সরকারি গুদামের মালামাল লুট, পৌর মেয়র সাময়িক বরখাস্ত

জামালপুরের ইসলামপুরে সরকারি গুদামের মালামাল লুট, আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের সেখকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

সোমবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রাণলয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-১ শাখার উপসচিব মো. আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত (রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের সেখের বিরুদ্ধে উক্ত পৌরসভার ১১ (এগারো) জন কাউন্সিলর কর্তৃক আনীত স্বেচ্ছাচারী আচরণ, সরকারি গুদামের মালামাল লুট, আত্মসাৎ এবং দুর্নীতির অভিযোগসমূহ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩২ (১) (খ) (ঘ) এবং (২) অনুযায়ী তাঁকে মেয়র এর পদ হতে অপসারণের কার্যক্রম শুরু করা হয়।

স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩১(১) অনুযায়ী ‘পৌরসভা বা রাষ্ট্রের হানিকর কার্যকলাপে জড়িত থাকা’ এবং অসদাচরণ বা ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার দায়ে ইসলামপুর পৌরসভার মেয়রের পদ থেকে আব্দুল কাদের সেখকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের সেখ টানা তৃতীয়বারের মতো মেয়রের পদে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

বরখাস্তের বিষয়ে আব্দুল কাদের সেখ বলেন, ‘ইমেইলের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, আমাকে মেয়রের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে অযথা অভিযোগ তোলা হয়েছে। মূলত আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। বরখাস্তের বিষয়ে আইনগতভাবে মোকাবিলা করা হবে।’ জামালপুরের জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমরা ইমেইলে মেয়র সাহেবের বরখাস্তের চিঠি পেয়েছি।

আমরা পরবর্তীতে আইন অনুযায়ি ব্যবস্থা নেব।’ উল্লেখ্য, দুর্নীতি, সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তোলে পৌর মেয়র আব্দুল কাদের সেখের অনাস্থা চেয়ে ২০২২ সালের ২৭ নভেম্বর জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দেয় পৌর কাউন্সিলররা।

একই সঙ্গে মেয়রের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য কাউন্সিলররা ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কাছেও লিখিতভাবে আবেদন করে। ইসলামপুর পৌরসভার ১২ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১১ জনই ওই আবেদনে স্বাক্ষর করেছিল।

গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পৌরসভার কার্যালয়ে মেয়র আব্দুল কাদের সেখের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত করে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের যুগ্ম সচিব ও পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্বে) মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।