TadantaChitra.Com | logo

১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জুথির নেতৃত্বে সরকারি জমিতে’বরকত-লাইজুর’ মাদক ব্যবসা

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩, ২২:০১

জুথির নেতৃত্বে সরকারি জমিতে’বরকত-লাইজুর’ মাদক ব্যবসা

স্টাফ রিপোর্টার: বরিশালে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ও একাধিক সরকারি দপ্তরের মূল্যবান জমি দখল করে মাদক ব্যবসা করছে সৈয়দ আবুল খায়ের বরকত । যিনি একাধিকবার ইয়াবাসহ র‍্যাব ও অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন। এছাড়াও বরকতের বিরুদ্ধে স্থানীয় পর্যায় চাঁদাবাজি, চুরি ছিনতাইয়ের বহু অভিযোগ রয়েছে।

পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বরকত একাধিকবার তার পিতা সৈয়দ আবুল খায়েরকেও মাদক কেনার টাকার জন্য গুরুতর আহত করে। তারা আরও বলে টাকার জন্য পিতাকে ঘরে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। পরে স্থানীয় কাউন্সিলরসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপে তা মিমাংসা হয়। এছাড়াও বরকত, তার স্ত্রী, পিতা ও বোনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, চক্রের সাথে জড়িত পরিবারটি বহু বছর ধরে জালজালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি জমি জোরদখল করে রেখেছে। জমির সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র বিশ্লেষণ করে তার প্রমাণও মিলেছে। লিখিত অভিযোগের সূত্রমতে, ‘ সৈয়দ আবুল খায়ের শফিউল্লাহ্ এর ছেলে সৈয়দ আবুল বরকত ও বৌ জোহরা লাইজু সঙ্গে তার মেয়ে জুথি দুর্নীতিবাজ ও সরকারি জমি আত্মসাৎকারী। চক্রটির সাথে আরও অজ্ঞাত ৮-১০ জন ব্যক্তি রয়েছে। তারা বগুরা আলেকান্দা, জেএল-৫০,এসএ- খতিয়ান নম্বর – ৪২৫/৪৩২/৫৬০/৫৬১/৫৬৩ যাহার দাগ নং ৬৮৭৩,৬৮৭৪ নম্বর দাগ ‘ জোরদখল করে রেখেছেন,যেটি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের জমি। তারা ২২.০৭.১৯৮০ সাল হইতে চলতি বছর পর্যন্ত মূল্যবান সরকারি ও বেসরকারি জমি জোরদখল করে রেখেছেন। সঙ্গে চক্রটি ঘুষ প্রদান করে সরকারি জমি দখল, জাল কাগজ সৃষ্টি করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায় । শুধু তাই নয়, সরকারি জমিতে জোরদখল করে অবৈধভাবে দোকান তৈরি করে দখলে রেখেছেন তারা।

স্থানীয় সচেতন নাগরিদের ভাষ্য, পরিবারের সকল সদস্যর প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় দুর্নীতি করা, সরকারি সম্পত্তি দখল করে মাদক ব্যবসা তথা রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করার অপরাধে ইচ্ছেকৃতভাবে জড়িত হচ্ছেন তারা। ইতিপূর্বে মাদক ব্যবসায়ী বরকত একাধিকবার আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে এখান থেকেই। কিন্তু এত ঘটনা ঘটলেও যে দপ্তরের জমি, তাদের সামনেই সুদীর্ঘ বিয়াল্লিশ বছরে কিভাবে জোরদখল করে রেখেছে দুর্বৃত্তরা তা বোধগম্য নয়।

তারা আরও বলেন, এই জমি দখলে বিভিন্ন অসাধু সরকারি কর্মকর্তা,রাজনৈতিক ব্যক্তি ঘুষ গ্রহন করে অসৎ স্বার্থে সহায়তা করেছেন। বিভিন্ন সূত্রে সাংবাদিকরা বিভিন্ন কাগজপত্র সংগ্রহ করে এর সত্যতা পেয়েছেন। এই জমিগুলো সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরে ও একাধিক সরকারি প্রতিষ্ঠানের জমি । দুর্নীতিবাজ এই চক্র যোগসাজশ করে সরকারি জমি জোরপূর্বক দখল,অবৈধভাবে স্টল করিয়া তাহার পজিশন বাবদ লক্ষ লক্ষ টাকা ও ভাড়ার নামে চাঁদাবাজির টাকা আত্মসাৎ করেছে।

এছাড়াও বরকতের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা থাকার পিছনের কারণ হিসেবে জানা গেছে, বরকত তার স্ত্রী লাইজু ও লাইজুর পরিবার বড় ধরণের মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত।

এ বিষয়ে সৈয়দ আবুল বরকত তদন্ত চিত্রকে জানায়, তিনি আসলে মানবেতর জীবনযাপন করছে। দোকানগুলো তার পৈত্রিক সম্পত্তি এখন তার দখলে নেই। মোতালেব সার্ভেয়ার তার নামে বিএস করে এখন তার দখল নিয়েছে ।

