TadantaChitra.Com | logo

১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভাড়াটিয়াকে নির্যাতন করে মালামাল লুট করে নিলেন বাড়ী মালিক!

প্রকাশিত : মার্চ ১৫, ২০২৪, ১৬:৩৯

ভাড়াটিয়াকে নির্যাতন করে মালামাল লুট করে নিলেন বাড়ী মালিক!

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ উত্তরা নানা অপরাধীদের সাম্রাজ্য। এই জোন জুড়ে তাদের বেসামাল চলাচল। এলাকাটিতে বসবাসরত অনেক অপরাধীই নিরাপদ জোন হিসেবে ব্যবহার করেন। এখানে যে পুলিশ দায়িত্ব পালন করতে আসে সেই পুলিশ অপরাধীদের কাঁধে বন্দুক রেখে সাধারন মানুষকে গুলি করে এমন চিত্র ফুটে উঠেছে একটি বাড়ীর ভাড়াটিয়াকে ধর্ষণ চেষ্টা, নির্যাতন ও মালামাল লুট করার মধ্যে দিয়ে। এমন একটি মর্মান্তিক ও ভয়াবহ ঘটনায় ভুক্তোভুগি থানায় মামলা করতে গেলে উল্টো থানা পুলিশ তাঁকে চরিত্রহীন বলে তাড়িয়ে দেন। শুধু থানা পুলিশ না আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরে গিয়েও পান নি ন্যায়বিচার। উল্টো অনেক কর্মকর্তা চরিত্রহীন বলে অপবাদ দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ তাঁকে বিছানায় যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন একাধিকবার। নিজের স্বভ্রমহানী ও মালামাল লুটের বিচার কারো কাছে না পেয়ে সর্বশেষ আদালতের দ্বারস্থ হন ভুক্তভোগি এ নারী। তার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে আদালতে মামলা করেও হয়রানীর স্বীকার হতে হয়েছে নানাভাবে। নারী ও শিশু নির্যাতন এবং মালামাল লুটের মামলাটি দায়ের করলে পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করে সত্যি ঘটনা আড়াল করে আদালতে কয়েকটি ধারায় প্রতিবেদন দাখিল করেন পুলিশ। এরপর পিবিআই তদন্ত করে একই কায়দায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআই। এমন ঘটনা ঘটেছে রোড নং-১৮, বাসা নং-১০, সেক্টর-১১, উত্তরা রকিবুল হোসেন রুমী ও তার স্ত্রী মিসেস সিমকী খান এর মালিকানা বাড়ীতে। এখানেই নুসরাত জাহান ৭ বছর ধরে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। বাড়ীটির ম্যানেজার মোঃ বেল্লাল হোসেন। এই বাড়িতে বেল্লাল হোসেন ৬ষ্ট তলায় থাকেন। একই সাথে বাড়ীর মালিক রকিবুল হোসেন রুমীর গাড়ীর ড্রাইভার। প্রথমে এই ম্যানেজার কাম ড্রাইভারকে দিয়ে ভাড়াটিয়া নুসরাত জাহানকে অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দেন রুমী। তাদের এমন প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় একাধিক বার বাসা ছেড়ে দিতে মৌখিকভাবে বেল্লাল হোসেনকে দিয়ে নুসরাত জাহানকে সর্তক করেছেন। এরপরও যখন তাদের প্রস্তাবে রাজী হয়নি তখনই লিখিত নোঠিশ করেন বাড়ীওয়ালা এমন তথ্য দিয়েছেন পাশের বাড়ীর কেয়ারটেকার।

মামলার তদন্তকারী সংস্থার প্রতিবেদনে কি আছে:
দালিলিক সাক্ষ্যের পর্যালোচনাঃ তদন্তকালে বাদী এবং বিবাদীপক্ষ কর্তৃক উপস্থাপিত নিম্নোক্ত কাগজপত্রাদি দালিলিক সাক্ষ্য হিসেবে পর্যালোচনা করিলাম। (ক) বাড়ীর মালিক ৩ নং বিবাদী রকিবুল হোসেন রুমী এর স্ত্রী মিসেস সিমকী খান এবং বাদীনি নুসরাত জাহান এর মধ্যে সম্পাদিত উচ্ছেদযোগ্য ফ্ল্যাট ভাড়ার চুক্তিপত্রের ফটোকপি। (খ) মিসেস সিমকী খান কর্তৃক বাদীনি বরাবর ভাড়াকৃত ফ্ল্যাটের খালি দখল হস্তান্তর প্রসঙ্গে নোটিশের ফটোকপি। (গ) বাড়ীর মালিক মিসেস সিমকী খান কর্তৃক বাদীনি বরাবর বিগত ২২/০৫/২০২২ খ্রিঃ লিগ্যাল নোটিশের ফটোকপি। (ঘ) বাদীনি বাসা না ছাড়ায় বাড়ীর মালিক মিসেস সিমকী খান কর্তৃক বাদীনির বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়েরকৃত জিডি নং-১৫৭৪, তারিখ-১৯/১০/২০২২ খ্রিঃ এর ফটোকপি । (ঙ) বাড়ীর মালিক মিসেস সিমকী খান কর্তৃক ডিসি, ডিএমপি, উত্তরা জোন বরাবর ভাড়ার চুক্তির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও জোরপূর্বক ফ্ল্যাটে বসবাস করা প্রসঙ্গে আবেদন এর ফটোকপি । (চ) বাড়ীর মালিক মিসেস সিমকী খান কর্তৃক মোহাম্মদ শরীফুর রহমান, কাউন্সিলর, ওয়ার্ড নং-৫১ বরাবর ভাড়াটিয়াকে ফ্ল্যাট খালিকরণ প্রসঙ্গে আবেদন এর ফটোকপি। (ছ) বাদীনি কর্তৃক বিবাদী মোঃ রকিবুল হোসেন রুমীর বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়েরকৃত জিডি নং-৩৩২, তারিখ-০৪/১১/২০২২ খ্রিঃ এর ফটোকপি। (জ) ১নং বিবাদী বেলাল হোসেন কর্তৃক বাদীনির বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়েরকৃত জিডি নং-২৭৪৭, তারিখ-২৯/০৫/২০২৩ খ্রিঃ এর ফটোকপি। (ঝ) বাদীনির বিরূদ্ধে তার পূর্বের বাসার মালিক জনৈক নুরুল আমিন তার বাড়ির ভাড়া প্রদান না করায় উত্তরা পশ্চিম থানায় সাধারন ডাইরী নং ১১১৮ তারিখ ১৯/০৬/১৫ খ্রিঃ দায়েরের কপি।

 

