মেয়েদের বিশ্বকাপে ফাইনালে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে চুমুকাণ্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী স্পেনিয়ার্ড জেনিফার হারমোসো। স্প্যানিশ প্রসিকিউটররা ঘটনাটি নিয়ে ফৌজদারি তদন্ত শুরু করেছেন। রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের (আরএফইএফ) বরখাস্তকৃত সভাপতি লুইস রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন এবং জবরদস্তির বিচার করা হবে কিনা, এবিষয়ে একজন বিচারককে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সিডনিতে গতবছরের ২০ আগস্ট মেয়েদের বিশ্বকাপ ফুটবলে ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা জেতে স্পেন। পুরস্কার বিতরণীর মঞ্চে হারমোসোর ঠোঁটে চুমু দিয়ে বিতর্কের সুযোগ করে দেন রুবিয়ালেস।
হারমোসো আদালতে বলেছেন, তাকে দেয়া চুমুটি ‘অপ্রত্যাশিত এবং কোনোভাবেই সম্মতিমূলক ছিল না’। ৩৩ বর্ষী তারকা বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন সেসময় হয়রানির শিকার হয়েছিলেন। সাক্ষ্য দেয়ার পর আদালত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তিনি কথা বলতে রাজি হননি। সাংবাদিকদের সামনে এটুকুই তার কণ্ঠে ছিল, ‘আমি শুধু বলতে পারি সবই এখন বিচারের হাতে রয়েছে।’
এর আগে বিবৃতিতে স্পেনের তারকা ফুটবলার বলেছিলেন, তার সম্মতি ছাড়াই রুবিয়ালেস চুমু দিয়েছিল। রুবিয়ালেস এরআগে দাবি করেছিলেন, সম্মতিতেই তিনি চুমু দিয়েছিলেন। পরে আরএফইএফ-র সভাপতির পদ থেকে সরতে বাধ্য হন এবং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে ফিফার তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন রুবিয়ালেস। ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ানের তথ্য, যৌন নিপীড়নের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে রুবিয়ালেসের চার কিংবা পাঁচ বছরের জেল হতে পারে।
চুমুকাণ্ডের পর জীবন খুব কঠিন হয়ে গিয়েছিল বলে আগেই স্বীকার করেছেন হারমোসো। হুমকি পাওয়ার পর তিনি মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে একজন মনোবিজ্ঞানীর সঙ্গে কাজ করছেন। পরে তিনি জাতীয় দলে ফিরেছেন এবং ইতালির বিপক্ষে প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে গোল করেছেন।
‘ভোলায় অস্ত্রসহ ৩ দস্যু আটক, ২ অপহৃত উদ্ধার’
ভোলায় জলদস্যুতার অভিযোগে ৩ দস্যুকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।......বিস্তারিত