‘শুক্রবার সকালে আমার বাপের বাড়িতে অবস্থানের সুযোগ নিয়ে আমার অনুপস্থিতিতে আমার স্বামীর সাথে অন্তরঙ্গ অবস্থায় এক মহিলাকে দেখতে পাই। পরে স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে উভয়কে হাতেনাতে আটক করি’।
শনিবার বিকালে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে সাংবাদিকদের এমনটা জানান হাটহাজারী পৌরসভার আদর্শ গ্রামের মৃত শফিক পুত্র কে এম ইউছুফ (৪০) এর হতভাগা স্ত্রী জেসমিন আক্তার। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে হাটহাজারী মডেল থানায় অভিযোগ (নং-৪১৮৭) দায়ের করে।
ওই দিন সকালে ‘অনৈতিক কর্মকান্ডে’ জড়িত থাকার অভিযোগে কে এম ইউছুফ ও উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া এলাকার সুলতান কোরবানের বাড়ির নুরুর কন্যা সীমা আক্তার (২২) এক যুবতীকে স্থানীয় জনতা হাতেনাতে আটক করে উত্তম-মাধ্যম দিয়ে থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করে।
এ বিষয়ে আটককৃত কে এম ইউসুফের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ওই মেয়েটিকে বিবাহ করেছি দেড়মাস আগে। মাদ্রাসার এক শিক্ষক সেই বিবাহ পড়ান। কাবিননামাসহ বিবাহের সাক্ষ্য প্রমাণ আছে কিনা জানতে চাইলে সে বলে বিবাহ হয়েছে মৌখিকভাবে।
আটককৃত কে এম ইউসুফ নিরাপদ সড়ক চাই এর হাটহাজারী শাখার আহ্বায়ক ও হাটহাজারী সমাচার নামক একটি পত্রিকা সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন। ওই পত্রিকার প্রধান সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে হাটহাজারী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. শামীম শেখ এ প্রতিবেদককে জানান, তার স্ত্রী একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
‘ভাঙ্গায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত’
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের......বিস্তারিত