পিবিআই কর্তৃক তদন্ত/অনুসন্ধানঃ আমি গত ১১/০৭/২০২৩ খ্রিঃ সহ বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে সরেজমিনে মামলাটি তদন্ত করি। তদন্তকালে মামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্র অঙ্কন ও সূচীপত্র তৈরি করি। আলামত জব্দের চেষ্টা করি। জব্দ করার মতো কোন আলামত না পাওয়ায় এবং বাদীনি কোন আলামত উপস্থাপন করতে না পারায় আলামত জব্দ করা যায় নি। বাদীনিকে তার মানিত সাক্ষী এবং দালিলিক সাক্ষ্য সহ পিবিআই কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্য তার ঠিকানা বরাবর নোটিশ প্রেরণ করি। বাদীনি পিবিআই অফিসে হাজির হলে তাকে মামলার ঘটনা সংক্রান্তে জিজ্ঞাসাবাদ করি। বাদীনির মানিত মোট ০৪ (চার) জন সাক্ষীর মধ্যে ০১ (এক) জন সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ‘ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬১ ধারা মোতাবেক তার জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করি। বাদীনির মানিত অপর সাক্ষী ইসমত সুলতানা এলিকে জিজ্ঞাসায় তিনি ঘটনার বিষয়ে কিছু জানেন না এবং সাক্ষী দিতে অনিহা প্রকাশ করায় তার জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করা সম্ভব হয় নাই। বাকী ০২ (দুই) জন সাক্ষী আশরাফ গাজী এবং আব্দুলকে ঘটনাস্থলে না পাওয়ায় এবং বাদীনিকে বাকী সাক্ষী হাজির করার জন্য একাধিকবার নোটিশ করা হলেও তিনি সাক্ষী হাজির না করার তাদেরকে মামলার ঘটনা সংক্রান্তে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া অত্র মামলার ঘটনা সংক্রান্তে অবগত তদন্তে প্রাপ্ত ও নিরপেক্ষ ০৩ (তিন) জন সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬১ ধারা মোতাবেক তাদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করি। মামলার ঘটনা সংক্রান্তে বাদীনি ও বিবাদীদের উপস্থাপিত কাগজপত্র দালিলিক সাক্ষ্য হিসেবে পর্যালোচনা করি। সংশ্লিষ্ট থানায় অনুসন্ধানপত্র প্রেরণ করে বিবাদীদের নাম-ঠিকানা যাচাই করি। বাদীনির চিকিৎসা গ্রহণ সংক্রান্তে চিকিৎসা সনদপত্র প্রাপ্তির লক্ষ্যে পরিচালক, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল বরাবর আবেদন প্রেরণ করি এবং চিকিৎসা সনদপত্র প্রাপ্ত হয়ে বিশেষজ্ঞের মতামত হিসাবে তা পর্যালোচনা করি। স্থানীয় বিশ্বস্ত গুপ্তচর নিয়োগ করিয়া ঘটনার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করি। তদন্তকালে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মামলাটি তদারকি সহ প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। ঘটনাটি প্রকাশ্য ও গোপনে তদন্ত করি।

 

মামলাটি তদন্তকালে জানা যায় যে, অত্র মামলার বাদিনী নুসরাত জাহান গত ২৪/১০/২০১৬ খ্রিঃ তারিখ ৩ নং বিবাদী ডাঃ মোঃ রকিবুল হোসেন রুমির স্ত্রী মিসেস সিমকী খান এর সহিত ফ্ল্যাট ভাড়ার চুক্তিপত্র সম্পাদনের মাধ্যমে রোড নং-১৮, বাসা নং-১০, ২য় তলায় ফ্ল্যাট ২/বি, সেক্টর-১১, উত্তরা, ঢাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। চুক্তিপত্র মোতাবেক প্রথম ভাড়াটিয়া চুক্তিপত্র ৩০/১০/২০১৮ সাল পর্যন্ত কার্যকর ছিল (কপি সংযুক্ত)। প্রথমে বাদীনি তার ছেলেকে নিয়ে সেখানে বসবাস করতেন। পরবর্তীতে সর্বশেষ প্রায় ০২ বছর বাদীনি ঘটনাস্থল বাসায় একা থাকতেন। চুক্তিপত্রের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে বাদিনী নুসরাত জাহান এবং বাড়ীর মালিক বিবাদী রকিবুল হোসেন রুমী এর স্ত্রী মিসেস সিমকী খান এর মধ্যে গত ০১/০১/২০১৯ খ্রিঃ হতে গত ৩১/১২/২০১৯ খ্রিঃ পর্যন্ত “উচ্ছেদযোগ্য মাসিক ভাড়াটিয়ার সহিত ফ্ল্যাট মালিকের ফ্ল্যাট ভাড়া”সংক্রান্তে পূনরায় একটি চুক্তিপত্র সম্পাদিত হয় (চুক্তিপত্রের ফটোকপি সংযুক্ত)। অত্র পিটিশন মামলার ১নং বিবাদী মোঃ বেল্লাল হোসেন (৪১) ঘটনাস্থল বাড়িতে ৬ষ্ট তলায় থাকেন। তিনি ৩নং বিবাদী ডাঃ মোঃ রকিবুল হোসেন রুমির ব্যক্তিগত ড্রাইভার এবং ঘটনাস্থল বাড়ির ভাড়া উত্তোলনসহ দেখাশুনা করেন। ২নং বিবাদী আলম (৩৬) ঘটনার সময় ঘটনাস্থল বাসার কেয়ারটেকার ছিলেন। তিনি বর্তমানে অন্যত্র থাকেন। ৩নং মোঃ রকিবুল হোসনে রুমি (৭০) বাড়ির মালিক স্ত্রী মিসেস সিমকী খান এর স্বামী। তিনি পেশায় একজন চিকিৎসক। ৪নং খলিল (৪৫) ৩নং বিবাদীর ব্যক্তিগত সহকারী। ৩-৪ নং বিবাদী উভয়ে শান্তিনগর, রমনা, ঢাকায় থাকেন।

 

