TadantaChitra.Com | logo

১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দুর্নীতির অভিযুক্ত তারা দুজন বেপরোয়া, দুর্নীতি দমন কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা ভুক্তভোগীদের !

প্রকাশিত : মার্চ ০৭, ২০২৩, ১৬:৪৯

দুর্নীতির অভিযুক্ত তারা দুজন বেপরোয়া, দুর্নীতি দমন কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা ভুক্তভোগীদের !

বিশেষ প্রতিনিধি  : অনিয়ম দুর্নীতি একেরপর এক অভিযোগ থাকলেও ক্ষমতাসীনদের চাটুকারীতা আর সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বহালতবিয়তে রয়েছেন এতদিন  বরিশাল চরকাউয়া ভূমি অফিসের বিতর্কিত  তহসিলদার মো.মিজানুর রহমান পান্না ও আরেক বিতর্কিত ও দুর্নীতির অভিযোগে শাস্তিমূলক বদলী হওয়া ইউনিয়ন  ভূমি সহকারী কর্মকর্তা পদের অধিকারী মনিরুজ্জামান মনির।  মনির ও পান্নার বিরুদ্ধে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ করেও মিলছেনা তেমন কোন সুফল।  দুর্নীতি দমন কমিশন সারাদেশে দুর্নীতির নজরদারি বাড়ালেও এদের দুজন রয়ে গেছে পর্দার পিছে।  এদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ বারবার সাংবাদিকদের হাতে দিয়েও মিলছেনা উল্লেখযোগ্য প্রচার।   বরিশালের নির্দিষ্ট কিছু স্থানেই সারা বছর চাকুরী করার সুবাদে  আর অনিয়ম দুর্নীতি করে কোটিপতি বনে গেছেন এই দুজন দুর্নীতির  বরপুত্র।
সরকারী চাকুরী পালন পূর্বক জনগনের সেবার নামে উল্টো তাদের কর্তৃক আদায়কৃত ঘুষের অর্থ দিয়ে বরিশাল শহরে নির্মাণ করেছে একাধিক ভবন। জমির নামজারীসহ জমির মালিকদের পক্ষ-বিপক্ষের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ঘুষ নেয়া তাদের নেশা পেশায় রূপান্তিত হয়েছে।
এসব বিষয়গুলোকে উড়িয়ে দিয়ে নিজেকে নিষ্পাপ বলে দাবী করেছিলেন  তহসিলদার মিজানুর রহমান পান্না ও মনিরুজ্জামান মনির । তারা  বলেন, তার অনিয়ম-দুর্নীতি বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য একাধিক ভূমি কর্মকতাসহ বরিশাল জেলা প্রশাসক রয়েছে। আপনারা এত খোঁচাখুঁচি করছেন কেন?
এদিকে  ইতিপূর্বে বহুবার অভিযোগ লিখিত আকারে দিলে  তখন ‘  সাংবাদিকদের এ বিষয়টি দেখার প্রয়োজন বলে মনে করেন ‘বলে মন্তব্য করেছিলেন দুর্নীতিবাজ পান্না । জানা গেছে, বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে পরিচালিত “বরিশাল – সমস্যা ও সম্ভবনা” নামক পেইজে গত ২০১৬ সালের  ১৯ অক্টোবর  মঈন আহমেদ জেলা প্রশাসক বরারবর একটি পোষ্ট করেন। বিষয় ছিলো ‘২০১৫ সালে চরকাউয়া তহসিলদার মো. মিজানুর রহমান পান্না কর্তৃক চরবদনা মৌজার জাল মৃজিত খতিয়ান নং ৩০৪ ও জাল দাখিলা নং ইউ ৯৫৫১৭৩ তৈরী প্রসঙ্গে এবং জাল দাখিলা, খতিয়ান বাতিল, জাল খতিয়ান, দাখিলা তৈরীকারী মিজানুর রহমান পান্নার দৃষ্টান্ত শাস্তি দাবী’।
আবার গত ১৪ ডিসেম্বর২০১৭ ‘চরকাউয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার মো. মিজানুর রহমান এর ঘুষ নেওয়া ও দুর্নীতির অভিযোগ’ তুলে ধরে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করেছে চরকাউয়া গ্রামের বাসিন্দা আকবর হোসেন নামের এক ব্যক্তি। এ অভিযোগের সাথে যুক্ত করে দেয়া হয়, কেস রশিদের ফটোকপি, খাজনা রশিদের ফটোকপি, ওয়ারিশ সার্টিফিকেট’র ফটোকপি, জমির এসএ এবং আরএস এর ফটোকপি, সিআর পর্চার ফটোকপি ও জমির দাগের সূচীপত্র। এবং স্বাক্ষী রাখা হয় তিন জনকে।
