নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ (ঢাকা ওয়াসা) বিভিন্ন বাসা-বাড়ির পানির পাইপ লাইনে মিটার স্থাপন করেছে। নিয়ম অনুসারে মিটার রিডিং দেখে গ্রাহকদের কাছ থেকে বিল আদায়ের কথা। কিন্তু তা না করেই ইচ্ছামতো বিল আদায় চলছে রাজধানীর দক্ষিণখানে।
এমন অভিযোগ দক্ষিণ মোল্লারটেক এলাকার গ্রাহক ইন্জিনিয়ার মনিরের। তার অভিযোগ, প্রায় এক বছর ধরে তার পানির মেশিনঘর তালা বন্ধ। কেউ আসেন না মিটার দেখতে।
সময়মতো বিলও হাতে পান না। বিল পরিশোধের দু-একদিন আগে সিড়িতে বিল ফেলে দিয়ে যাওয়া হয়।
দক্ষিণ মোল্লারটেকের বায়তুল মামুর জামে মসজিদ রোডের ইসমাইল হোসেন অভিযোগ করেন, ওয়াসা চলছে সংশ্লিষ্টদের খেয়াল খুশিমতো। তারা মিটার যাচাই না করে অফিসে বসেই মনগড়া রিডিং লিখে বিলের কপি ধরিয়ে দিচ্ছেন গ্রাহকদের হাতে। এসব ভৌতিক বিল পরিশোধে গ্রাহকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রতি মাসেই বিল বাড়ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
নার্গিস আক্তার জানান, মোল্লারটেকে প্রতি মাসে আনুমানিক বিল করেছে। এখানে ওয়াসা প্রতিষ্ঠার পর সেবার মান বাড়েনি। বেশিরভাগ সময় ময়লা পানি আসে। কেবল বেড়েছে বিলের বোঝা। ভৌতিক বিলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি। সমস্যা নিয়ে কার্যালয়ে ধরনা দিয়েও কোনো সমাধান মিলছে না। এমনকি মাসিক পানির বিলের গ্রাহক কপিতে দেওয়া টেলিফোন নম্বরে ফোন করলেও কেউ রিসিভ করেন না।
দক্ষিণ মোল্লারটেকের বিমান কলোনি সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা স্বপন মিয়া অভিযোগ করেছেন, আগে আমার বিল আসতো ৪০০-৫০০ টাকা। এখন বিল আসে ৯০০-১০০০ টাকা। কে যে মিটার রিডিং নিতে আসে তাকে এ পর্যন্ত কোনদিন দেখিনি। মনে হয় ভূতে রিডিং লিখে নিয়ে যায়! মানুষ আসলে তো দেখতাম। ওয়াসা অফিসে অভিযোগ করেও সমাধান পাইনি।
ওয়াসার সেবার নামে খেয়ালিপনা ও মনগড়া কার্যক্রমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন এখানকার হাজারও গ্রাহক। ভৌতিক বিলসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। এসব বিষয়ে গ্রাহকদের প্রতিনিয়ত অভিযোগ থাকলেও কোনো প্রতিকার করছেন না সংশ্লিষ্টরা।
কেউ কেউ অভিযোগ করছেন, অবৈধ সংযোগে সৃষ্ট ঘাটতির বোঝা বৈধ গ্রাহকদের ঘাড়ে চাপাতেই তারা ভৌতিক বিল করে থাকেন। বৈধ গ্রাহকরা অভিযোগ করলে লাইন কেটে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়। অনেক সময় লাইন কেটে দেয়। কাণ্ডজ্ঞানহীন এ কার্যক্রম থেকে রেহাই পেতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।
‘দেশের ৮ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস’
মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি......বিস্তারিত