তদন্তে ও সাক্ষ্য প্রমানে জানা যায়, চুক্তি মোতাবেক বাদীনি কর্তৃক বাড়ীর মালিক পক্ষকে মাসিক ভাড়া ১০,৫০০/-(দশ হাজার পাঁচশত) টাকা প্রদান করতঃ বসবাস করে আসছিলেন। পরবর্তীতে বাদীনি বাসায় একা থাকায় এবং তার নিকট বিভিন্ন অপরিচিত লোকজন আসা যাওয়া করায় বাড়ীর মালিক বাদীনিকে ভাড়াকৃত ফ্ল্যাটটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য মৌখিক ভাবে অনুরোধ করেন। কিন্তু বাদিনী সময় চেয়েও ভাড়াকৃত ফ্ল্যাটটি ছেড়ে না দিয়ে সময়ক্ষেপন করতে থাকেন। ১নং বিবাদী বেল্লালসহ ২নং বিবাদী আলম শেখ বাদীনিকে ভাড়া পরিশোধ করে ফ্ল্যাট ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলেন। বাদীনিকে বারবার বলার পরও বাদীনি বাসা ছেড়ে না দেওয়ায় বাড়ীর মালিক সিকমী খান বিজ্ঞ আইনজীবির মাধ্যমে বিগত ২২/০৫/২০২২ খ্রিঃ বাদীনিকে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেন এবং ৩১/০৭/২০২২ খ্রিঃ তারিখের মধ্যে ফ্ল্যাট খালি করার জন্য বলেন (নোটিশের ফটোকপি সংযুক্ত)। তারপরও বাদীনি তার ব্যবহৃত ভাড়া ফ্ল্যাট খালি না করায় বাড়ীর মালিক সিকমী খান বাদীনি নুসরাত জাহান এর বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় সাধারণ ডাইরী নং-১৫৭৪, তারিখ-১৯/১০/২০২২ খ্রিঃ দায়ের করেন (জিডির ফটোকপি সংযুক্ত)। থানা হতে পুলিশ এসে বাদীনিকে ফ্ল্যাট ছাড়তে বললেও তিনি ফ্ল্যাট না ছাড়ায় পরবর্তীতে বাসার মালিক একই বিষয় সংক্রান্তে অর্থাৎ ভাড়ার চুক্তি উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও জোরপূর্বক ফ্ল্যাটে বসবাস করা প্রসঙ্গে প্রতিকার চেয়ে ডিসি, ডিএমপি, উত্তরা জোন এবং কাউন্সিলর, মোহাম্মদ শরিফুর রহমান, ওয়ার্ড নং-৫১, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন বরাবর আবেদন করেন (আবেদনের কপি সংযুক্ত)। ঘটনার বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ওয়ার্ড নং-৫১ এর বর্তমান কাউন্সিলর মোহাম্মদ শরিফুর রহমানকে জিজ্ঞাসায় তিনি জানান, বিবাদী রুমির স্ত্রী সিকমী খানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সমাধানের জন্য বাদীনিকে তার অফিসে আসতে বললে বাদীনি নুসরাত জাহান তার নিকট আসেন নাই। অভিযোগের বিষয়ে থানা কর্তৃপক্ষ এবং কাউন্সিলর মোহাম্মদ শরিফুর রহমান অনেক চেষ্টা করেও ঘটনার বিষয়ের সমাধান করতে পারেন নাই মর্মে জানা যায়। বাদীনিও উত্তরা পশ্চিম থানায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং ১নং ও ৩নং বিবাদীর বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় জিডি নং-৩৩২, তারিখ-০৪/১১/২০২২ খ্রিঃ দায়ের করেন (জিডির ফটোকপি সংযুক্ত)। পরবর্তীতে তারই ধারাবাহিকতায় বাড়ীর মালিক মিসেস সিমকী খান ও ভাড়াটিয়া নুসরাত জাহান (বাদিনী) এর মধ্যে বাসা ছাড়া এবং ভাড়া না দেওয়ার বিষয় নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়। বাদীনি ফ্ল্যাট খালি না করে দেওয়ায় বাড়ির মালিক এবং ১নং বিবাদীর সহিত বাদীনির মনোমালিন্য ও কথা কাটাকাটি চলে আসছিল। সর্বশেষ বাড়ির মালিক বাদীনির নিক ০৯ মাসের বাসা ভাড়া বকেয়াসহ আনুষঙ্গিক প্রায় ১,১৫,০০০/(এক লক্ষ পনের হাজার) টাকা পাওনা হন মর্মে তদন্তে ও সাক্ষীদের জিজ্ঞাসায় জানা যায়। তদন্তকালে আরো জানা যায়, বাদীনি পূর্বে ২০১৫ সালে উত্তরা সেক্টর ১২, রোড-১৭, বাসা-২৩ এর ভাড়াটিয়া ছিলেন। সেখানে তিনি বাড়ির মালিককে নিয়মিত ভাড়া প্রদান না করায় ফ্ল্যাটের মালিক জনৈক নুরুল আমিন, মোবাইল নং ০১৭১৫-৮৭১১৪৭ বাদীনির বিরূদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় সাধারণ ডাইরী নং ১১১৮, তারিখ ১৯/০৬/১৫ খ্রিঃ দায়ের করেন (জিডির কপি সংযুক্ত)। প্রকাশ্য ও গোপন তদন্তকালে এবং সাক্ষ্য প্রমাণে এবং ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় জানা যায়, বাড়ির মালিকের সহিত বাদীনির সম্পাদিত চুক্তিপত্রে বাদীনির পরিবারের সদস্য ছাড়া অন্য কেউ উক্ত ফ্ল্যাটে বসবাস করতে পারবে না মর্মে উল্লেখ থাকলেও সর্বশেষ প্রায় ০২ বছর বাদীনি ঘটনাস্থল বাসায় একা বসবাস করতেন। বাদীনির ভাড়াকৃত ফ্ল্যাটে অজ্ঞাত পরিচয়ে একাধিক পুরুষ এবং মহিলা যাতায়াত করতেন। উক্ত বিষয় নিয়ে মালিক পক্ষ বাদীনিকে জিজ্ঞাসা করলে বাদীনির সহিত আরো তিক্ততা বাড়তে থাকে। ১নং বিবাদী বেল্লাল প্রায় সময় বাদীনিকে বকেয়া ভাড়া দিয়ে বাসা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য বলতেন এবং কেন তার বাসায় বাহিরের লোকজন আসেন তা জিজ্ঞাসা করায় প্রায় সময় তার সহিত বাদীনির তর্কবিতর্ক হতো মর্মে জানা যায়। সর্বশেষ ঘটনার তারিখ বিগত ০৪/০৬/২০২৩ খ্রিঃ দুপুর আনুমানিক ২.৩০ ঘটিকার সময় ২ নং বিবাদী আলম বাড়ীর মালিকের নির্দেশে বাদীনির ফ্ল্যাটে গিয়ে বাসা ছাড়ার কথা বললে এক দুই কথায় বাদীনির সাথে ২নং বিবাদীর বাকবিতণ্ডা হয়। তখন ২নং বিবাদী আলম ১নং বিবাদীর সাথে কথা বলার জন্য বাদীনিকে নীচ তলায় যেতে বলেন। বাদীনি সিঁড়ি দিয়ে যাওয়ার সময় ১নং বিবাদী বেল্লাল এর সাথে বাদীনির দেখা হয়। অতঃপর ভাড়া নিয়ে একে অপরের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ১নং বিবাদী বেল্লাল বাদীনিকে ধাক্কা মারলে বাদীনি সিঁড়িতে পড়ে ডান পায়ের উপরে ও হাঁটুর নীচে আঘাত পেয়ে নীলাফোলা জখম প্রাপ্ত হন। তখন বাদীনি তাদেরকে বকাঝকা করলে ১নং বিবাদী বেল্লাল এবং ২নং বিবাদী আলম শেখ বাদীনিকে ভয়ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করেন। পরবর্তীতে বাদীনি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। তদন্তকালে বাদীনির চিকিৎসা গ্রহণ সংক্রান্তে মেডিকেল সার্টিফিকেট প্রাপ্ত হয়ে পর্যালোচনায় দেখা যায়, (1). Bruish Bruise mark (1‡”×1) rt upper leg below knee joint. (2) Few scratch marks, Small in size back of the rt thigh. use of weapon Blunt. যা একটি সাধারণ জখম। জখমপ্রাপ্ত হওয়ার ঘটনায় বাদীনি অত্র মামলা দায়ের করার পর বিজ্ঞ আদালতে ১-২ নং বিবাদীদের বিরুদ্ধে অন্য আরেকটি মামলা দায়ের করেন। যাহা সিআর মামলা নং-২০২/২০২৩ (উত্তরা পশ্চিম), তারিখ-১৯/০৬/২০২৩ ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ১০। মামলাটি পিবিআই ঢাকা মেট্রো (উত্তর) এর তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ ইন্তাজ আলী তদন্ত শেষে বাদীনির অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পান নাই মর্মে বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

