TadantaChitra.Com | logo

১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঢাকা নগর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডলের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং সহ প্রকল্পের শত কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ!

প্রকাশিত : এপ্রিল ০৯, ২০২৩, ১৩:০৮

ঢাকা নগর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী  প্রকৌশলী স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডলের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং সহ প্রকল্পের শত কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ!

তদন্ত চিত্র: ঢাকা নগর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডলের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি সরকারি টাকা আত্মসাৎ মানিলন্ডারিং এর মাধ্যমে ভারতে বিপুল পরিমানে অর্থ পাচার সহ নানা অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে তদন্ত পূর্ব্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে দুর্নীতি দমন কমিশনে লিখিত আবেদন করেছেন দেশের একজন সচেতন নাগরিক।

তার অভিযোগের বর্ণনায় জানা গেছে, নগর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডল বিএনপি, জামাত জোট সরকারের আমলে ২০০৫ সালে গণপূর্ত অধিদপ্তরে যোগদান করেন। তার বাড়ি খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা জেলার জামাত অধ্যুষিত এলাকায়। তাই বিএনপি জামায়াতের যোগ-সাজসে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সহযোগিতায় হাওয়া ভবনে সরাসরি হস্তক্ষেপে এই লোভনীয় চাকুরিটি লাভ করেন। ২০০৫ ইং সালের জুলাই মাসে বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সুপারিশে চাকুরী জীবনের শুরুতেই তিনি ঢাকার সচিবালয়ে সহকারী প্রকৌশলী পদে যোগদান করেন। জুলাই- ২০০৫ ইং হতে ২০০৮ ইং সাল পর্যন্ত তিনি সহকারী প্রকৌশলী ও পরে উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হিসাবে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে ঠিকাদারদের সাথে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতিটি দরপত্রে লক্ষ লক্ষ টাকা কমিশন গ্রহণ, কাজ না করে ভুয়া বিল ভাউচারে ঠিকাদারদের সাথে সরাসরি টাকা ভাগাভাগি করে অবৈধ পথে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেন। উপার্জিত অবৈধ অর্থের একটি অংশ ব্যয় করে ২০০৯ সালে পুনঃরায় ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-৩ এর অধীনে ঢাকা গণপূর্ত উপ-বিভাগ-৪ এ আরো একটি লোভনীয় পদ বাগিয়ে নেন। এবং সেখানে তিনি ২০১৩ ইং সাল পর্যন্ত কর্মরত থাকাকালীন সময়ে কেরানীগঞ্জ জেলখানা প্রকল্প বাস্তবায়ন সহ কোটি কোটি টাকার মেরামত কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন।

কেরানীগঞ্জ জেলখানা প্রকল্প তিনি অত্যন্ত নিম্নমানের কাজ করে ঠিকাদারদের কাছে কোটি কোটি টাকা কমিশন আদায় করেন এবং কেরানীগঞ্জ জেলখানা প্রকল্পের সকল অঙ্গের কাজের মধ্যে ভুয়া আইটেমের বিল ভাউচার তৈরি এবং বিল প্রদান করে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।

শুধুমাত্র নির্বাহী প্রকৌশলী স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডলের দুর্নীতির কারণে প্রকল্পটির নানা অনিয়ম পত্রিকার শিরোনাম হয় এবং প্রকল্প পরিচালকের অভিযোগের কারণে প্রকল্পটি দুর্নীতির তালিকার শীর্ষ স্থানে দীর্ঘদিন আলোচিত হয়। ধূর্ত স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডল তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলীকে ফাঁসিয়ে জেলখানা প্রকল্পে তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যান। ৭৫০ কোটি টাকার এই প্রকল্পে স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডল ২% হারে কমিশন নিয়ে মোট ১৫ কোটি টাকা অবৈধ পথে আয় করেন। কেরানীগঞ্জ জেলখানা নির্মাণ প্রকল্পের বিল ভাউচার তদন্ত করলেই তার এই দুর্নীতির সঠিক প্রমাণ মিলবে। তিনি জেলখানা প্রকল্প ও অন্যান্য মেরামত কাজ হতে প্রায় ২০ কোটি টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জন করেন। ২০১৪ ইং সালে নির্বাহী প্রকৌশলীর চলতি দায়িত্বে পদোন্নতি পেলে শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তাদের বিপুল অংকের টাকা উৎকোচ প্রদান করে পুনরায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের সবচেয়ে বড় ডিভিশন ঢাকা বিভাগ -৪ এর পোস্টিং বাগিয়ে নেন যা গণপূর্ত অধিদপ্তরের একটি বিরল দৃষ্টান্ত হিসেবে বিদ্যমান।

