২, ১০:৫০

৫০ কোটি টাকায় গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী পদে আশরাফুলের তদ্বির!

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ এর আগে ২০ কোটি টাকার চুক্তিতে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী হওয়া সেই আশরাফুল আবারো প্রধান প্রকৌশলী হতে ৫০ কোটি টাকা বাজেট করেছেন বলে গণপূর্ত অধিদপ্তর ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে গুঞ্জন উঠেছে। আগামী মাসের যেকোন দিন তাঁকে অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী করা হতে পারে বলে অধিদপ্তরের অনেকেই জানান। সেই লক্ষ্যে তাঁর বদলীর ফাইল মন্ত্রণালয়ে চলছে বিদ্যুৎ গতিতে। বগুড়ার বাসিন্দা বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এই প্রকৌশলী পুনরায় গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী হতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।

এ পদে বসতে বিভিন্ন সেক্টরের লোক ম্যানেজ করতে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে জনবল চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছেন এ প্রকৌশলী। প্রধান প্রকৌশলীর চেয়ারে বসেই তাদের কাউকে সপ্তাহে কাউকে মাসিক ভাবে টাকা দিবেন এমন আশ্বাস দিচ্ছেন আশরাফুল আলম। বর্তমানেও বেশ কয়েকজনকে পকেট ও হাত খরচ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব সেক্টর হচ্ছে, রাজনীতিবিদ, ঠিকাদার ও সাংবাদিক। আবার এর মধ্যে বিভিন্ন সাংবাদিকদেরকে ভাগ করেছেন। এ তালিকায় আছে, সাংবাদিক সংগঠনের নেতা, প্রিন্ট মিডিয়া, অনলাইন মিডিয়া, টেলিভিশন, চাটামবাজ সাংবাদিক, তথাকথিত সাংবাদিক ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি। এরা সব সময় মুখে মুখে আশরাফুল আলমের গুণকীর্তন প্রকাশ করে। কেউ আশরাফুল আলমের অপকর্ম নিয়ে লিখতে চাইলে এরা বাঁধা হয়ে দাড়ায়। বেশ কয়েকটি পত্রিকা তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করলেও এই তদ্বিরবাজদের কারনে সেই সংবাদ ঘন্টার মাঝে ডিলিট করতে হয়েছে। অনেক পত্রিকা ডিলিটও করেছেন। এটা করেই সেই পত্রিকার সাংবাদিকও হয়ে যান আশরাফুল আলমের কাছের লোক।

মন্ত্রণালয়ের একাধিক সুত্র জানায়, বেশিরভাগ কর্মকর্তার ফাইল কচ্ছপ গতিতে চললেও আশরাফুল আলমের বদলীর ফাইল দ্রুত বিভিন্ন টেবিলে যাচ্ছে। এসবের পিছনে তিনি মোটা অংকের টাকা ব্যয় করেছেন বলে এ সুত্রটি জানান। এর পাশাপাশি আশরাফুল আলমকে গণপূর্ত অধিদপ্তরের বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে দাবী করে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করেন। এই সংবাদ গুলো আশরাফুল নিজে লিখে টাকার বিনিময়ে প্রচার করাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অতীতে আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ দুর্নীতি ও অপকর্মের অভিযোগ ছিল। সেই অভিযোগ গুলো থেকে যদিও দুদক থেকে টাকার বিনিময়ে দায়মুক্তি নিয়েছেন কিন্তু দাগ কাটেনি তাই নিজের পক্ষে গুণকীর্তন লিখে পরিচিত সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রচার করেন আশরাফুল।

সর্বকালের সেরা দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা হিসেবে গণপূর্ত অধিদপ্তরের পরিচিতি পেয়েছেন আশরাফুল। আগেরবার এ পদে বসতে জাতীয় পার্টি নেতা ও ঠিকাদার রিন্টু আনোয়ারের সাথে ২০ কোটি টাকার স্ট্যাম্প চুক্তি করেন আশরাফুল আলম। চেয়ারে বসেই চুক্তি অনুযায়ী ২০ কোটি টাকা রিন্টু আনোয়ারকে না দেওয়াতে এ নিয়ে প্রধান প্রকৌশলীর অফিসে বাকবিতন্ডা হয়। এমনকি ঘটনাটি হাতাহাতি পর্যন্ত গিয়ে গড়ায়। পরে বিভিন্ন সাংবাদিকের কাছে তাঁদের এই গোপন চুক্তি ও ২০ কোটির টাকার একটি চেক চলে যায়। গণপূর্ত মুখী কয়েকজন সাংবাদিক এ ঘটনাকে পুঁজি করে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কেউ কেউ আশরাফুল আলমের টাকা দিয়ে গাড়ীও কিনেছেন এমন খবর চাউর রয়েছে সাংবাদিক কমিউনিটিতে। তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ ছাড়াও দুর্নীতিবাজ ও টেন্ডারবাজ জিকে শামীম, গোল্ডেন মনিরের সাথে দহরম-মহরম সম্পর্ক ছিল। তাদেরকে নিয়েই বিভিন্ন অপকর্ম ও দুর্নীতিতে ডুবে থাকতেন আশরাফুল আলম। এসব অভিযোগেই গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাকে।

