নিজস্ব প্রতিবেদক: পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ অনুসন্ধানে গাফিলতি করায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ কামাল হোসেনকে ‘তিরস্কার’ করেছে সরকার। পুলিশ সদস্য দিলরুবা আক্তার বিয়েবহির্ভূত অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় চাকরি শৃঙ্খলা পরিপন্থি অভিযোগে ওঠায় তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের দায়িত্ব পান মুহাম্মদ কামাল হোসেন।
তখন তিনি ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছিলেন। তদন্তের দায়িত্ব পেয়েও কামাল হোসেন তা না করে অভিযোগ নিজ হেফাজতে রেখে দেন। এমন গাফিলতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পুলিশ সুপার পদমর্যাদার (বর্তমানে জিএমপির ডিসি) এ কর্মকর্তাকে তিরস্কার দণ্ড দিয়েছে সরকার।
সোমবার (২১ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ দেওয়া হয়।বুধবার (২৩ আগস্ট) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাস থেকে পরের বছরের মে মাস পর্যন্ত ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে মুহাম্মদ কামাল হোসেন কর্মরত ছিলেন। কর্মরত অবস্থায় জেলা পুলিশের নারী কনস্টবল দিলরুবা আক্তার চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময় বিয়ের তথ্য গোপন করেন এবং বিয়েবহির্ভূত অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। দিলরুবা আক্তার চাকরিতে শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ করেছে এমন অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামাল হোসেনকে। তিনি নির্দেশনা পেয়েও বিষয়টি গুরুত্বসহকারে অনুসন্ধান না করায় একাধিক তাগিদপত্র দেওয়া হলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করেননি।
সর্বশেষ, ২০২১ সালের মে মাসে পুলিশ সদরদপ্তরে বদলি হলেও অভিযোগের তদন্ত রিপোর্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর না করে নিজের কাছে রেখে দেন। অনুসন্ধানের প্রতিবেদনপত্র নিজ হেফাজতে রাখার অভিযোগে গতবছরের সেপ্টেম্বর মুহাম্মদ কামাল হোসনকে কারণ দর্শানো হয়।
পরে তিনি ব্যক্তিগত শুনানির জন্য আবেদন করেন। শুনানিতে উভয়পক্ষের বক্তব্য, অভিযুক্ত কর্মকর্তার জবাব এবং অন্যান্য বিষয় পর্যালোচনা করে কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়। তাই তাকে গুরুদণ্ড আরোপ হতে পারে প্রতীয়মান হওয়ায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ৭(২) (ঘ) বিধি মোতাবেক রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি এসএম রশিদুল হককে বিভাগীয় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। তদন্ত কর্মকর্তা রংপুরে সরেজমিন তদন্ত শেষে গত ১৯ জুলাই প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে আনা অসদাচরণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, অপরাধের প্রকৃতি ও মাত্রা বিবেচনায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩ (খ) বিধি অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগে একই বিধিমালার ৪(২) উপ-বিধি (১)(ক) উপবিধি অনুযায়ী কামাল হোসেনকে ‘তিরস্কার’ দণ্ড দেওয়া হলো। জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
‘ভোলায় নদী ভাঙ্গনে হুমকির মুখে এলাকাবাসী’
ফয়জুল বারী (রুবেল), ভোলা: ভোলা শহর রক্ষা বাঁধের সিসি ব্লক......বিস্তারিত