নব্য চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলীদের কখনো ঢাকার কোন ওয়ার্কিং ডিভিশনে পদায়ন করা হয় না, যা স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডলের ক্ষেত্রে ঘটেছে। এরকম একটি বড় ডিভিশনে পদায়ন পেতে স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডল ব্যয় করেছেন দুই কোটি টাকা। ঢাকা গণপূর্ত বিভাগের ২০১৪ থেকে ২০১৯ এই পাঁচ বছর কর্মরত থাকাকালীন সময় স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডল বাস্তবায়ন করেছেন ইঝগগট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২শত কোটি টাকার প্রকল্প। এর মধ্যে রয়েছে (১) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার (২) বি.এস. এম. এম. ইউ এর গাইনী ইউনিট, ক্যান্সার ইউনিট সহ নবনির্মিত ৪ টি ভবন, তৎকালীন ইঝগগট এর ভিসি প্রফেসর প্রাণ গোপাল এর চোখে ধুলো দিয়ে এই সকল প্রকল্প রিভিশন করে প্রকল্প গুলোর ব্যয় ১২শত কোটি টাকা থেকে ২২শত কোটি টাকাতে উন্নীত করেন।

অভিযোগে আরো বলা হয়, নির্বাহী প্রকৌশলী স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডল ঠিকাদারদের সাথে ভাগাভাগি করে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। ঢাকাস্থ মালিবাগে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বহুতলা আবাসন প্রকল্পের ৮ টি ১৪ তলা ভবনের নির্মাণ প্রকল্পে বিভিন্ন আইটেমের অতিরিক্ত পরিমাপ দেখিয়ে তিনি আয় করেন কমপক্ষে ২০ কোটি টাকা যা বিল ভাউচারগুলো নীরিক্ষা করলেই প্রমাণ মিলবে। এছাড়া ৫ বছরে ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-৪ থেকে ১০০ কোটি টাকার মেরামত থেকে ২০% হারে ২০ কোটি টাকা সহ প্রকল্প হতে ১০০ কোটি টাকা অবৈধ ভাবে আয় করেন।

প্রকৌশলী স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডল ২০০৫ ইং সালে সরকারি চাকরিতে যোগদান করার পর ২০১৯ ইং সালের মধ্যে মোট ১৪ বছরে বনে গেছেন শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক। এরপর তিনি ২০১৯-২০ সালে পুনরায় পোস্টিং নেন ঢাকা প্রকল্প বিভাগে । ঢাকা প্রকল্প বিভাগে শুধু প্রকল্পের ডিপিপি তৈরীর কাজ হয়। ওখানে কমিশন বাণিজ্য বা ঠিকাদারের সাথে টাকা ভাগাভাগির সুযোগ কম তাই এই পোস্টিং স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডলের পছন্দ হয়নি। তিনি সবচেয়ে লোভনীয় এবং লুটপাটে ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত নগর গণপূর্ত বিভাগের উচ্চ মহলের এবং মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তার সরাসরি হস্তক্ষেপে ৫ কোটি টাকা ব্যয় করে পোস্টিং বাগিয়ে নেন।

সুনির্দিষ্ট কিছু কাজের তালিকা ও অর্থ লুটের চিত্র:

