কেএসপির তিন নম্বর মাঠে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ১৩ রানে হারিয়েছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। শুরুতে ব্যাট করে স্রেফ ১৩৮ রানে অলআউট হয়ে যায় শাইনপুকুর। ওই রান তাড়া করতে নেমে ১২৫ রানে সব উইকেট হারিয়ে ফেলে গাজীপুরও। এই ম্যাচ ব্যাটিংয়ের পর বল হাতেও দলের জয়ে অবদান রাখেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন।
ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ছাড়া শাইনপুকুরের উপরের দিকের কোনো ব্যাটারই দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। ৫১ বলে ৪২ রান করে হুসনা হাবিব মেহেদীর বলে আব্দুল গাফফার সা
কলাইনের হাতে ক্যাচ দিয়ে যান তানজিদ। ৮৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা দলকে একশ পাড় করিয়ে দেন রিশাদ। ২৬ বলের ইনিংসে চারটি ছক্কা ও একটি চারে ৩৩ রান করেন তিনি। ৯ বলে ১৩ রান আসে মুকিদুল ইসলামের ব্যাটে। অল্প রান তাড়া করতে নেমে বিপদে পড়ে যায় গাজী গ্রুপও। বল হাতেও দলের হয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন রিশাদ।
৮ ওভারে ১ রান দিয়ে চার উইকেট পান রিশাদ। আরাফাত সানি তিন, হাসান মুরাদ দুই ও নাহিদ রানা নেন একটি উইকেট। ১৯ বলে ঝড়ো ৪৪ রান করে ভয় ধরালেও দলকে জয় এনে দিতে পারেননি হাবিবুর রহমান সোহান। তিনিই দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রাইম ব্যাংককে ৫ উইকেটে হারিয়েছে আবাহনী লিমিটেড।
শুরুতে ব্যাট করে ১৭৮ রানে অলআউট হয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। পরে ওই রান ৩৮ ওভার ৩ বলেই তাড়া করে আবাহনী। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। ১০ বলে ১ রান করে তামিম আউট হন তাসকিন আহমেদের বলে। ২ বলে শূন্য রান করা পারভেজ হোসেন ইমন ও ৮ বলে ৪ রান করা শাহাদাৎ হোসেন দীপুকে আউট করেন শরিফুল ইসলাম।
এরপর ১০৭ রানের জুটি গড়ে দলকে কিছুটা স্বস্তি এনে দেওয়ার চেষ্টা করেন জাকির হাসান ও মুশফিকুর রহিম। দুজনের ১১২ রানের জুটি ভাঙে তানভীর ইসলামের বলে মুশফিক উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলে। তার সঙ্গী জাকিরও আউট হয়ে যান দুই ওভার পরই। ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৭০ বলে ৬৮ রান করে তিনি ফেরেন সাইফউদ্দিনের বলে।
পরে চোট নিয়ে মাঠ ছেড়ে যান সাইফউদ্দিনও। তাদের দুজনের বিদায়ের পর শেষদিকের ব্যাটাররাও দলের সহায় হতে পারেননি। প্রাইম ব্যাংক অলআউট হয়ে যায় দুইশ রানের নিচে। আবাহনীর হয়ে ৮ ওভারে ২৭ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। দুই উইকেট পান তাসকিন, তানভীর ও মোসাদ্দেক হোসেন।
১৭৯ রান তাড়ায় নেমে ৩৮ ওভার ৩ বল সময় নেয় আবাহনী। দলটির হয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেন তাওহীদ হৃদয় ও লিটন কুমার দাস। ২৭ বলে ৪ চার ও ৫ ছক্কায় ৫৫ রান করে নাজমুল অপুর বলে বোল্ড হয়ে যান তাওহীদ হৃদয়। তবে ১০৬ বলে ৫৬ রান করে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন লিটন।
‘অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি’
অবশেষে ঢাকায় হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত স্বস্তির বৃষ্টি। টানা একমাস দাবদাহের......বিস্তারিত