একইভাবে গত  ২১ ডিসেম্বর২০১৬ ‘চরকাউয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার মো. মিজানুর রহমান এর বিরুদ্ধে’ ন্যায় বিচারের দাবীতে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয় কর্ণকাঠি গ্রামের বাসিন্দা মো. রেজাউল করিম খান।  এর একদিন পূর্বে অর্থাৎ ২০ ডিসেম্বর২০১৬ রেজাউল করিম খান ‘চরকাউয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার মো. মিজানুর রহমান এর বিরুদ্ধে’ বরিশাল জেলা প্রশাসক বরাবর দেয়া লিখিত আবেদনে ওই তহসিলদারের অসদাচরণ ও হামলা-মামলার হুমকির বিষয়বস্তু তুলে ধরেছিলেন । উপরোক্ত অভিযোগগুলোর ভিক্তিতে সংশি¬ষ্ট কর্মকর্তারা বিষয়টি সরেজমিনে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেনছিলেন । এদিকে ওইসব বিষয় সমালোচনা শুরু হবার পরই তহসিলদার মিজানুর রহমান নানা তথ্য বেড়িয়ে আসতে শুরু করেছিল। নগরীর কাউনিয়া মণষা বাড়ি গলি এলাকায় ৩ তলা ভবন। যার ফাউন্ডেশন ৫ তলা পর্যন্ত।
 জানা গেছে ওই ভবন ছাড়াও বরিশাল নগরীর ভাটিখানা এলাকাতেও একটি বাড়ী সহ বরিশালে একাধিক ভবনের মালিক তিনি। রয়েছে তার স্ত্রী, কন্যা, মেয়ে জামাইয়ের নামেও অঢেল সম্পদ।  ভুক্তভোগীদের দাবী, দুদক এসব বিষয় খতিয়ে দেখুক।  পান্নার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকার পরও অদৃশ্য কারনে ওই সকল অভিযোগ গুলো থেকে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হিমাগারে ছিল এতদিন।সম্প্রতি পান্নার বিরুদ্ধে  শোকজ দিলে কতৃপক্ষ কিছুটা আশায় বুক বেঁধেছে ভুক্তভোগীরা।
ওদিকে, কাশিপুরের জাল জালিয়াতির মূল আরেক হোতা বর্তমানে  বাকেরগঞ্জ দূর্গাপাশায় চাকুরীরত ইউনিয়ন ভূমি অফিসে  উপ-সহকারী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান হয়েছেন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ।  কাশিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে থাকা অবস্থায় কামিয়েছেন অবৈধ কোটি টাকা।  এই অঞ্চলটির জাল কাগজসহ সরকারি জমি রাজনৈতিক নেতাদের পাইয়ে দেয়ার কাজটি করতেন তিনি।  এছাড়াও,  নামজারির জন্য অবৈধভাবে নেয়া অধিক অর্থ এবং সরকারি কোষাগারে তা জমা না দেয়ার মত গুরুতর অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে ।
জানা গেছে, মনিরুজ্জামান একজন জেলা প্রশাসক এর চাইতেও বহুগুন বিলাসবহুল জীবন যাপন করেন।  ইতিমধ্যে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের বিরুদ্ধে তথ্য দিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে  লিখিতভাবে জানিয়েছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী ।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়,  মনিরুজ্জামান তার স্ত্রীর নামে এবং বেমানে অবৈধভাবে সম্পদ সংরক্ষিত করেছেন। যা সরকারি চাকুরী করে একজন কর্মকর্তা কর্মচারী পারেনা।  এছাড়াও তার বিরুদ্ধে গভীর অনুসন্ধান করলে ভয়ানক দুর্নীতির প্রমাণ মিলবে।   কাশিপুরে কয়েকজন ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতা ও জমির দালালদের সাথে তার লেনদেন জানতে দুদককে অনুসন্ধানী তৎপরতা চালাতে অনুরোধ করেছেন অভিযোগকারী।
                                                   


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।