 

তদন্তকালে ঘটনাস্থল ফ্ল্যাটের আশেপাশের ফ্ল্যাটের লোকজন, ঘটনাস্থল বিল্ডিং ও স্থানীয় লোকজনদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে অত্র মামলার ১নং বিবাদী বেল্লাল হোসেন কর্তৃক বাদীনির শরীরে চিমটি কাটা এবং বিভিন্ন কু-রুচিপূর্ণ ইঙ্গিত করার সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায় নাই। বিবাদীগন কর্তৃক বাদীনিকে টেনে হিচড়ে শ্লীলতাহানি করা, বাদীনির মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া এবং বাদীনির ফ্ল্যাট হতে জোর পূর্বক মালামাল নেওয়া ও মালামাল চুরি করার বিষয়ে প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল এবং আশ পাশের সিসি ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা করি। বাদীনি ঘটনার বেশ কিছুদিন পর মামলা দায়ের করায় ঘটনার তারিখ ও সময়ের সিসি ফুটেজ পাওয়া যায় নাই । বাদীনিও ঘটনার সময়ে তার বাসার মালামাল কে বা কারা জোর পূর্বক নিয়ে গেছেন তার কোন ভিডিও ফুটেজ বা সিসি ফুটেজ দিতে পারেন নাই। ঘটনা সংক্রান্তে জিজ্ঞাসিত সাক্ষী ১। মোঃ শাহজাহান @ খোকন (৩৩), ২। মোঃ হাসান (২০), ৩। মোঃ শাহজাহান (৭৬) সহ আশ পাশের লোকজনদের বাদীনির বাসার মালামাল জোর পূর্বক বা চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় কাউকে দেখেছেন কিনা জিজ্ঞাসায় তারা জানান, ঘটনাস্থল বাসা হতে ঘটনার দিন ট্রাক দিয়ে তারা উক্ত মালামাল বিবাদীগনকে নিয়ে যেতে তারা দেখেন নাই বলে জানান। মালামাল কে বা কারা নিয়েছেন তা‘তারা জানেন না। তারা জানান, ঘটনাস্থল বাড়ি বাদীনির ফ্ল্যাটে বিভিন্ন লোকজনের আসা যাওয়া এবং বকেয়া ভাড়ার কারনে ঘটনার তারিখ ও সময়ে বাদীনির সাথে ১নং বিবাদী কর্তৃক বাদীনিকে মারধর এবং ১-২ নং বিবাদী কর্তৃক বাদীনিকে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করার ঘটনা সত্য। তদন্তে ও সাক্ষ্য প্রমানে ঘটনার তারিখ ও সময়ে ১নং বিবাদী বেল্লাল বাদীনিকে মারধর করা এবং ১-২নং বিবাদী বাদীনিতে ভয়ভীতি ও প্রান নাশের হুমকি প্রদান সাক্ষ্য প্রমান পাওয়া গেলেও ঘটনার সহিত ৩নং বিবাদী মোঃ রকিবুল হোসেন রুমি এবং ৪নং বিবাদী ইব্রাহিম খলিল জড়িত থাকার বিষয়ে কোন সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তদন্তকালেও বাদীনিও ৩-৪ নং বিবাদীদের বিরুদ্ধে কোন সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি।

 

মামলাটির সার্বিক তদন্তে প্রাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ পর্যালোচনায়, সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদে, দালিলিক কাগজপত্র ও বিশেষজ্ঞের মতামত পর্যালোচনায় এবং ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় অত্র মামলার ১নং বিবাদী মোঃ বেল্লাল হোসেন (৪১), পিতা-মৃত আকবর আলী হাওলাদার, মাতা-মৃত ফাতেমা বেগম, স্থায়ী সাং-ডিঙ্গামানিক, ৪নং ওয়ার্ড, ৫নং চরমোনাই ইউপি, (হেলাল মেম্বারের বাড়ী), থানা-কোতয়ালী, জেলা-বরিশাল । বর্তমান সাং-বাসা নং-১০, রোড নং-১৮, সেক্টর-১১,থানা-উত্তরা পশ্চিম,ঢাকা কর্তৃক বাদীনিকে মারধর ও প্রান নাশের হুমকি প্রদান করায় তার বিরুদ্ধে দঃবিঃ ৩২৩/৫০৬ ধারায় এবং ২নং বিবাদী মোঃ আলম শেখ (৪০), পিতা-আবু বক্কর সিদ্দিক, মাতা-সাহেরা বেগম, স্থায়ী সাং-ডুমরী, (করিম উল্ল্যাহ চৌধুরীর পাশের বাড়ি) থানা-কচুয়া, জেলা-কুমিল্লা। বর্তমান সাং হাজী পাড়া, ৩ নং রোড, ফুলবাড়িয়া, থানা তুরাগ, ঢাকা কর্তৃক বাদীনিকে ভয়ভীতি ও প্রান নাশের হুমকি প্রদান করায় তার বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৫০৬ ধারার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। উক্ত ১-২ নং বিবাদীদের বিরুদ্ধে বাদীনির আনীত অভিযোগ পেনাল ৩২৭/৩৫৪/৩৮০/৩৮৪/৩৮৫/৫০৯/৩৪ ধারার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়নি। অত্র মামলার ৩নং বিবাদী মোঃ রকিবুল হোসেন রুমি (৭০) এবং ৪নং বিবাদী ইব্রাহিম খলিল (৪৫) এর বিরুদ্ধে বাদীনির আনীত অভিযোগের সত্যতা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়নি।