২০২১-২০২২ অর্থ বছরে প্রকৌশলী স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডল নগর গণপূর্ত বিভাগের ২/৩ টি মেরামত কাজ ঠিকাদারের মাধ্যমে না করেই এবং কিছু কিছু কাজের টাকা ৯০% পর্যন্ত লুটপাট করেছেন। ২০২১- ২০২২ ইং অর্থ বছরে সংশোধিত পরিকল্পনার ক্রমিক নং ১৮,৩৬,৩৭,৩৮ ঢাকা ইস্কাটস্থ সচিব নিবাস ৬৯ ও ৭১ নং ভবনের রং ও সেনেটারি মেরামত কাজ। যার মূল্য ছিল ১ কোটি টাকা। কাজগুলো সম্পূর্ণ ভূয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে পুরোটাই আত্মসাৎ করা হয়েছে। (খ) ২০২১- ২০২২ অর্থবছর আর. এ. পি. পি. সিরিয়াল নং- ৫০,৫১,৫৪,৫৬,৬২,৬৩,৬৪,৬৫,৭৩,৭৫ মোট ১০টি কাজ। পরিশোধিত বিলের পরিমাণ ২ কোটি টাকা। এই কাজ ১০টি মিন্টো রোড, বেইলী রোড,হেয়ার রোড ও গুলশান এলাকায় বিভিন্ন ভবনের স্যুয়ারেজ লাইন,সার্ভেন্ট কোয়ার্টার মেরামত ড্রেনএপ্রোন মেরামত ইত্যাদি। যা ৯০% টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে ভূয়া বিল ভাউচারে। (গ) ২০২১-২০২২ ইং অর্থ বছরের আর.এ.পি.পি নং-৯০,৯১,৯২,৯৩,৯৪ এই ৫ টি কাজ ঢাকার নীলক্ষেত কর্মজীবি মহিলা হোস্টেলের পানির ট্যাংকি পরিস্কার, স্যুয়ারেজ লাইন পরিস্কারে ব্যয় করা হয়েছে ৩৮ লক্ষ টাকা। এই ৫ টি কাজ না করে শতভাগ আত্মসাৎ করা হয়েছে। (ঘ) ২০২১- ২২ অর্থবছরে আর এ পি পি নং- ১০৮,১০৯, ১১০, ১১২, ১১৭ এই ৬টি কাজের মাধ্যমে বঙ্গ ভবনের কিচেন বিল্ডিং এর মেরামত কাজে ১ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। একই কাজে ঐ অর্থবছর থোক বরাদ্দ থেকে ২ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। একই কাজে ২০২২- ২৩ অর্থবছরে এ পি পি তে ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয় হচ্ছে আবার একই কাজের ১৭ কোটি টাকা ডিপিপি প্রণয়ন করে ভাগাভাগি করার মহাপরিকল্পনা করা হয়েছে।

২০২১-২২ অর্থবছরে আর এ পি পি তে মোট ১৯২ টি কাজের বিপরীতে ব্যয় করা হয়েছে ৩৭ কোটি টাকা ও থোক বরাদ্দ হতে ১৫ কোটি টাকা, মোট ৫২ কোটি টাকা। যার মধ্যে ৪০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। ২০২২- ২৩ অর্থ বছরের নিম্নলিখিত কাজ গুলি স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডল শতভাগ না করে এবং কিছু আংশিক ১০% কাজ ও ৯০% ভাগাভাগি করেছেন। (ক) বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা ২০২২- ২৩ এর ক্রমিক নং ৯, ১৫, ২৩,২৮,৩২ কাজের নাম: ঢাকা ইস্কাটনস্থ সচিব কোয়াটারের ভবন নং ৭১ এবং ৬৯ এর কিছু ফ্লাটের রং স্যানিটারি ফিটিংস ও মেরামত ৫টি কাজের মোট বিল প্রদান করা হচ্ছে ১ কোটি টাকা। কিন্তু এখানে পুরো টাকাই ভাগ করা হয়। কারণ, এই ভবনগুলো ২০২১ সালে সমাপ্ত হয় এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন। এ ভবনটিতে বাজারের সবচেয়ে দামি মালামাল লাগানো হয়েছে। কারণ এই ভবন দুটি সচিব কোয়ার্টার।

(খ) বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা ২০২২-২০২৩ ক্রমিক নং- ৪,১৪,২৪,২৯,৪৩,৫০, ৫৩, ৭১, ৮০ এই কাজগুলি বেইলী রোড, মিন্টু রোড, হেয়ার রোড সার্ভেন্টস কোয়াটার মেরামত, স্যুয়ারেজ লাইন মেরামত ও সেনেটারী লাইন মেরামত কাজ যার মূল্য প্রায় ১.৫০ কোটি টাকা । এখানেও কোনো কাজ হয়নি । স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডল শুধু ভাগাভাগির মাধ্যমে ৯০% টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

