TadantaChitra.Com | logo

১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অফিসে বসে মাদক সেবনের অভিযোগ: প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক ডা: জসিমের নারী কেলেংকারী ফাঁস!

প্রকাশিত : এপ্রিল ১২, ২০২৩, ০৯:৫৯

অফিসে বসে মাদক সেবনের অভিযোগ: প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক ডা: জসিমের নারী কেলেংকারী ফাঁস!

বিশেষ প্রতিবেদক; প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কৃত্তিম প্রজনন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ডা: জসিমের বিরুদ্ধে পরকীয়া প্রেম ও নারী কেলেংকারীর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে,প্রকল্প পরিচালক ডা: জসিম তারই অফিসের সুন্দরী নারী কর্মচারি দুই সন্তানের জননী ফাহমিদা আক্তারের সাথে দীর্ঘদিন যাবত পরকীয়া প্রেম ও অবৈধ মেলামেশা চালিয়ে আসছেন।

বিষয়টি ঐ নারী কর্মচারীর স্বামী ইসলামী ব্যাংকের কর্মচারী আব্দুল জলিল জেনে গেলে তিনি এ বিষয়ে প্রতিবাদ করেন। তার সংসার না ভাংগার জন্য ডা: জসিমের হাতে পায়ে পড়ে আকুতিও জানান। কিন্তু ডা: জসিম এতোটাই নির্দয় যে, ব্যাংক কর্মচারী আব্দুল জলিলকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে নিজ অফিস থেকে বের করে দেন। এরকম অভিযোগ নিয়ে আবার এলে তাকে জেলে দেবেন বলেও হুমকি দেন। পরবর্তীতে তিনি তদবীর করে ঐ নারী কর্মচারী ফাহমিদা আক্তারকে সাভারে বদলী করিয়ে নিয়ে গোপনে তার সাথে স্বামী স্ত্রীর মত বসবাস করছেন।

এ বিষয়ে ফাহমিদা আক্তারের স্বামী ভুক্তভোগী ব্যাংক কর্মচারী আব্দুল জলিল প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেন নি। বাধ্য হয়ে তিনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

সুত্রটি আরো জানায়,চাকুরী জীবনের শুরু থেকেই ডা: জসিম নানা প্রকান অনিয়ম,দুর্নীতি,মাদক সেবন ও নারী কেলেংকারী ঘটিয়ে আসছেন। তিনি তার পুর্বের কর্মস্থলে চাকুরী করা কালীন তার অধিনস্থ কর্মচারীর স্ত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সেই অভিযোগে তাকে বদলীও করা হয়।
আরো জানাগেছে, ছাত্র জীবন থেকেই ডা: জসিম সরকার বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত রয়েছেন। ইদানীং তিনি সরকারী অফিসে বসেই মদ্যপান করেন। নেশার আসর বসান। তার কারণে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নিরাপত্তা ও ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ম হচ্ছে।

সচেতন মহলের প্রশ্ন, এমন একজন জঘন্য চরিত্রের লোক কিভাবে আজো সরকারী চাকুরীতে বহাল আছেন। যার কাছে কোন নারী কর্মচারী নিরাপদ নয় তাকে কোন স্বার্থে প্রকল্প পরিচালক পদে পদায়ন করা হয়েছে? একজন সরকারী প্রথম শ্রেনির কর্মকর্তা হয়েও তিনি কি করে একটি সংসার ভাঙতে পারলেন। এই নারীর দুটি সন্তানের কথা একবারও ভাবলেন না?

পরকীয়া প্রেম একটি নিষিদ্ধ সম্পর্ক। এটি যারা করেন তারা ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হন। এটা জেনেও ডা: জসিম অবলীলায় সেটির চর্চা করে যাচ্ছেন যা তার নৈতিক চরিত্র স্খলন জনিত অপরাধ। একই সাথে তিনি নিয়মিত মাদক গ্রহন করছেন যা একটি গর্হিত অপরাধ। ডোপ টেষ্ট করলেই তার রক্তে মাদকের সিনট্রম পাওয়া যাবে। তিনি অবৈধভাবে নিজের প্রকল্পে দুইজন আত্মীয়কে চাকুরী দিয়েছেন। এরা হলেন,রাসেল ও ফেরদৌস। এ দিকে তার পরকীয়া প্রেমিক মাহমুদা আক্তারকে দ্বারা ডিউটি না করিয়ে তার সাথে আনন্দ ফুতি করেই সরকারী দায়িত্ব পালন করছেন।

এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একজন উর্ধতন কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তিনি জানান, এটা অবশ্যই নৈতিক শৃংক্ষলা ভংগজনিত অপরাধ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক ডা: জসিম কথা বলতে রাজি হননি।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।