সুত্র জানায়, রংপুর জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী থাকা অবস্থাতেই ২০১৯ সালের ১০ নভেম্বর প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি পেতে একজনকে ‘পরামর্শক ফি’ বাবদ ২০ কোটি টাকা দেওয়ার বিষয়ে একটি চুক্তি হয়। চুক্তিতে আশরাফুল আলমের পক্ষে তার শ্যালক সদরুল ইসলাম সায়মন এবং পরামর্শকের পক্ষে ঠিকাদার রিন্টু আনোয়ার সই করেন। চুক্তিনামায় ১১৪/৪ পশ্চিম আগারগাঁও, ১৬৪ উত্তর বাড্ডা ও ২৮ পূর্ব নয়া টোলা ঠিকানার তিন ব্যক্তির সইও আছে সাক্ষী হিসেবে।

চুক্তিনামায় আশরাফুলের শ্যালকের বয়ানে বলা হয়, আমার আত্মীয় (দুলাভাই) মো. আশরাফুল আলমের প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতিতে সহযোগিতা করার জন্য রিন্টু আনোয়ারের সঙ্গে পরামর্শক হিসেবে পারিশ্রমিকের বিনিময়ে চুক্তিবদ্ধ হলাম। পরামর্শক হিসেবে পারিশ্রমিকের বিনিময় ২০ কোটি টাকা নির্ধারিত হলো।

আশরাফুল ইসলামের শ্যালক সদরুল ইসলাম সায়মনের সই করা ওই চুক্তিনামায় আরও বলা হয়, আমি আশরাফুল আলমের সম্মতি, অনুরোধ ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রিন্টু আনোয়ারের অফিসে (৩৪, বিজয় নগর, চতুর্থ তলা) উপস্থিত হয়ে আমার নামের অ্যাকাউন্টের ২০ কোটি টাকার তারিখবিহীন একটি চেক অগ্রিম হিসেবে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে নিজ হাতে সই করে হস্তান্তর করলাম। প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে আশরাফুল আলমের পদোন্নতির চিঠি পাওয়ার সাত কার্যদিবসের মধ্যে রিন্টু আনোয়ার এই চেক নগদায়ন করে নিতে পারবেন। এই সময়ের মধ্যে আমি চেকটি নগদায়ন করে না দিলে রিন্টু আনোয়ার চেকটি ডিজঅনার করে আমার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবেন। চুক্তিনামা ও ব্যাংক চেক পর্যালোচনা করে উভয় নথিতে সদরুল ইসলাম সায়মনের সই একই বলে প্রতীয়মান হয়েছে।

২০১৯ সালের ১০ নভেম্বরের ওই চুক্তির পর ৩১ ডিসেম্বর গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতি পান আশরাফুল আলম। তবে অভিযোগ ওঠে, এরপর চুক্তির ওই ২০ কোটি টাকা পরিশোধ করেননি তার শ্যালক সায়মন। গণপূর্তের একাধিক সূত্র জানায়, ওই টাকা তুলতে গত ২১ জুলাই রিন্টু আনোয়ার তার দলবলসহ প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলমের কক্ষে যান। এসময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনাও ঘটে। গণপূর্তের একাধিক কর্মকর্তা ও ঠিকাদার এ প্রতিবেদকের কাছে কথা কাটাকাটি ও মারামারির ঘটনা স্বীকার করেছেন।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের রংপুর জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী থাকাকালীন আশরাফুল আলমকে অনিয়ম দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন সম্পদের হিসাব দাখিলের নির্দেশ দেয়। সে সময় দুর্নীতি দমন কমিশনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সম্পদের হিসাব দাখিল করেন নাই বলেও অভিযোগ রয়েছে।

জানা যায়, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ ও বিসিএস ১৫তম ব্যাচের প্রকৌশলী আশরাফুল আলম নিজেদের মধ্যে যোগসাজসে মানহীন নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় নির্মাণ করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালটি। যার যাবতীয় দুর্নীতি ও অনিয়ম এই প্রকল্পের আইএমইডি প্রতিবেদনে ধরা পড়ে। দুর্নীতি ও অনিয়মের সত্যতা পায় একনেকের তদন্ত কমিটিও। সে তদন্ত সূত্র মতে জানা গেছে, উচ্চ দর দেখিয়ে নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহের মাধ্যমে সরকারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন এই কর্মকর্তা।

