স্টাফ রিপোর্টারঃ তিনি একজন শিক্ষিকা। ছাত্র-ছাত্রীদের চোখে তিনি আদর্শবান একজন লোক। চলাফেরা দেখে বুঝার উপায় নাই তিনি একজন কলঙ্কিত শিক্ষিকা। টার্গেট তার ধণাঢ্য ব্যক্তি। প্রথমে পরিচয় এরপর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন যেকোন পুরুষের সাথে। তবে ওই পুরুষ কি বিবাহিত নাকি অবিবাহিত তা দেখার সময় নাই তার কাছে। এমন অসংখ্য লোকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে পরে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে একাধিক অভিযোগ তার বিরুদ্ধে রয়েছে। নাম তার মাকসুদা আক্তার। তিনি রাজধানী মতিঝিল মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষিকা। এই মাকসুদার পরকীয়ায় নাজমা সুলতানা নামে এক নারীর সংসার তছনছ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, পেশায় সে শিক্ষিকা হলেও একজন কলগার্ল (দেহ ব্যবসার দালাল ও দেহ ব্যবসায়ী) হিসেবে পরিচিত। উচ্চবিত্ত ধনাঢ্য পরিবারের পুরুষদের রুপের জালে বন্দি করে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ হাতিয়ে নেয়াই তার প্রধান টার্গেট। এজন্য যেখানে যা করা প্রয়োজন মাকসুদা সেখানেই তা করে থাকে। কখনো নিজেকে গোয়েন্দার লোক বা কখনো বড় কোন ডিআইজির বোন পরিচয় দিয়ে অপকর্ম করে পার পেয়ে যায়। তাছাড়া সরকার নারী নির্যাতনের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশী আন্তরিক হওয়ায় এই সুযোগটি গ্রহন করে মাকসুদা মানুষের সাথে ধুম ধামাকা প্রতারনা করে চলছে। তছনছ করে দিচ্ছে নাজমা সুলতানার মতো একাধিক নারীর সুখের সংসার। এক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে মাকসুদার পরকীয়ার কিছু জঘন্য ঘটনা। অনুসন্ধানে গেলে ভুক্তভোগি নাজমা সুলতানা জানান, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাতী শাখার শিক্ষিকা মাকসুদা আক্তার। সে ২০১২ সালে ৮৬/এ সিদ্ধেশ^রী রোডে আমার বাসার নিচতলায় কোচিং সেন্টার করার কথা বলে ভাড়া নেয়। কোচিং সেন্টারের আড়ালে সে শিক্ষার্থী ছাড়া অন্য মেয়ে ও পুরুষ মানুষ নিয়ে সময়ে অসময়ে আড্ডাবাজি সহ অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়। যা নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে কানাঘুষা দিন দিন বাড়তেই থাকে। ফলে আমি বিষয়টি অনুমান করতে পেরে তাকে বাসা ছেড়ে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করি। কিন্তু এই কাজে আমার স্বামী মোঃ মোশারফ বাধা সৃষ্টি করে মাকসুদার পক্ষ নেয়। এতে আমার স্বামীর প্রতি আমার একটা সন্দেহ সৃষ্টি হয়। কিন্তু সন্দেহের এক সপ্তাহের মধ্যে আমি প্রমান পেয়ে যাই আমার স্বামীর সাথে শিক্ষিকা মাকসুদার অবৈধ সম্পর্ক হয়ে গেছে। আমার স্বামীর সাথে একাধিক বার তার দৈহিক মেলামেশা হয়েছে। তারা দুজনে এক সাথে কক্সবাজারে গিয়ে মধুচন্দ্রিমা সেরে এসেছে এবং ঢাকা শহরে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে দৈহিক মেলামেশা করে। তাছাড়া দুজনে বিয়ে করারও প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমি এও জানতে পারি আমার স্বামী মাকসুদার কাছে ৬ লাখ টাকাও পাবে। আমার স্বামী মাকসুদার সাথে খুব খারাপ অবস্থায় পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছে। এই নিয়ে আমার স্বামীর সাথে শুরু হয় পারিবারিক কলহ। আমি হাজার চেষ্টা করে আমার স্বামীকে মাকসুদার কবল থেকে বের করে আনতে পারিনি। সেই থেকে জ্বলছে আমার সুখে ঘরে দুঃখের আগুন। একজন শিক্ষিকা কিভাবে এতটা জঘন্য চরিত্রের লোক হয় তা ভাবতেই আমার গা শিউরে উঠে। এই দুশ্চরিত্রা মহিলা আমার জীবনটা ধ্বংস করে দিয়েছে। আমি আমার সন্তানদের প্রানের ভয়ে এর উপযুক্ত প্রতিবাদ করতে না পেরে তুষের আগুনে ধুকে ধুকে জ্বলছি। তার ব্যাপারে আমাদের অনুসন্ধান চলছে বিস্তারিত পরবর্তী সংখ্যায়।
‘ভাঙ্গায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত’
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের......বিস্তারিত