 

মতামতঃ বাদীনির আনিত অভিযোগ পর্যালোচনা করা হয়েছে। তদন্তকালে মামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্র অঙ্কন ও সূচীপত্র তৈরি করা হয়েছে। আলামত জব্দের চেষ্টা করা হয়েছে। জব্দ করার মতো কোন আলামত না পাওয়ায় এবং বাদীনি কোন আলামত উপস্থাপন করতে না পারায় আলামত জব্দ করা যায় নি। বাদীনিকে একাধিকবার তার মানিত সাক্ষীসহ পিবিআই কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছে। বাদীনি পিবিআই অফিসে হাজির হলে তার মামলার ঘটনা সংক্রান্তে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বাদীনির মানিত ০১ (এক) জন সাক্ষীসহ ঘটনা সমন্ধে অবগত তদন্তে প্রাপ্ত ও নিরপেক্ষ ০৩ (তিন) জন সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের জবানবন্দি ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬১ ধারা মোতাবেক লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। মামলার ঘটনা সংক্রান্তে বাদী ও বিবাদীদের উপস্থাপিত কাগজপত্র দালিলিক সাক্ষ্য হিসেবে পর্যালোচনা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানায় অনুসন্ধানপত্র প্রেরন করে বিবাদীগনের নাম-ঠিকানা যাচাই করা হয়েছে। বাদীনির চিকিৎসা গ্রহণ সংক্রান্তে চিকিৎসা সনদপত্র প্রাপ্তির লক্ষ্যে পরিচালক, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল বরাবর আবেদন প্রেরণ করা হয়েছে এবং চিকিৎসা সনদপত্র প্রাপ্ত হয়ে বিশেষজ্ঞের মতামত হিসাবে তা পর্যালোচনা করা হয়েছে। তদন্তকালে উর্ধ্বতন মামলাটি তদারকি সহ প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। মামলাটির সার্বিক তদন্তে প্রাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে, দালিলিক সাক্ষ্য পর্যালোচনায় এবং ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় নিম্নোক্ত মতামত প্রদান করা হ’ল। অত্র মামলার ১ নং বিবাদী মোঃ বেল্লাল হোসেন (৪১), পিতা-মৃত আকবর আলী হাওলাদার, মাতা-মৃত ফাতেমা বেগম, স্থায়ী সাং-ডিঙ্গামানিক, ৪নং ওয়ার্ড, ৫নং চরমোনাই ইউপি, (হেলাল মেম্বারের বাড়ী), থানা- কোতয়ালী, জেলা-বরিশাল। বর্তমান সাং-বাসা নং-১০, রোড নং-১৮, সেক্টর-১১, থানা-উত্তরা পশ্চিম, ঢাকা কর্তৃক বাদীনিকে মারধর ও প্রান নাশের হুমকি প্রদান করায় তার বিরুদ্ধে দঃবিঃ ৩২৩/৫০৬ ধারায় এবং ২নং বিবাদী মোঃ আলম শেখ (৪০), পিতা-আবু বক্কর সিদ্দিক, মাতা-সাহেরা বেগম, স্থায়ী সাং-ডুমরী,(করিম উল্ল্যাহ চৌধুরীর পাশের বাড়ি) থানা-কচুয়া, জেলা-কুমিল্লা। বর্তমান সাং হাজী পাড়া, ৩ নং রোড, ফুলবাড়িয়া, থানা তুরাগ, ঢাকা কর্তৃক বাদীনিকে প্রান নাশের হুমকি প্রদান করায় তার বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৫০৬ ধারার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। উক্ত ১-২ নং বিবাদীদের বিরুদ্ধে বাদীনির আনীত অভিযোগ পেনাল ৩২৭/৩৫৪/৩৮০/৩৮৩/৩৮৫/৫০৯/৩৪ ধারার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়নি। অত্র মামলার ৩নং বিবাদী মোঃ রকিবুল হোসেন রুমি এবং ৪নং বিবাদী ইব্রাহিম খলিল এর বিরুদ্ধে বাদীনির আনীত অভিযোগের সত্যতা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়নি।

পুরো ঘটনা আড়াল করে একদরফা এমন প্রতিবেদন দেন পিবিআই।

 

