ভোলা জেলা প্রতিনিধি: ভোলার গ্রামে এক বড়ভাই কর্তৃক ছোট ভাইর স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখমের ঘটনা ঘটেছে। লম্পট বড়ভাইয়ের নগ্ন ছোবলে আহত ওই নারীকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার (১ অক্টোবর) ভোরে জেলা শহরের ভেদুরিয়া ইউপি সংলগ্ন চরকালী গ্রামের বিশ্বাসবাড়ীর ভিক্টিমের বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে।
হামলা ও পৈচাষিক লাম্পট্যের শিকার ওই গৃহবধু গণমাধ্যমকে জানান, তার স্বামী মানছুর একজন বোরাক চালক। একই বাড়ীতে তাদের দুই ভাইয়ের পাশাপাশি দুটি ঘরে বসবাস। জীবিকার তাগিদে প্রতিদিন ফজরের নামাজ পড়েই স্বামী মানছুর বোরাক নিয়ে রোজগাড় করতে বেরিয়ে যান। প্রায়শ-ই ছোট ভাই ঘর থেকে বেরুনোর সাথে সাথেই বড় ভাই ইসমাইল ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে নানা ধরণের কু-প্রস্তাব দিতে থাকেন। বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার স্থানীয়ভাবে বসাবসি করে শালীশিতে ইসমাইলকে সতর্ক করা হলেও কিছুদিন যেতে না যেতেই তার লাম্পট্য ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। রোববার ভোরবেলা ছোটোভাই মানছুর বোরাক নিয়ে কাজে বেরিয়ে পড়ার সুযোগে বড়ভাই ইসমাইল ওই ঘরে প্রবেশ করে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ঘরের ভিতর অনেক ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ওই নারী ডাক-চিৎকার দিয়ে বাইরে বেরিয়ে পড়লে বখাটে ইসমাইল বাড়ীর পুকুর পাড়ে গিয়ে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে চুলের মুঠি ধরে বেধড়ক পেটাতে থাকে। একপর্যায়ে ঘটনা ভিন্নখাতে নিয়ে নিজের লাম্পট্য ধামাচাপা দিতে ইসমাইল তার স্ত্রী-রেখা ও ছেলে আব্দুর রহমানকে ডেকে এনে তিনজনে মিলে গৃহবধুকে মারধর করে। ভিক্টিমের বসতঘরের বিভিন্ন অংশ কুপিয়ে ও ভাংচুর চালিয়ে তছনচ করে দেয়। এসময় তাদের হামলায় আহত মানছুরের স্ত্রী’র আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে গৃহবধূকে উদ্ধার করে। স্থানীয়রা বিষয়টি মোবাইলে স্বামী মানছুরকে জানালে তিনি তাৎক্ষণিক ছুটে এসে তার স্ত্রীকে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান।
এলাকাবাসী জানান, মানছুরের বড়ভাই বহু আগ থেকেই একজন দুশ্চরিত্র টাইপের লোক। নিজের স্ত্রী-সন্তান থাকা সত্ত্বেও তিনি অন্য নারীতে আসক্ত। এলাকায় তার নারীবাজীর বহু ঘটনা রয়েছে বলেও বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। আর তার নগ্নতার সর্বশেষ ছোবলের শিকার হলেন ছোটভাই মানছুরের স্ত্রী। এদিকে ঘটনার পর বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফা কামালকে জানানো হলেও তিনি রহস্যময় কারনে কোনোপ্রকার ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন ভিক্টিমের স্বামী মানছুর আহম্মেদ।
এঘটনার পর বড়ভাইয়ের ভাড়াকরা গুন্ডাবাহিনী ভিক্টিমকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা করা হলে ওই পরিবারের সকলকে ভয়াবহ খেসাড়ত দিতে হবে বলেও সন্ত্রাসীরা হুমকি দেয়ায় তারা এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছেন বলে গণমাধ্যমের কাছে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
এব্যাপারে অভিযুক্ত ইসমাইলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবী করেন। স্থানীয় ভেদুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি নারীর উপর হামলার কথা শুনেছি। উভয়পক্ষ আইনের আশ্রয় নিচ্ছেন এমন খবর পাওয়ায় তিনি কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করেননি বলে দাবী করেন।
‘ভোলায় অস্ত্রসহ ৩ দস্যু আটক, ২ অপহৃত উদ্ধার’
ভোলায় জলদস্যুতার অভিযোগে ৩ দস্যুকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।......বিস্তারিত