দুর্নীতি তদন্তে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গঠিত কমিটি সরেজমিন পরির্দশনকারী দলের অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পায়। ২০১৭ সালের ২৬ নভেম্বর তৎকালীন প্রধান প্রকৌশলী বরাবর তদন্ত প্রতিবেদনটি পাঠানো হয়। এতে তারা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করলেও রহস্যজনক কারণে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের আশরাফুল আলম বিএনপির সমর্থক, একনিষ্ঠকর্মী ও অর্থদাতা। তার বাড়ি বগুড়ায়। অথচ তিনি ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে চলেন। অথচ রুয়েটে পড়ার সময়ে সে ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ছিলেন। বর্তমান গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রীর আশেপাশের অনেক লোককেই টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেছেন প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে পুনরায় দায়িত্ব গ্রহণের জন্য। ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত তার সম্পর্কে ডিজিএফআই’র প্রতিবেদন পাল্টে নতুন প্রতিবেদন দাখিলেও বিপুল অর্থ ব্যয় করেছেন এই কর্মকর্তা।

আরো জানা গেছে, বিএনপির ঘনিষ্ঠ এই প্রকৌশলী ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি জামায়াতের শাসনামলে গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকুরি করেছেন বগুড়া বাড়ি এবং তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে। সে সময়ে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে তাকে সাবেক ছাত্রদল নেতা ও জাতীয়তাবাদী আদর্শের কর্মকর্তা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সে সময়ে তিনি কথায় কথায় তারেক রহমানকে ‘ভাইয়া’ সম্বোধন করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চাপে রাখতেন এবং লাগামহীন দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন তদন্তে তা প্রমাণিত হয়েছে।

গণপূর্তের এই দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলী শেরেবাংলা নগর ডিভিশন-১ এ নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় ২০০৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০০৯ এর ৬ আগস্ট পর্যন্ত (সংসদ ভবন) জনপ্রতি ৩ লাখ টাকা করে ঘুষ নিয়ে ৩শ’ জনকে ভাউচার ভিত্তিক কর্মচারী নিয়োগ দেন। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে, মোটা উৎকোচের বিনিময়ে ধামাচাপা দেন আশরাফুল। এছাড়া তিনি ভুয়া বিল, ভাউচারে বিভিন্ন ঠিকাদারের লাইসেন্স ব্যবহারের মাধ্যমে কাজ না করেই টাকা উত্তোলনপূর্বক আত্মসাৎ করেন। সংসদ ভবনের এমপি হোস্টেল সংস্কারের নামে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ২০০৯ সালে তৎকালীন স্পিকার আবদুল হামিদের নির্দেশে তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়।

আশরাফুল আলম প্রেষণে গণপূর্ত নির্বাহী প্রকৌশলী থেকে কিছুদিনের জন্য জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষে চাকরি করেছেন। পরবর্তীতে পদোন্নতি নিয়ে রক্ষণাবেক্ষণ সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে গণপূর্তে যোগ দেন। অবৈধ উপার্জনের টাকায় আশরাফুল আলম নিজ জেলা বগুড়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (বিপণি বিতান) গড়ে তুলেছেন। স্ত্রীর নামে ঢাকায় প্রায় দেড় কোটি টাকায় আলিশান ফ্ল্যাটও কিনেছেন। গুলশানে আরো দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে তার। যার মূল্য প্রায় ৬ কোটি টাকা। স্ত্রী ও সন্তানদের নামে নিজ জেলায় সুবিশাল বাড়ি ও বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে। স্ত্রীর নামে ব্যাংকে আছে বড় অংকের এফডিআর। গড়ে তুলেছেন মাসিক সঞ্চয় ও একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সন্তানদের নামেও রয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ। আছে কোটি কোটি টাকার আমানত। পরিবারের সদস্যদের দিয়ে বিভিন্ন আর্থিক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের মাধ্যমে ব্যবসা করছেন তিনি। এছাড়া শ্বশুর-শাশুড়ি ও কাছের আত্মীয়দের নামে রয়েছে কৃষিজমি ও ব্যবসা। মালয়েশিয়ায় হুন্ডির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণের অর্থপাচার করে সেকেন্ড হোম করেছেন এই প্রকৌশলী। এসবের পাশাপাশি আশরাফুল আলমের নামে-বেনামে রয়েছে আরো প্রায় ১শ কোটি টাকার সম্পদ।

এসব বিষয়ে আশরাফুল আলমের কাছে জানতে কয়েকবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই৷ এমনকি হোয়াটসঅ্যাপে জানতে চেয়ে এসএমএস করলেও তিনি কোন উত্তর দেননি। তাই তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।