নুসরাতের মামলায় কি বলা হয়েছেঃ
নালিশী দরখাস্তের সারাংশঃ ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ এই যে, অত্র মামলার বাদীনি নুসরাত জাহান রোড
নং-১৮, বাসা নং-১০, সেক্টর-১১, উত্তরা ঠিকানার বাসায় ২য় তলায় গত ০৭ (সাত) বছর যাবৎ বসবাস করে
আসছেন। গত ২৭/০৩/২০২২ খ্রিঃ উক্ত বাসার কেয়ারটেকার ১নং বিবাদী বেল্লাল হোসেন তার স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে বাদীনিকে তার ৭ম তলায় নিজ কক্ষে যেতে বলেন। কিন্তু বাদীনি সাড়া না দেওয়ায় ১নং বিবাদী বাদীনিকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বারবার কল করেন। পরবর্তীতে রোজার ঈদের ২/৩ দিন পূর্বে বাদীনি তার ফ্ল্যাট থেকে নীচে নামার সময় ১নং বিবাদী বেল্লাল হোসেন বাদীনির শরীরে চিমটি কাটে এবং বিভিন্ন কু-রুচিপূর্ণ ইঙ্গিত করেন। গত ১৯/০৫/২০২২ খ্রিঃ অনুমান রাত ১০:৩০ ঘটিকায় বাদীনি জিম থেকে বাসায় ফেরার সময় বাসার নীচে দারোয়ানের সাথে দেখা হলে বলে যে, আজ যত রাতই হোক বাদীনিকে ১নং বিবাদীর সাথে দেখা করতে, না হয় আপনার বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেওয়া হবে। তার কিছুক্ষন পরেই বিবাদী বেল্লাল হোসেন বাদীনির ফ্ল্যাটের বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেয়। অতঃপর বাদীনি ৩নং বিবাদী রুমিকে অর্থাৎ বাড়ীওয়ালাকে ঘটনার বিষয়ে জানালেও ঘটনার কোন সুষ্ঠু বিচার পায়নি বরং এর পর থেকে বাদীনিকে দারোয়ানের মাধ্যমে অপমান করা, বাদীনির কোন কাজ করে দেওয়ার জন্য নিষেধ করা, বাদীনির বাসার গৃহ পরিচারিকাকে বিল্ডিং এ ঢুকতে না দেওয়া, বাদীনির নামে কোন পার্সেল বা কুরিয়ার আসলে তাদেরকে বিল্ডিং এ ঢুকতে না দেওয়াসহ নানাভাবে মানসিক নির্যাতন করে আসছিল। গত ০৭/০৫/২০২২ খ্রিঃ ১নং বিবাদী বেল্লাল হোসেন বাদীনিকে বাসার নীচে ডেকে বাদীনির সহিত খারাপ আচরণ করেন এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করেন। যার প্রেক্ষিতে বাদীনি উত্তরা পশ্চিম থানায় জিডি নং-১৮৬৩, তারিখ-২২/০৬/২০২২ খ্রিঃ দায়ের করেন। অতঃপর ১নং বিবাদী বেল্লাল হোসেন বাদীনির উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বাদীনিকে পূর্বের চেয়ে অধিক মানসিক টর্চার করা শুরু করেন। উক্ত ঘটনার জের ধরে গত অক্টোবর/২০২২ সালে ১নং বিবাদী বেল্লাল হোসেন বাদীনির দরজায় খুব জোরে লাথি মেরে মেইন লক ভেঙ্গে ফেলেন। যার কারণে বাদীনি পরদিন বাসা থেকে বের হতে না পেরে দুপুর ১২ টার দিকে ৯৯৯ কল করলে বিকাল ০৫:০০ ঘটিকায় পুলিশ আসেন। পরবর্তীতে গত ২৬/১০/২০২২ খ্রিঃ অজ্ঞাতনামা দুইজন ব্যক্তি বাদীনির ফ্ল্যাটে এসে পুলিশের পরিচয় দিয়ে ৩নং বিবাদী রুমির বরাত দিয়ে বাদীনিকে বলে যে, “আমরা উত্তরা পশ্চিম থানা থেকে এসেছি, আপনি অতিদ্রুত বাড়ী ছেড়ে দিবেন। উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাদীনি গত ০৪/১১/২০২২ খ্রিঃ উত্তরা পশ্চিম থানায় জিডি নং-৩৩২ দায়ের করেন। অতঃপর ৩নং বিবাদীর ম্যানেজার ৪নং বিবাদী খলিল বাদীনিকে ফোন দেয় এবং বাদীনির ফ্ল্যাটে এসে বাদীনিকে সঙ্গে নিয়ে আশেপাশের অন্যান্য ফ্ল্যাটে ও দারোয়ানকে জিজ্ঞাসা করে ঘটনাগুলোর সত্যতা যাচাই করেন। কিন্তু ৪নং বিবাদী খলিল ঘটনার সত্যতা পাওয়া সত্ত্বেও ১নং বিবাদী বেল্লাল এর বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বরং বাদীনিকে ফ্ল্যাট ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন। একপর্যায়ে নভেম্বর/২০২২ সাল থেকে বাদীনির নিকট হতে বাড়ী ভাড়া নেওয়া বন্ধ করে দেয়। অতঃপর বাদীনি ৪নং বিবাদী খলিলকে ফোন করে বাড়ী ভাড়া নিতে বললে উক্ত বিবাদী বলে যে, বাড়ীওয়ালা ভাড়া নিবে না। পরবর্তীতে ৪নং বিবাদী খলিল মার্চ/২০২৩ বাদীনিকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে বাড়ী ভাড়া প্রদানের জন্য বলেন। তখন বাদীনি জানায় যে, রিসিট দিয়ে ভাড়া নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু বিবাদী খলিল আগে ভাড়া দিতে বলে। অতঃপর বাড়ীওয়ালা রিসিটও দেয়নি বাদীনি ভাড়াও নেয়নি। এরমধ্যে মার্চ/২০২৩ সালে ঘটনাস্থল বাড়ীর দারোয়ান আশরাফ এর স্থলে ২নং বিবাদী আলম দারোয়ান হিসেবে যোগদান করেন এবং ১নং বিবাদীর নির্দেশে ২নং বিবাদী আলম বাদীনির সহিত চরম দূর্ব্যবহার করতে থাকেন। বাদীনি কোন উপায়ন্ত না পেয়ে গত ২১/০৫/২০২৩ খ্রিঃ উত্তরা পশ্চিম থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ একটি লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করেন। বিগত ০৪/০৬/২০২৩ খ্রিঃ দুপুর ০২:৩০ বা ০৩:০০ ঘটিকার সময় ২নং বিবাদী আলম বাদীনির ফ্ল্যাটে এসে নক করেন। বাদীনি তখন পিপহোল দিয়ে দেখে যে, আলম দরজার বাহিরে একা দাড়িয়ে আছে। সে সময় বাদীনি দরজা খোলা মাত্র অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন মুখোশধারী লোক বাদীনির উপর অতর্কিত হামলা করে এবং বাদীনিকে টেনে হিচড়ে আন্ডার গ্রাউন্ডে নিয়ে যায়। অতঃপর বাদীনির হাত পা বেঁধে ক্রিকেট ব্যাট, হকি স্টিক দিয়ে নির্মমভাবে আঘাত করেন এবং বাদীনির দুইটি ফোন কেড়ে নেয়। তাছাড়া ১নং বিবাদী বেল্লাল ও ২নং বিবাদী আলম বাদীনির বাসার সব মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে বিবাদীগন বাদীনিকে ছাড়ার পূর্বে স্ট্যাম্প পেপারে সাইন নিতে চাইলে বাদীনি কোনক্রমে জীবন বাঁচিয়ে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। এছাড়া ১নং বিবাদী বেল্লাল ও ২নং বিবাদী আলম বাদীনিকে ধর্ষণ করার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। অতঃপর বাদীনি মুক্তি পেয়ে সরাসরি থানায় চলে যায় এবং সেখানে পুলিশের কোন সহযোগীতা পান নাই। পরবর্তীতে বাদীনি অসুস্থ অবস্থায় রাত দেড়টায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে ডাক্তারী সনদপত্র প্রাপ্ত হন। বাদীনি গত ০৫/০৬/২০২৩ খ্রিঃ পুনরায় উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা গ্রহণ না করে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করার পরামর্শ প্রদান করেন।

 

 

পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়েও বিচার পাননি নুসরাত, উল্টো হযরানীর স্বীকারঃ
উত্তরা পুলিশের উপ কমিশনারের কাছে একটি অভিযোগে নুসরাত বলেছেন, বিগত ২৭/০৩/২০২২ইং তারিখে উক্ত বাড়ীর কেয়ারটেকার মোঃ বেলাল হোসেন (৪৬), পিতা-অজ্ঞাত, ঠিকানাঃ বাসা নং-১০, রোড নং-১৮, সেক্টর-১১, থানা-উত্তরা পশ্চিম, ঢাকা মোবাইলঃ ০১৭১২২৩৫৬৪৪, ০১৮৪৭২৯১৮৪৪ তার স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে আমাকে ৭ম তলার তার নিজ কক্ষে অসৎ উদ্দেশ্যে হাসিল করার জন্য যেতে বলে। আমি না গেলে বিগত ইং তারিখে বেলাল হোসেন ব্যবহারিত মোবাইল নং-০১৭১২২৩৫৬৪৪ দিয়ে আমার মোবাইল ফোনে ৮/১০ বার ফোন দেয়। এরপর রমজান মাস/২০২২ শুরুর ৩/৪ দিন পূর্বে আমি আমার বাসা থেকে নিচে গেলে মোঃ বেলাল সিড়িতে লুকিয়ে থেকে হঠাৎ বিলাল আমার গায়ে চিমটি দেয়। আমি প্রতিবাদ করে উপরে আমার বাসায় চলে আসি। আমি বিবাদী বেলাল হোসেন এর ফোন রিসিভ না করে বাড়ীর মালিক অর্থাৎ মোঃ রকিবুল হোসেন রুমিকে ঘটনা খুলে বলি। তখন মোঃ রকিবুল হোসেন রুমি কোন কর্ণপাত না করে ঘটনা অন্য দিকে নিয়ে যায়। উক্ত ঘটনার কিছুদিন পর অর্থাৎ বিগত ১৯/৫/২০২২ইং তারিখে আমি জিম থেকে বাসায় অর্থাৎ উক্ত ঘটনা স্থানে ফেরার সময় অনুমানিক ১০.০০ ঘটিকার সময় উক্ত বাড়ীটির দারোয়ান মোঃ আশরাফ এর সাথে দেখা হলে বলে যে “ম্যাডাম বেলা ভাই বলেছে আজ যত রাতই হোক আপনকে উপরে বিলাল ভাই এর কক্ষে যেতেই হবে। যদি না যান তাহলে আপনার ফ্ল্যাটের বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেওয়া হবে। আমি তার কথায় কর্ণপাত না করে আমি আমার ফ্ল্যাটে চলে যায়। তার কিছুক্ষন পর বিবাদীগণ পরস্পর যোগসাজস করে আমার বাসায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়। আমি উক্ত ঘটনা বাড়ীটির মালিক মোঃ রকিবুল হোসেন রুমিকে জানায় তিনি তার উত্তরে বলেন যে, আপা আপনি ঠিকমত বাসায় ভাড়া পরিশোধ করিতেছেন আমি বল্লাম, যে পূর্বের সকল ভাড়া পরিশোধিত এবং নভেম্বর/২০২২ তারিখ আপনার কেয়ারটেকার মোঃ বিলাল হোসেন আমার কাছ থেকে বাসা ভাড়া নেয় না এই কথা শুনে বাড়ীওয়ালা আমার ফোন কেটে দিয়ে ফোন বন্ধ করে রাখে। আমি উক্ত ঘটনার বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরী করি যাহার নং-১৮৬৩, তাং-২/৩/২০২২ইং। পরবর্তীতে মোঃ বেলাল হোসেন বাড়ীর মালিক মোঃ রফিকুল হোসেন রুমি এর প্ররোচনায় আমার ফ্ল্যাটের গৃহ পরিচারিকা আমার নামে পার্সেল বা কুরিয়ার আসলে তাদেরকে উক্ত বাড়ীটি ঢুকতে দিতেন না। বিভিন্ন সময় আমার ফ্ল্যাটের সামনে বেলাল হোসেন দাড়িয়ে বিভিন্ন খারাপ অঙ্গ ভঙ্গি করিতে পরবর্তীতে বিগত অক্টোবর ২০২২ মোঃ বেলালল আমার দরজায় লাথি মেরে দরজা লক নষ্ট করে বাহির থেকে তালা লাগিয়ে দেন। পরবর্তীতে আমি ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশ এসে উক্ত দরজা ভেঙ্গে আমাকে বের করা হয়। অতঃপর বিবাদীগণ পরস্পর যোগসাজস করে একাধিক বার সিভিল ড্রেসে পুলিশ নামধারী ২/৩ জন অজ্ঞাত নামা ব্যক্তি এসে আমাকে হুমকি প্রদান করে বলে যে, “বাসা ছেড়ে দেওয়ার জন্য এ প্রসঙ্গে আমি থানায় জিডি করতে গেলে কোন প্রকার প্রতিকার পাইনি। যাহার প্রেক্ষিতে আমি উত্তরা পশ্চিম থানার সাধারণ ডায়েরী করি যাহার নং-৩৩২, তাং-৪/১১/২২ইং। মার্চ/২০২৩ পূর্বের দারোয়ান পরিবর্তন করে আলমকে দারোয়ান হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়। আলম ও বেলাল ও মোঃ রকিবুল হোসেন রুমি এর প্ররোচনায় আমার সাথে দূর্ব্যবহার করতে থাকে ২১/০৫/২০২৩ইং তারিখে। মোঃ রকিবুল হোসেন রুমি বিভিন্ন সময় দিন রাত আমা ফ্ল্যাটে সাধারণ মানুষ এমনকি প্রশাসন পাঠিয়ে আমাকে চরিত্রহীন প্রমানের চেষ্টা করে তাতেও তিনি ব্যর্থ হয়। আমি মোঃ রকিবুল হোসেন রুমিকে কিছু বলে তিনি আমাকে বল্লাম যে বাংলাদেশের সকল পুলিশ/প্রশাসন আমার পকেটে থাকে তুই আমাদের কিছুই করতে পারবি না। অতঃপর বিগত ৪/৬/২০২৩ইং তারিখে দুপুর আনুমানিক ৩.০০ ঘটিকার সময় বাড়ীর দারোয়ান ফ্ল্যাটে নক করলে আমি দরজা খুলি । আমি কিছু বুঝে ওঠার পূর্বে দেখি যে, রফিকুল হোসেন রুমি, মোঃ বেলাল হোসেনসহ অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জন আমাকে খারাপ ভাষায় গালি দিয়ে উক্ত আমাকে জোড় পূর্বক টেনে বাড়ীটির আন্ডার গ্রাউন্ডে নিয়ে একটি রুমে আটকিয়ে হকিষ্টিক লাঠি দিয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে লীলা ফোলা জখম করে এবং আমাকে ধর্ষনের চেষ্টা করে এবং আমাকে উক্ত স্থানে বেধে রেখে আমার ফ্ল্যাটের সকল মালামাল নিয়ে যান। আমাকে সন্ধ্যা আনুমানিক ৫.৩০ ঘটিকায় সময় সেড়ে দেয়। তখন মোঃ রকিবুল হোসেন রুমি এর প্ররোচনায় বেলাল এবং খলিল বলে যে তুই এই বাসা ও ঢাকা ছেড়ে চলে যা, যদি না জাস তোকে আমার পোলাপান দিয়ে মেরে ফেলবে। আমি তার কথায় কর্ণপাত না করে উত্তরা পশ্চিম থানায় গেলে রাত ১২.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত কোন মামলা গ্রহণ করেন নাই । কোন প্রকার একটি অভিযোগ দায়ের করি। আমি প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করি । থানায় মামলা না নিলে আমি বিজ্ঞ আইনজীবী পরামর্শ নিয়ে বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন আদালতে ১টি সি.আর মামলা করি, যাহার মামলা নং-৮৬৯/২০২৩, ধারাঃ ৩২৩/৩২৭/৩৫৪/৩৮০/৩৮৪/ ৩৮৫/ ৫০৯/ ৫০৬/৩৪ দঃ বিঃ এবং বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং-৯, ঢাকাতে একটি নারী ও শিশু মামলা করি যাহার নং-২০২/২০২৩, ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারা। মামলাটি পিবিআই তদন্ত বিবাদীগণ ক্ষমতা অপব্যবহার করে মিথ্যা প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। যাহাতে আমি সুষ্ঠু তদন্ত এবং ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। উক্ত তদন্তকারী কর্মকর্তা আমার মনোনিত সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন নাই। আমার সাথেও ভালভাবে যোগাযোগ করেন নাই। বিবাদীগণ প্রতিনিয়ত আমাকে বিভিন্ন মাধ্যমে উক্ত মামলা ২টি প্রত্যাহার এবং ঢাকা ছাড়ার জন্য হুমকি ধামকি প্রদান করিতেছে।

