TadantaChitra.Com | logo

৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৭ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্রেমিককে বাসায় ডেকে এনে ভাইকে দিয়ে খুন!

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৩, ০৫:৫২

প্রেমিককে বাসায় ডেকে এনে ভাইকে দিয়ে খুন!

নিজস্ব প্রতিবেদক: এমন তো হওয়ার কথা ছিল না, আমিই শফিককে বলেছিলাম আমার সঙ্গে দেখা করতে। আজ আমার ভুলের কারণে শফিককে চলে যেতে হলো।

২০১৪ সালের ১৭ই মার্চ কদমতলী থানায় এভাবেই আর্তনাদ করতে করতে কান্নায় ভেঙে পড়লেন পরিকল্পিত হত্যার শিকার শফিকের প্রেমিকা রোকেয়া সুলতানা ওরফে মিশু। ফাঁকা থাকায় শফিককে ডেকে এনেছিলেন বাসায়। প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে প্রেমিকার ভাইয়ের হাতে খুন হন প্রেমিক শফিউল্লাহ শফিক (২৪)।

১৬ই মার্চ ২০১৪ইং রোববার দুপুর ১২টায় এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ প্রেমিকা মিশু ও তার ভাই মাহমুদুল হক শুভকে আটক করে। মিশু জানান, বছর খানেক আগে পরিচয় হয় শফিকের সঙ্গে। প্রায়ই মোবাইল ফোনে কথা বলতেন তারা। এক সময় তাদের এই সম্পর্ক প্রেমে রূপ নেয় যা শারীরিক সম্পর্কে গড়ায়।

শারীরিক চাহিদার তাগিদ থেকেই সেদিন শফিককে বাসায় ডেকেছিলেন মিশু। সেই ভুলের কারণে শফিককে হারাতে হলো।

মিশুর পিতা মোহন মিয়া জানান, মিশুর কারও সঙ্গে সম্পর্ক ছিল কিনা এ বিষয় আমাদের জানা ছিল না। ঘটনার দিন সকালে অফিসের উদ্দেশে বের হয়ে যাই, তার মা ডাক্তার দেখানোর জন্য বারডেম হাসপাতালে যায়, আর আমার ছোট ছেলেটা প্রাইভেট পড়তে চলে যায়। বাসা ছিল সম্পূর্ণ ফাঁকা। এই সুযোগে মিশু মনে হয় ছেলেটিকে খবর দিয়ে এনেছিল। সেদিন মিশুর ছোট ভাই শুভ প্রাইভেট না পড়ে বাসায় ফিরে আসে। বাইরে থেকে দীর্ঘ সময় দরজায় ডাকাডাকি করেও ভেতর থেকে সাড়া না পেয়ে একপর্যায়ে ভেতর থেকে মিশু দরজা খুলে দিলে তার সন্দেহ হয়। মিশুর রুমে গিয়ে কেউ এসেছে কিনা খোঁজ করতে থাকে। এ সময় খাটের নিচে শফিককে পাওয়া যায়। এক ফাঁকে শফিক দৌড়ে ওই বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পেছন থেকে ছুরি হাতে তাড়া করে শুভ। ছয় তলা থেকে পালাতে গিয়ে তিন তলায় শফিককে ধরে ফেলে শুভ। সেখানেই শুভ তাকে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় শফিক।

সে সময় পরিবারের সঙ্গে কদমতলী জিয়া সরণির স্মৃতিধারা ৪ নম্বর সড়কের ১৫ নম্বর বাসায় থাকতেন মিশু। বর্তমানে আমেরিকা প্রবাসী মিশুর গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর ছেঙ্গারচর ইউনিয়নের শিকিরচর ফকির বাড়ি।

নিহত শফিকের বড় বোন আসমা জানান, আমার ভাইয়ের কারও সঙ্গে প্রেম ছিল না। আমার জানা মতে তারা খুব ভাল বন্ধু ছিল। তিনি জানান, শফিক মিরপুরের আইএসটি নামে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ছিল। ঘটনার দিন।সকালে সে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর পুলিশ তাদের শফিকের মৃত্যুর কথা জানায়। তিনি জানান, চার ভাই তিন বোনের মধ্যে শফিক পঞ্চম। এটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। মিশু আমার ভাইকে ডেকে নিয়ে খুন করেছে। আমরা আমার ভাইয়ের খুনির বিচার চাই।

এলাকাবাসী জানান, মিশু ছোট বেলা থেকেই বেপরোয়া, অসংখ্য ছেলেদের সাথে তার শারীরিক সম্পর্ক। মিশুর এসব অপকর্মে অন্যতম সহযোগী মিশুর মা স্বপ্না বেগম।
এ ঘটনায় মিশু ও শুভকে হত্যা মামলায় আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। মিশু দীর্ঘদিন জেল খেটে জামিনে বের হয়ে পালিয়ে আমেরিকায় চলে যায়।

একাধিক সূত্রে জানায় যায়, আমেরিকায় যেয়ে মিশু আরও বেপরোয়া হয়ে গেছে, দিনরাত নেশা ও ছেলেদের নিয়ে পড়ে থাকে মিশু। কিছুদিন আগে বাংলাদেশের এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে বিয়ে করে তাকে মানসিক নির্যাতন সহ তার সাথে অশালীন আচরণ করার অভিযোগ রয়েছে।

অপরদিকে মিশুর ছোট ভাই মাহমুদুল হাসান শুভ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করে সম্প্রতি মুক্তি পায়।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।