জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার বিশ্বব্যাংক। স্বাধীনতার থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নে বিদ্যুৎ, জ্বালানি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ, লজিস্টিক, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সমন্বয় নগরায়নসহ বিভিন্ন খাতে অর্থ যোগান দিয়ে আসছে সংস্থাটি।
২০২২-২৩ অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক থেকে এ পর্যন্ত মোট ৩ দশমিক ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে, যা এক বছরে বাংলাদেশের জন্য বিশ্বব্যাংকের সর্বোচ্চ অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি। মঙ্গলবার (১৩ জুন) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে হাইয়ার এডুকেশন অ্যাকসিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সমিশন প্রকল্পের জন্য ১৯ দশমিক ১ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তি সই হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান ও বিশ্বব্যাংকের পক্ষে বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে শেক অর্থায়ন চুক্তিতে সই করেন। বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের (মাউশি) আওতাধীন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এ প্রকল্পটি জানুয়ারি ২০২৩ থেকে জুন ২০২৮ মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে।
বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) থেকে এসডিআরে উল্লেখিত এ ঋণ গ্রহণ করা হবে। গৃহীত ঋণ ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধ করতে হবে। এসডিআরে গৃহীত ঋণের অর্থের ওপর বছরে শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ ও ১ দশমিক ৯৫ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। অনুত্তোলিত অর্থের ওপর বছরে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট ফি দেওয়া লাগবে। তবে বিশ্বব্যাংক চলতি অর্থবছরসহ দীর্ঘদিন ধরে কমিটমেন্ট ফি মওকুফ করে আসছে।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে তাৎপর্যপূর্ণ উন্নয়ন অর্জন করেছে। বাংলাদেশের অর্থনেতিক উন্নয়নের একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো- করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে শিক্ষাক্ষেত্রের অবর্ণনীয় ক্ষতি মোকাবিলা ও উচ্চ শিক্ষিতদের চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করা। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের নারীদের উন্নয়নের একটি বিরাট সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষিতদের জন্য চাকরির সুযোগ সৃষ্টি ও নারী শিক্ষার হার বাড়ানোর উদ্দেশ্যে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পের প্রধান কাজের মধ্যে রয়েছে- চাহিদাভিত্তিক কোর্স প্রবর্তন, উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল সংযোগ বাড়ানো, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও প্রশিক্ষণ একাডেমি প্রতিষ্ঠা, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের জন্য একাডেমিক ভবন নির্মাণ এবং নারী কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক স্থাপন করা।
‘ভোলায় নদী ভাঙ্গনে হুমকির মুখে এলাকাবাসী’
ফয়জুল বারী (রুবেল), ভোলা: ভোলা শহর রক্ষা বাঁধের সিসি ব্লক......বিস্তারিত