 

এমন অভিযোগ দিয়েও তিনি কোন সহযোগিতা পাননি। উল্টো এসআই থেকে শুরু করে এসি পর্যন্ত তার সাথে দুর্ব্যবহার করেছেন বলে জানান নুসরাত জাহান। তিনি বলেন, অভিযোগের বিষয় জানতে স্বাক্ষী নিয়ে হাজির হতে নোঠিশ না পাঠিয়ে একদরফা বাড়ীর মালিক রকিবুল ইসলাম রুমীর পক্ষ নিয়েছেন। হাজির হওয়ার তারিখের পরে আমাকে থানা থেকে ফোন দিয়ে বলা হয়েছে আপনাকে ফোন দিয়ে পাই না। আপনার ঠিকানায় নোঠিশ পাঠিয়েছি অথচ আপনি হাজির হননি। নোঠিশ পাঠানো হয়নি মর্মে জানালেই থানা পুলিশ খারাপ ব্যবহার করেন। এরপর এসিকে ফোন দিলে তিনি আমার কথা শুনেই ফোন কেটে দিয়েছেন।

 

পিবিআই ও উত্তরা পুলিশের ডিসির ভাষ্য:
মামলা তদন্ত ও ঘটনার বিষয়ে জানতে তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পুরিদর্শক মোস্তফা কামাল খানকে ফোন দিলে তিনি জানান, মামলার ডকেট না দেখলে কিছু বলতে পারবো না। এই ঘটনা তো অনেক আগের তাই তার এই মামলার সম্পর্কে মনে নাই। এবং তিনি ঢাকার বাহিরে বদলী হয়েছেন তাই অন্য কোন দিনও এ বিষয়ে বলা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি। এদিকে পুলিশের উত্তরা বিভাগের ডিসি বলেন, এ ঘটনা তিনি এই প্রথমই এই প্রতিবেদকের কাছ থেকে শুনেছেন। ঘটনাটি সম্পর্কে আগের ডিসি অর্থাৎ মোরশেদ আলম ভালো বলতে পারে। ঘটনাটি যখন ঘটেছে তখন মোরশেদ আলম পুলিশের উত্তরা বিভাগের ডিসি ছিলেন বলেও যোগ করেন বর্তমান ডিসি। তবে উপ-পুলিশ কমিশনার বরাবর চলতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারী নুসরাত জাহানের করা অভিযোগ দেখিয়ে জানতে চাইলে তিনি পর্ববর্তীতে বিস্তারিত জেনে জানাবেন বলে জানান। অর্থাৎ তিনি এ অভিযোগের বিষয়েও কিছু জানেন না।

 

ভুক্তভোগী নুসরাত জাহানের বক্তব্যঃ
উত্তরা বিভাগের প্রতিটি থানা রকিবুল ইসলাম রুমীর পক্ষে কথা বলে। তারা রুমীর পক্ষ হয়ে আমার মামলা নেয়নি। এরপর আদালতে মামলা করলে রুমীর পক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সাধারণ ডায়েরী করেছি, সেটাও টাকা খেয়ে তদন্ত করছে না। আমাকে নির্যাতন করে আমার বাসার মালামাল গুলো লুট করেছে সেগুলো উদ্ধার না করে উল্টো আমাকে খারাপ বলে যাচ্ছে পুলিশ। এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোটা অংকের টাকা খেয়ে এই ঘটনা দামাচাপা দিয়েছে। কাউন্সিলর সব জানে কিন্ত মুখ খুলে বলে না। উল্টো তাদের কাছে বিচার চাইতে গেলে চরিত্রহীন বলে অপবাদ দেয়। আদালতে আশ্রয় নিলেও তাদের টাকার কাছে আমি হেরে যাচ্ছি বারবার। মূলত বাড়ীর ম্যানেজার বেল্লাল হোসেনের যৌন আঙ্খার কারণে এই ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়েছে। বেল্লাল আমার সাথে যৌনচার করতে চেয়েছে। যখন তার এই কুকর্মে আমি সারা দেই নি তখন থেকেই আমাকে বাড়ী থেকে বের করতে ষড়যন্ত্র শুরু করে। আর এই ষড়যন্ত্রে বাড়ীওয়ালাও সাড়া দেয়। তিনি বলেন, বেল্লাল ও তার স্ত্রীর কাছে বাড়ীওয়ালা রুমী আটকানো। অর্থাৎ বেল্লালের বড় ছেলে বাড়ীওয়ালা রকিবুল ইসলাম রুমীর সন্তান। যা টিএনএ টেষ্ট করলে প্রমাণ হবে। এছাড়াও বেল্লালকে দিয়ে বাড়ীওয়ালা ভোগ করতে আমাকে প্রস্তাব দেয়।

 

বাড়ীর মালিক রকিবুল ইসলাম রুমী যা বললেনঃ
অভিযোগের বিষয়ে জানতে রকিবুল ইসলাম রুমীকে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। যদিও একদিন পর তিনি ফোন দিয়েছেন কিন্তু ফোন দিয়ে কোন কথা বলেননি। এদিকে বেল্লাল এর নাম্বারে একাধিক বার কল দিয়ে তার দুইটি নাম্বার বন্ধ পাওয়া গেছে।
পরবর্তী সংখ্যায় থাকছে রুমীর ছেলের বিরুদ্ধে রমনা থানায় ধর্ষণ মামলা নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।