আমির হোসেনঃ গাজীপুর কেনাবাড়ী আবাসিক হোটেল গুলোতে দফায় দফায় অভিজান চালানোর পরেও বন্ধ করা যাচ্ছে না অসামাজিক কার্যকলাপ। গত ১৩ই নভেম্বর মঙ্গলবার রাত ১১ টা সময় কোনাবাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) কলিন্দ্র নাথ গোলদার নেত্রীত্বে থানার অফিসার এস আই হামিদুল ইসলাম, এস আই রফিকুল ইসলাম, এ এস আই জসিমসহ পুলিশ সদস্যদেরকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে আবাসিক “হোটেল অতিথি ” থেকে ৯ জন ৫ জন নারী ৪ পুরুষ ও “হোটেল বনভোজন” থেকে ৫ জন নারী ৪ পুরুষ মোট ১৮ জনকে আটক করা হয়।পরে আইনি পক্রিয়ায় কোর্টে চালান করা হয়। তার ঠিক এক সপ্তাহ পরই ২০ই নভেম্বর মঙ্গলবার রাতে কোনাবাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) হাসনাত খন্দকার জানান, অফিসার ইনচার্জ এমদাদ হোসেনের নেতৃত্বে থানার অফিসার এস আই হামিদুল ইসলাম ,এ এস আই জসিমসহ পুলিশ সদস্যদেরকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে কোনাবাড়ীর আবাসিক “হোটেল রেইনবো”থেকে ৬জন নারী, ৬ জন পুরুষ ও “হোটেল ড্রিমল্যান্ড” থেকে ১জন নারী ১ জন পুরুষ মোট ১৪ জনকে আটক করা হয়। পরে আইনি পক্রিয়ায় কোর্টে চালান করা হয়। আবারও সপ্তাহ না যেতেই ২৩ই নভেম্বর শুক্রবার সন্ধা ৬টায় আবাসিক হোটেল “মর্ডান” থেকে ৮জন নারী,১০জন পুরুষ মোট ১৮ জন যৌনকর্মী আটক করে কোনাবাড়ী থানার পুলিশ সদস্যরা।
এভাবে দফায় দফায় অভিজান চালানোর পরেও বন্ধ হচ্ছে না আবাসিক হোটেল গুলোতে অসামাজিক কার্যকলাপ।এ বিষয়ে কোনাবাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) হাসনাত খন্দকার বলেন, আমরা যখনই খবর পাই তখনই আমাদের পুলিশ সদস্যদের নিয়ে অভিজান চালাই এবং থানায় নিয়ে আসি ও পরে আইনি পক্রিয়ায় কোর্টে চালান করে দেই।কিন্তু যৌনকর্মীদের এ আইনে শাস্তি কম থাকায় দুই তিনদিন পরই জমিনে বের হয়ে আসে এবং আবারও আগের মতই অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়।এটা আসলে শুধু পুলিশ দিয়ে বন্ধ করা সম্ভব নয় সমাজের সকলকে সচেতন হতে হবে।তারপরেও আমরা আমাদের মত করে এই অসামাজিক কর্মকান্ড বন্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জাবাবে ওনি বলেন,হোটেল মালিকদের ঘটনা স্থানে পাওয়া যায় না যারা এ সমস্ত ব্যবসার সাথে জড়িত তারা থাকে হাতের নাগালের বাইরে।তবে এ এলাকার স্থায়ী বাসিন্দরা এ ব্যপারে সচেতন হলে এসব অসামাজিক কাজ বন্ধ করা সম্ভব।
‘ভাঙ্গায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত’
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের......বিস্তারিত