হামাসের অভিযানে আরও ১৫ ইসরাইলি সেনা নিহত

লেখক: Dhaka Bangladesh
প্রকাশ: ২ years ago

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় বেশ কিছু ইসরাইল সেনাকে হত্যা ও সামরিক যান ধ্বংস করার কথা ঘোষণা করেছে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক বাহিনী ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেড। ওই ব্রিগেড গতকাল (সোমবার) গাজা শহরের আল-তুফাহ পাড়ার পূর্বে ইসরাইলি সেনাদের একটি দলের ওপর একটি মাইনফিল্ডের বিস্ফোরণ ঘটায়। ওই হামলায় ১৫ জন ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে বলে আল-কাসসাম যোদ্ধারা নিশ্চিত করেছেন।

এ সময় ইসরাইলি অ্যাম্বুলেন্স ও হেলিকপ্টারগুলোকে হতাহত সেনাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য ছুটে আসতে দেখা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাফাহ শহরে একটি বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ওই দখলদার সেনাদের খতম করা হয়েছে। এদিন রাফাহ শহরের আল-তানুর এলাকার একটি বাড়িতে আগে থেকে বোমা পেতে রেখেছিল আল-কাসসাম ব্রিগেড। ইসরাইলি সেনারা বাড়িটিতে প্রবেশ করার পরপরই সেটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতেই হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।

হামাসের সামরিক বাহিনী আরও বলেছে, বিস্ফোরণের পর প্রাণে বেঁচে যাওয়া ইসরাইলি সেনারা বাড়িটি থেকে দ্রুত বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের ওপরও গুলিবর্ষণ করে প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এসময় অনেকে গুরুতর আহত হয়েছে। যদিও এ হামলার বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি তেল আবিব।

এর আগে শুক্রবার ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা জাবালিয়াতে দখলদার বাহিনীর অন্তত ২২টি অবস্থানে হামলা চালিয়েছে। এসময় সার্জেন্ট বেন আভিশে নামে এক সেনা নিহত হয়।

হামাস বলেছে, তাদের আক্রমণের ফলে শত্রুরা জাবালিয়া এলাকায় তাদের অবস্থান একাধিকবার পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে। গেলো বছরের অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে ইসরাইলে এই দশকের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান চালায় গাজার হামাস সরকার। এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরাইল।

এ আগ্রাসনে ৪০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন ৭০ হাজারের বেশি মানুষ।

সংবাদটি শেয়ার করুন...

  • ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেড
  • ইসরাইল সেনা হত্যা
  • হামাস সামরিক বাহিনী