বাংলাদেশ নিটপণ্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বাংলাদেশে রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানা গড়ে উঠেছিল সস্তা শ্রম ও গ্যাসের ওপর ভিত্তি করে। এখন দুটোই ব্যয়বহুল। নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের শিল্প এলাকায় গ্যাস সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। ৩ মাস যাবৎ কারখানায় গ্যাসের চাপ কম ছিল। আগের দিনে গ্যাস পাওয়া না গেলেও রাত ১১টার পর থেকে ভোর পর্যন্ত পাওয়া যেত। কিন্তু এক সপ্তাহ যাবৎ অবস্থা খুবই নাজুক, কারখানায় একেবারেই গ্যাস নেই। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই গ্যাসশূন্য। নারায়ণগঞ্জে প্রায় ৮০০ গ্যাসনির্ভর কারখানা রয়েছে, যার সবগুলোই প্রায় বন্ধ। শ্রমিকদের বসিয়ে বেতন দিতে বাধ্য হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, নিরবচ্ছিন্নভাবে পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহের নিশ্চয়তা দিয়েই গত বছর ব্যবসায়ীদের দাবি উপেক্ষা করে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়। কষ্ট সত্ত্বেও ব্যবসায়ীরা তা মেনে নিয়েছে। জানুয়ারি মাসে নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নের কথা রয়েছে। এ অবস্থায় গ্যাস সংকটের কারণে কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়েছে। রপ্তানি করতে না পারলে মালিকরা শ্রমিকদের নতুন মজুরিতে বেতন দেবে কীভাবে। তাই আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রপ্তানিমুখী শিল্পে জরুরি ভিত্তিতে গ্যাস সরবরাহ করা উচিত। মোহাম্মদ হাতেম বলেন, পেট্রোবাংলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে সহসা এ সংকট সমাধানের কোনো সম্ভাবনা নেই। নারায়ণগঞ্জ জোনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রেখে সার উৎপাদনে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। সার কিন্তু উৎপাদন না করেও আমদানি করা যেতে পারে, কিন্তু শিল্পে গ্যাসের কোনো বিকল্প নেই। আমদানিতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে উৎপাদনের চেয়ে খরচ কম পড়ে। সরকারকেই অগ্রাধিকার ঠিক করতে হবে।
‘বাগেটহাট চিতলমারী উপজেলা শ্রমিকদলের নতুন কমিটি ঘিরে আলোচনা-সমালোচনা ঝড়!’
স্টাফ রিপোর্টারঃ আওয়ামী লীগ আমলে কয়েকটি মিথ্যা মামলার শিকার হওয়া......বিস্তারিত