তার দাবি মোতালেব ঘুষ দিয়ে জমির বিএস করিয়েছে এবং মোতালেবকে একজন ভূমিদস্যু হিসেবে দাবি করেন ,সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে জয় তাদেরই হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন । মাদক এর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চক্রান্ত করে তাকে র‍্যাবের কাছে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন বিষয়টি বর্তমান বরিশালের মেয়রের মামা ( কামাল ) “র‍্যাবের অবসর প্রাপ্ত ফরিদের সাথে যুক্তি করে পূর্ব শত্রুতার জেরে তাকে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল । মেয়রের মামা কামাল তাদের বাড়ি দখল করতে না পেরে এ কাজ করেছে বলে দাবি তার । যদিও এই মামলায় বরকতের প্রথমে এক মাস সাজা হলেও পরে হাইকোর্ট থেকে খালাস পায়। তিনি আরও বলেন তার স্ত্রী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ শত্রুতার জেরে করা হয়েছে । এ বিষয়ে তিনি আরো জানতে মুঠোফোনে তার ঢাকায় থাকা বোন জুথির সাথে কথা বলতে বলেন। পরে জুথিকে ফোন দিতেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন তিনি । জানতে চাওয়ার আগেই সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি, সঙ্গে পরিচয় দিতে থাকে নানান টিভি ও পত্রপত্রিকা সাংবাদিক ও সরকার দলীয় বিভিন্ন নেতাদের নাম পরিচয়।

 

তিনি গৃহিনী হলেও তার স্বামী একজন ঠিকাদার বলে পরিচয় দেয় এবং তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলে দাবি করা মোতালেব এর নাম্বার চাইলে , না দিয়ে এড়িয়ে যায়। জুথিরা যে সকল কাগজপত্র দেখিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন তাতে সরকারি জমি দখলের প্রমাণ পাওয়া গেছে , এ বিষয়ে প্রশ্ন করেতই তিনি বলেন ‘ আমাদের দোকান,পুকুর,প্রাচীরের মধ্যে দুটি দাগে সরকারি জমি আছে সত্য। অনেকেই সরকারি জমি দখল করেছেন। সরকার উচ্ছেদ করলে তখন দেখবো।

তদন্ত চিত্রের সাংবাদিক তার পেশাদারিত্বের জায়গা থেকে আবারও অভিযোগ বিষয়ে তার মন্তব্যে কথা জানতে চাইলে এবারও তিনি শুরু করেন তার লম্বা হাতের গল্প । একপর্যায়ে তদন্ত চিত্রের সংবাদিক এর সাথে তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন, সঙ্গে নানা হুমকি জুড়ে দিয়ে বলেন সংবাদ প্রকাশ করতে। বাকিটা তিনি দেখে নিবেন।

এর পরপরই শুরু হয় তদন্ত চিত্রের রিপোর্টারকে নানা নামে বেনামে ফোন দেওয়া। ফোন নাম্বার অনুসন্ধান করে জানা যায়, নাম্বারটি সিয়াম আল জারিন এর, তিনি তার পরিচয় গোপন করেন সঙ্গে তিনি আরও বলেন , তিনি লোক পাঠিয়ে তার পরিচয়সহ তদন্ত চিত্রের অফিস দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। পরে তার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথা হলে তিনি সকালের বার্তা এর সহ-সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দেয়। যদিও গ্রহণ যোগ্য কোন প্রমাণ তিনি দিতে পারেন নি। তারপর আর ঐ নাম্বারে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এরপরই ফোন দেওয়া ব্যক্তি দাবি করেন তিনি বরিশাল মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন আহবায়ক ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তার নাম সুরুজ মোল্লা । যিনি জুথির স্বামী হিসেবে পরিচয় দেয় অথচ জুথির সাথে ফোন আলাপে তিনি জানান তার স্বামী একজন ঠিকাদার। পরিচয়ের পরপর তিনি জানতে চায় জুথিকে কেন ফোন করা হয় এবং শিখাতে থাকেন সাংবাদিকতা !

তিনি আরও প্রশ্ন তুলেন সড়ক ও জনপদের কর্মকর্তা কি ঘাস খায় । তাদের জায়গা তারা দেখবে, এখানে সাংবাদিকের কাজটা কি ! তিনি আরও জানতে চায় ঢাকার সাংবাদিক হয়ে কিভবে তার স্ত্রীকে ফোন করেছে তদন্ত চিত্রের সাংবাদিক।তার ভাষ্যমতে সাপ্তাহিক পত্রিকার সাংবাদিকরা তার স্ত্রীর কাছ থেকে মন্তব্য চাওয়ার যোগ্যতা রাখে না । বিশেষ করে তদন্ত চিত্রের সাংবাদিক রাখে না । সুরুজ মোল্লার কাছে তার স্ত্রীর খারাপ ব্যবহারের কথা জানতে চাইলে, ”তিনি বলেন আসলে সাংবাদিক আসলে বুঝেনি সে কোন মাপের মানুষকে ফোন দিয়েছে। তার উচিৎ হয়নি তাকে ফোন করে তার মন্তব্য চাওয়া। এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগে কথা বলতে পরামর্শ দেন এবং কিছু রাজনৈতিক ছবি পাঠিয়ে বিষয়টি নিয়ে কৌশলে থ্রেট করার চেষ্টাও চালায় মুঠো ফোনের নাম্বার অনুসন্ধান করে পাওয়া ও পরিচয় দেওয়া সুরুজ মোল্লা ।

জমি দখলের বিষয়ে সওজ’র সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেছেন তিনি বিষয়টি জানতেন না। দ্রুত তদন্তের পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।