(গ) বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা ২০২২- ২৩ এর ক্রনিক নং- ২৬, ৪৩ হেয়ার রোডের ভবন নং-ম- ১ তটিনী। এই ভবনটি দুই তলা মাত্র ৩ হাজার বর্গফুট যা নির্মাণ করতে ব্যয় হয় ২ কোটি টাকা কিন্তু ১ বছরে এর মেরামত বাবদ ধরা হয়েছে ৯২ লক্ষ টাকা। এখান থেকেও ৮০% কাজের টাকা ভাগাভাগি হয়েছে। ২০২২- ২৩ অর্থ বছরে মোট ১৮৬ টি মেরামত কাজের বিপরীতে মোট বরাদ্দ ৩৮ কোটি টাকা থোক ও অন্যান্য আনুষাঙ্গিক বরাদ্দ মোট ১৮ কোটি টাকা সর্বমোট: ৫৬ কোটি টাকা যার ৯০% অর্থাৎ ৪৬ কোটি টাকা স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডল আত্মসাৎ করেছেন। সর্বোপরি নগর গণপূর্ত বিভাগের বিগত তিন বছরের সকল মেরামত কাজ তদন্ত করলেই লুটের এই ভয়াবহ চিত্র বের হয়ে আসবে।

প্রকৌশলী স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডলের অবৈধ সম্পদের খতিয়ান:

স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডল নিজে শুধু সরকারি চাকরি করেন। তার স্ত্রী একজন গৃহিনী। সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তিনি একাই। সরকারি বেতনে তার সংসার টেনেটুনে চলার কথা কিন্তু ২০১৫ সালে নির্বাহী প্রকৌশলী হয়েই তিনি ঢাকার অভিজাত এলাকা লালমাটিয়ায় কিনে ফেলেছেন ২ কোটি টাকা মূল্যের জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বরাদ্দকৃত একটি ১৮০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট যা ২০০৫ ইং হতে ২০১৪ ইং এই ৯ বছরে তার সমুদয় বেতনের সর্বমোট টাকার চাইতে দুই গুণ । অর্থাৎ তিনি অবশ্যই ফ্ল্যাটটি দুর্নীতির কালো টাকা দিয়ে কিনেছেন। ৫০ লক্ষ টাকার ইন্টেরিয়র কাজ সমাপ্ত করে লালমাটিয়ার এই ফ্ল্যাটে স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডল বিলাসবহুল জীবন যাপন করেন।

এ ছাড়া স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডল রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় কিনেছেন ৫টি প্লট যার মূল্য প্রায় ৪.৫ কোটি টাকা। রাজধানীতে নামে বেনামে তার অনেক ফ্ল্যাট ও প্লট আছে যা অনুসন্ধান করলে বেরিয়ে আসবে। তার নামে বেনামে বিভিন্ন ব্যাংকে আছে কোটি কোটি টাকা। নিজ এলাকা সাতক্ষীরা ও খুলনায় তার ভাইয়ের রাজনীতিবিদ তকমার আঁড়ালে ঠিকাদারী ব্যবসায় কয়েক কোটি টাকা বিনিয়োগ করে রেখেছেন। তিনি নিয়মিত প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে মানিলন্ডারিং এর মাধ্যমে টাকা পাচার করেন এবং কলকাতা সল্টলেকে তার একটি পেট্রোল পাম্প, একটি মার্কেট ও বাংলো বাড়ি আছে। তার পাসপোর্ট পরীক্ষা করলেই সততা মিলবে।

অভিযোগপত্রে আরো বলা হয়, প্রকৌশলী স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডল পিকে হালদারের চেয়েও ধুর্ত। ইন্ডিয়াতে তার পিতা, মাতা ও নিজের নাম ভিন্ন এবং ওখানে তার এনআইডিও ভিন্ন। তাই সম্পূর্ণ ভিন্ন নাম পরিচয়ে ইন্ডিয়ার নাগরিক হিসাবে তিনি ভারতে গড়ে তুলেছেন টাকা ও সম্পদের পাহাড়।

এ সব অভিযোগের বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডলকে প্রশ্ন করলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সরকারী চাকুরী করে তিনি যে বেতন পান তা দিয়েই সাধারণ জীবন যাপন করেন। উল্লেখিত অভিযোগগুলো তারই স্বগোত্রীয় কোন প্রকৌশলীর অনুর্বর মস্তিষ্কের কাল্পনিক আবিষ্কার বলেই তিনি মনে করেন। তিনি সরকারের যে কোন তদন্তকে সাধুবাদ জানাতে প্রস্তুত বলেও জানান।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।