TadantaChitra.Com | logo

৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সন্ত্রাসী দিয়ে জামাইয়ের উপর আক্রমন করে মেয়ে নিয়ে ভাগলেন শাশুড়ী!!

প্রকাশিত : অক্টোবর ২৬, ২০১৮, ০৮:৪২

সন্ত্রাসী দিয়ে জামাইয়ের উপর আক্রমন করে মেয়ে নিয়ে ভাগলেন শাশুড়ী!!

অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে জোর করে স্ত্রীর মায়ের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাতীয় দৈনিক ভোরের দর্পন, অনলাইন নিউজ সাইট Barta24.com এবং অনলাইন টেলিভিশন Mtvnews24.com এর বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি নুসিং থোয়াই মার্মার উপর হামলা করেছে তারই শ্বাশুড়ি মাচসা মার্মা ও অজ্ঞাতনামা দুই যুবক। বিগত ১৬.১০.২০১৮ ইং তারিখ সকাল দশটার দিকে নুসিং থোয়াই মার্মার বান্দরবানস্থ বাসায় এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা নুসিংকে এলোপাতাড়ি শারীরিক নির্যাতন করার পাশাপাশি তার একটি ল্যাপটপ কম্পিউটার, একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা, একটি স্মার্ট ফোন, অনলাইন টেলিভিশন এর কাজে ব্যবহৃত একটি স্পীকার এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের পরিচয় পত্র ভাঙচুর করে। শারিরীক ভাবে আক্রান্ত ও আহত হয়ে নুসিং মার্মা প্রাণভয়ে ঘর থেকে বের হয়ে পালিয়ে গেলে তার শ্বাশুড়ি ও সঙ্গীয় অপর দুই যুবক জোরপূর্বক নুসিং মার্মার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ঞোছাই মার্মাকেও তাদের সাথে করে নিয়ে যায়।
০৫-১০-১৮ তারিখ হইতে আমার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কারণে প্রচন্ড বমি এবং হালকা অসুখে ভুগছিলো। এসময় আমি আমার স্ত্রীকে উন্নতমানের চিকিৎসা করি, আমার স্ত্রী ১৫-১০-১৮ ইং তারিখ হইতে মোটামুটিভাবে সুস্থ হয়েছিল হুট করে আমাকে না জানিয়ে ১৬ তারিখ সকাল ১০ ঘটিকার দিকে আমার শাশুড়ি দুই যুবককে নিয়ে আমার বাড়িতে প্রবেশ করে। এবং শাশুড়ি এক পর্যায়ের আমাকে বলেন আমরা মেয়েকে নিতে এসেছি। আমি বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার মেয়েকে ৫টি দেবতার পূজো দিতে হবে। পাল্টা জবাবে আমিও তাদের কথা মেনে নিতে পারিনি, আমি বলি আমার স্ত্রী যেহেতু বর্তমানে বান্দরবান জেলা বাসিন্দা সে হিসেবে আমার স্ত্রী দেবতা পূজো বান্দরবানেই হবে। উত্তরে শাশুড়ি আমার উপর ্যাপে বলেন এই পাড়ায় বৌদ্ধ মন্দির নেই। এরপর আমি বলি এই পাড়ায় আমাদের ঘরে পার্শ্বে একটি বৌদ্ধ মন্দির আছে। শাশুড়ি কথায় কথায় হেরে গেলে এক পর্যায়ে আমাকে হুমকি প্রদান করে, সাথে আমার ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, একটি ডিএসএলআর, একটি অনলাইন টেলিভিশনের বোম সহ দুইটি সাংবাদিকতার আইডি কার্ড ভেঙ্গে দেয়। পরবর্তীতে প্রাণের ভয়ে আমি ঘর ছেড়ে পলিয়া গিয়ে বান্দরবান সদর থানায় আশ্রয় নেই। পুলিশ সহ আমার বাড়িতে গেলে আমার স্ত্রী আর ঘরে নেই।
আমি খবর নিয়ে দেখি স্ত্রী তার মায়ের বাড়িতে পৌছে গেছে। এরপর থেকে আমি অনেকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করি তারপরও স্ত্রী পরিবার কোন রকমেই আমার স্ত্রী সাথে যোগাযোগ করতে দিচ্ছিলো না। একসময় তার সেজ দুলাইভাই আমাকে বলেন তোমার বউকে তুমি ভুলে যাও। কারণ জানতে চাইলে বিভিন্ন ধরণে হুমকি দেন।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে বিবাহ অনুষ্ঠানের পর নুসিং থোয়াই মার্মা তার নববিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে বান্দরবানের লেমুঝিড়ি আগা পাড়া এলাকায় বসবাস করে আসছেন। চলতি অক্টোবর মাসের প্রথম দিকে নুসিংয়ের স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার সংবাদ জানার পর থেকেই তার শ্বাশুড়ি রাজস্থলী এলাকার মাচসা মার্মা তার কন্যা (নুসিংয়ের স্ত্রী) ঞোছাই মার্মাকে বারবার রাজস্থলীতে নিজের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করেন। সর্বশেষ গত ষোল অক্টোবর তারিখে মাচসা মার্মা অপর দুই যুবককে সাথে নিয়ে নুসিংয়ের বাসায় হাজির হয়ে কথিত পাঁচ দেবতার পূজা করার নাম করে ঞোছাই মার্মাকে নিজের সাথে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপাচাপি শুরু করেন। কিন্তু নুসিং এতে আপত্তি জানালে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়। এতে তার শ্বাশুড়ি প্তি হয়ে ওঠেন এবং অতর্কিতে অপর দুই যুবকসহ নুসিংয়ের উপর হামলা চালায়। তারা নুসিংকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি লাথি মেরে তাকে আহত করলে প্রাণভয়ে নুসিং মার্মা কোনরকমে ঘর থেকে বের হয়ে আসে এবং পাশের একটি নিরাপদ দূরত্বে পালিয়ে থাকে। এই সুযোগে নুসিংয়ের শ্বাশুড়ি ও তার সঙ্গীরা নুসিংয়ের বাসায় ভাঙচুর চালায় এবং ফিরে যাওয়ার সময় জোর করে নুসিংয়ের স্ত্রীকেও তাদের সাথে করে নিয়ে যায়।
এই ঘটনায় নুসিং থোয়াই মার্মা নিজে বাদী হয়ে গত ষোল অক্টোবর তারিখে তার শ্বাশুড়ি মাচসা মার্মা ও অপর দুই অজ্ঞাতনামা যুবককে আসামী করে বান্দরবান থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানা যায়। পরবর্তীতে নুসিং রাজস্থলীস্থ তার শ্বশুরবাড়ি গিয়ে পুনরায় তার স্ত্রী কে ফিরিয়ে আনতে চাইলেও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বাধার সম্মুখীন হয়ে ব্যর্থ হয়।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।