দেশজুড়ে চলমান তীব্র দাবদাহের মধ্যেও থেমে নেই তিলোত্তমা ঢাকায় বৃক্ষ নিধন কর্মসূচি। নগরায়নের নামে একদিকে কমছে গাছের সংখ্যা অন্যদিকে ভরাট হচ্ছে জলাধার। তারই খেসারত দিতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তবে এর দায় নিতে চান না সংশ্লিষ্টরা।
গত সাত বছরে রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা বেড়েছে সাড়ে তিন ডিগ্রি। গবেষণা সংস্থা ক্যাপসের জরিপে দেখা যায়, ২০১৭ সালে রাজধানী ঢাকায় গড় তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ০৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চলতি বছর তা ৩৬ দশমিক ৯৬। বৈশ্বিক উষ্ণতা সেখানে ভূমিকা রাখলেও স্বেচ্ছাচারী নগর পরিকল্পনাই এর তাপবৃদ্ধির অন্যতম কারণ। দেশজুড়ে চলমান দাবদাহের মধ্যেই কথিত তিলোত্তমা ঢাকায় কাটা হয়েছে আরও একটি গাছ। যেনো নগরের শীতলতার কফিনে পড়লো আরও একটি পেরেক।
কাঁটা গাছের গুঁড়ি দেখিয়ে যে উপমা দেয়া হয়েছে তা যে খুব বেশি বাড়াবাড়ি হয়নি শাহবাগের খোলা আকাশ আর রমনা পার্কের গাছের নিচের তাপমাত্রা পরিমাপ করলেই বোঝা যায়। তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র যখন শাহবাগে তাপমাত্রা দেখাচ্ছে ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ঠিক তার কয়েকশ’ গজ সামনে রমনা পার্ক এলাকায় গাছের নিচে দাঁড়ালে একই তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র বলছে ওই এলাকার তাপমাত্রা ৩৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোরে, ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি ছিল এ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ওই দিনই রাজধানীর তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিও ছিল এ বছরে নগরীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
তবে রোববার ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে নগরীর তাপমাত্রা ২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যায়। ওই দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর গতকাল ঢাকার তাপমাত্রা আরও কমে হয়েছে ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী তিন থেকে চার দিন দেশজুড়ে ভারী বৃষ্টি এবং এতে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আপাতত কম বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান।
তিনি বলেন, মে মাসের শুরুতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। তখন তাপমাত্রা কমে আসতে পারে। বর্তমানে দেশের ৪০টির বেশি জেলার বিভিন্ন স্থানে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলে তাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলে থাকে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
‘পবিত্র শবে বরাতে আমাদের করনীয়, এবং যা বর্জনীয়’
এইচ এম হাকিমঃ আজ পবিত্র শবে বরাত, পবিত্র এই রজনীকে......বিস্তারিত