বিশেষ প্রতিবেদক : কখনো তিনি হিজাবী আবার কখনো তিনি উদাম বক্ষে আবেদনময়ী টিকটকার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমজুড়ে তার সরব উপস্থিতি বিব্রত করে গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের। ২৪তম বিসিএস-এর কর্মকর্তা প্রকৌশলী হুমায়রা বিনতে রেজার কর্মকান্ডে নাক কাটা যাচ্ছে গণপূর্ত অধিদপ্তরের।
কর্মজীবনে প্রচন্ড ঘুষখোর এই নারী কর্মকর্তা বেশি আলোচিত তার ব্যক্তিগত চরিত্র নিয়ে। একের পর এক স্বামী বদল, অধস্থন প্রকৌশলীদের অনৈতিক কাজে ব্যববহার করা কিংবা কাজের তদারকির নামে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন রিসোর্টে তার ঘুরে বেড়ানো নিয়েই আলোচনায় আছেন তিনি। সম্প্রতি তিনি তাঁর এক বন্ধুকে নিয়ে গড়ে তুলেছেন ঠিকাদারী ব্যবসাও। প্রকৌশলী, ঠিকাদার কিম্বা টিকটক সেলিব্রেটি হুমায়রা বিনতে রেজাকে নিয়ে আমাদের এই প্রতিবেদন।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পাশ করে ২৪ তম বিসিএস-এ গণপূর্ত ক্যাডারে যোগদান করেন হুমায়রা বিনতে রেজা। বুয়েটে থাকাকালেই নানা কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েছিলেন। সে সময়ে এক সহপাঠীর সঙ্গে বিয়ে হলেও তা এক সপ্তাহের বেশি টিকেনি। পরে আবার ইমতিয়াজ আহমেদের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেন তিনি। ইমতিয়াজ আহমেদ বেসরকারি একটি টেলিকম কোম্পানিতে চাকরি করেন। ইমতিয়াজ আহমেদের সঙ্গে সংসারে তার দুটি সন্তান রয়েছে। কিন্তু ডিভোর্সের পর সহানুভুতি আদায়ে সন্তানদের বাবার কাছে দেননি হুমায়রা। এমনকি সন্তানের জন্মদিনেও বাবাকে দেখতে দেন না।
বাংলা প্রবাদ রয়েছে নারী একবার বিপথগামী হলে তাকে আর ফেরানো যায়না। হুমায়রা বিনতে রেজার ক্ষেত্রেও ঘটেছে তাই। নিজের খেয়াল খুশী মতো চলা, টিকটক ফেসবুকে সরব থেকে একের পর এক শালীনতা বিবর্জিত ছবি দেয়া থেকেই শুরু হয় পারিবারিক অশান্তি। এর সঙ্গে যুক্ত হয় বিভিন্ন পুরুষের সঙ্গে তার অবাধ মেলামেশা। স্টারমেকার্সসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ডুয়েট গান করা এবং নিজেকে টিকটক সেলিব্রেটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেন তিনি। এর মধ্যেই বুয়েটের এক সাবেক সহপাঠীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এটা নিয়েই চলে পারিবারিক অশান্তি। সেই অশান্তি থেকেই বিয়ে বিচ্ছেদ। অথচ বিয়ের পর থেকেই স্বামীর চরিত্র ভালো না বলে তিনি নিজেই ইমতিয়াজকে তালাক দিয়েছে বলে বীরদর্পে বলে বেড়াচ্ছেন।
অথচ গণপূর্তে সবারই জানা, হুমায়রাকে কতোটা ভালোবাসতেন ইমতিয়াজ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের সুন্দর পারিবারিক ছবি দেখে বিস্মিত হবেন যে-কেউ। এমন সুন্দর পরিবার কেউ ভাঙ্গে-এটা ভাবতেই অবাক লাগে। কিন্তু হুমায়রার সোশ্যাল মিডিয়া নেশা তাকে যেমন ডুবিয়েছে ঠিক তেমনি গণপূর্ত অধিদপ্তরের ভাবমুর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। অথচ গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার একজন পীর। বাতির নিচেই না-কি অন্ধকার থাকে। হুমায়রার ক্ষেত্রেও ঘটেছে তা-ই।
চাকুরি জীবনে কখনো হুমায়রা বিনতে রেজা ওয়ার্কিং ডিভিশনে কাজ কাজ করেননি। অথচ তাকে ইএম গণপূর্ত বিভাগ-৪ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদে তাকে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব দিয়ে রাখা হয়েছে। এখানে তিনি নির্বাহী প্রকৌশলীদের মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণ ছাড়াও কিছু কিছু প্রাক্কলনে নিজে ঠিকাদারদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ঘুষ গ্রহণ করে থাকেন। এ নিয়ে এক নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্য হয়েছে। বিষয়টি অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আশরাফুলের দৃষ্টিতে এলে তিনি এ নিয়ে হুমায়রাকে ভৎসনা করেন। প্রধান প্রকৌশলী মো. শামীম আখতারও বিষয়টি জানেন।
তাঁর কর্মকান্ডে গণপূর্ত অধিদপ্তরের ইমেজ ক্ষুন্ন হওয়ায় প্রধান প্রকৌশলী তাকে ননওয়ার্কিং একটি সার্কেলের দায়িত্ব দেয়ার উদ্যোগ নেন। কিন্তু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের একটি সিন্ডিকেটের কারনে তাকে সরানো সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে সহকর্মীদের কাছে নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন শামীম আখতার। প্রশ্ন হচ্ছে, বেপরোয়া এই হুমায়রাকে থামাবে কে?
এ বিষয়ে কথা বললে প্রকৌশলী হুমায়রা জানান, এসবই আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার। আমার প্রাক্তন স্বামী এসব ছড়াচ্ছে। আমি কোন অপকর্মের সাথে জড়িত নই।
‘বাগেটহাট চিতলমারী উপজেলা শ্রমিকদলের নতুন কমিটি ঘিরে আলোচনা-সমালোচনা ঝড়!’
স্টাফ রিপোর্টারঃ আওয়ামী লীগ আমলে কয়েকটি মিথ্যা মামলার শিকার হওয়া......বিস্তারিত